টেকনাফে বসতবাড়ির মাটি খুঁড়ে মিলল এক লাখ ২০ হাজার ইয়াবা, যুবক আটক
কক্সবাজারের টেকনাফে বসতবাড়ির পাশে মাটি খুঁড়ে এক লাখ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার মধ্যরাতে উপজেলা সদর ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া থেকে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান।
আটক যুবকের নাম মোহাম্মদ ইসমাইল (৩২)। তিনি সদর ইউনিয়নের দরগারছড়া এলাকার প্রয়াত শেখ আহম্মদের ছেলে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “সাগরপথে মিয়ানমার থেকে মাদকের একটি বড় চালান নোয়াখালী পাড়ায় আনার তথ্য পেয়ে রাতভর অভিযান চালানো হয় বিজিবি ও পুলিশের যৌথ ফোর্সের মাধ্যমে।
প্রথমে দরগারছড়া এলাকায় সন্দেহজনক এক মাদককারবারির ঘরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন পালানোর চেষ্টা করে। তবে ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করা সম্ভব হয়।
পরে বিজিবির ডগ স্কোয়াডের সহায়তায় সেই মাদককারবারির ঘরের পাশে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় এক লাখ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।”
তিনি আরও জানান, মাদকবিরোধী এই অভিযান সীমান্ত সুরক্ষা ও অপরাধ দমনে বিজিবির কঠোর ও ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির প্রতিফলন।
আটক যুবক এবং পলাতক আরও তিনজনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
‘টেকসই উন্নয়নে পর্যটন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন করা হয়েছে।দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১১টায় ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটন এলাকায় মেঘের বাড়ি রেস্টুরেন্টে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পর্যটন ঘাটে একটি র্যালী আয়োজন করা হয় এবং পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার জন্য বিভিন্ন স্থানে ময়লার ঝুড়ি স্থাপন করা হয়।উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাদাপাথরে আগত পর্যটকদের জন্য নৌকা ভাড়ায় ২৫% ছাড় এবং প্রতিবন্ধী ও শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি সুবিধা প্রদান করা হয়।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা বিএনপি নেতা, প্রেসক্লাবের সদস্য ও সাদাপাথর পর্যটন বাজারের ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য স্থানীয়রা।উদ্যোগের মাধ্যমে পর্যটনকে টেকসই উন্নয়নের অংশ হিসেবে সম্প্রসারণ এবং স্থানীয় পর্যটকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য রাখা হয়েছে। ভোরের আকাশ/হ.র
বৃহত্তর খুলনাবাসীর উদ্যোগে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় খুলনা মহানগরীর ১৯ নং ওয়ার্ড অফিস চত্বর থেকে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে “মশকনিধন ও পরিস্কার–পরিচ্ছন্ন অভিযান” শুরু হয়।অভিযানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কনজারভেন্সি অফিসার মোঃ অহিদুজ্জামান খান ও ১৯ নং ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হক মুকুল।সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আরিফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রোটারি সদস্য ও স্থানীয় ব্যক্তিত্বরা। বক্তারা বলেন, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া পুরোপুরি নির্মূল করা না গেলেও নিয়মিত পরিস্কার–পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে এবং মশা প্রজনন স্থান ধ্বংস করে রোগের বিস্তার অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।উদ্যোগের মাধ্যমে এলাকার মানুষদের সচেতন করে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে স্থানীয়ভাবে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ভোরের আকাশ/হ.র
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় ইট ভাঙা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে দুই ভাই নিহত হয়েছেন।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নের মমিন বকশি পাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো আব্দুল হক (৬৫) ও তাজরুল ইসলাম (৫৫), তারা রাজারহাট সদর ইউনিয়নের কৌলাস কুঠি এলাকার বাসিন্দা।স্থানীয়রা জানান, কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং রাস্তার পাশে পড়ে যায়। একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান, অপরজনকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুর রহিম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভোরের আকাশ/হ.র
রাজবাড়ীতে পুলিশের উদ্যোগে হারানো ১০৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ মোবাইলগুলো হস্তান্তর করা হয়।পুলিশ জানায়, জেলার বিভিন্ন থানায় করা জিডির ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সদর থানা থেকে ৫২টি, গোয়ালন্দঘাট থেকে ১৪টি, পাংশা মডেল থেকে ১২টি, কালুখালী থেকে ১৪টি এবং বালিয়াকান্দি থানা থেকে ১২টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। যাচাই শেষে সেগুলো মালিকদের হাতে ফেরত দেওয়া হয়েছে।এ সময় পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি হারানো মোবাইল উদ্ধারে রাজবাড়ী পুলিশ নিয়মিত কাজ করছে। সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের একটি বিশেষায়িত টিম এ কাজে নিয়োজিত।”মোবাইল ফিরে পেয়ে অনেক মালিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবু রাসেল, ডিবি’র ওসি মফিজুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভোরের আকাশ/হ.র