সংগৃহীত ছবি
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় সড়ক অবরোধ করে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গোপালগঞ্জ শহর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসন এ ঘোষণা দেন।
আজ দুপুর পৌনে ৩টার দিকে জেলা শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
এদিকে এনসিপির নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছেন। সারা শহরের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশের মঞ্চের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
দেশব্যাপী জাকের পার্টি ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পিরোজপুর সদর উপজেলা, পৌরসভা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন ভিত্তিক সাংগঠনিক জনসভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাকের পার্টি ও সকল সহযোগী সংগঠন, পিরোজপুর সদর উপজেলা ও পৌরসভার আয়োজনে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।এ উপলক্ষে পিরোজপুর পৌরসভা থেকে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে মিছিলটি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এক সমাবেশে মিলিত হয়।সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাকের পার্টি পিরোজপুর জেলা সভাপতি আবদুল কুদ্দুস শেখ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ববৃন্দ, জেলা নেতৃত্ববৃন্দ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাকের পার্টি ইসলামের শান্তি, মানবতা ও দেশপ্রেমের বার্তা ছড়িয়ে দিতে সর্বস্তরের মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করতে জনসভা ও র্যালির আয়োজন করা হয়েছে।সভায় সভাপতিত্ব করেন পিরোজপুর সদর উপজেলা জাকের পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিরাজ তালুকদার।ভোরের আকাশ/এসএইচ
খাগড়াছড়িতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিজিবি সদর দপ্তর থেকে জনসংযোগ কর্মকর্তার শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।এদিকে, আজ দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর ও পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ জারি থাকবে বলে জানানো হয়।এর আগে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতার’ ব্যানারে আজ দিনব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছিল। এতে খাগড়াছড়ির সঙ্গে সড়কপথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বিক্ষুব্ধরা ভোর থেকেই সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে রাখেন। এই কর্মসূচি চলাকালে তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পাহাড়িদের অভিযোগ, অবরোধ কর্মসূচিতে সদর উপজেলা প্রাঙ্গণে সড়কের পাশে তাদের ওপর হামলা হয়। এতে তাদের দুজন আহত হন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে এক কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীসহ গণতান্ত্রিক সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব ঘটতে পারে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ গড়তে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিএনপির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।তারেক রহমান বলেন, বক্তব্য অনেক হয়েছে। এখন আমাদেরকে অনেক কাজ করতে হবে। আজকে আমাদেরকে একটি শপথ নিতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদেরকে দেশ গড়তে হবে। দেশের সব গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আমাদেরকে কাজ করতে হবে।তিনি বলেন, গত ১৬ বছর আমরা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমাদের নেতাকর্মীরা গুম-খুনের শিকার হয়েছে। বহু নেতাকর্মীকে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়েছে। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে দেশ গঠন এবং দেশকে পুনর্গঠন। দেশকে যদি জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী পুনর্গঠন করতে হয়, তাহলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনারা ঐক্যবদ্ধ আছেন বলেই এত সুন্দর একটি সম্মেলন সম্ভব হয়েছে।দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, দেশটি হচ্ছে আপনার আমার সবার ঘর। এই ঘরে ডাকাত পড়েছিল গত ১৬ বছর যাবত। এই দেশকে গঠন করতে হবে। এই দেশ আমার আপনার সবার। দেশ গঠনে আসল শক্তি জনগণ। তাই জনগণের কাছে আমাদেরকে যেতে হবে। আপনারা সবাইকে দুই-তিনজনের টিম গঠন করে জনগণের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে যেতে হবে। সবার কাছে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ভোট চাইতে হবে। আমরা কিভাবে দেশ গঠন করব। কিভাবে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলব। কিভাবে শান্তি-শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করব, কিভাবে উন্নয়ন করব- সেই বিষয়গুলো জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, ঐক্য, জনগণ ও দেশ গঠন হবে বিএনপির আগামীর প্রতিপাদ্য। জনগণ যেভাবে চায়, বিএনপিকে সেভাবেই চলতে হবে। যেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ, সেখানে বিএনপি থাকবে।কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন- বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াছিন, মনিরুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু।এ সময় দুই সহস্রাধিক কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও দলের অঙ্গ-সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী এবং সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।সম্মেলনে কুমিল্লার ছয়টি সংসদীয় আসনের ১০টি উপজেলা, চারটি পৌরসভা, ১০৭টি ইউনিয়ন, ৯৯৯ টি ওয়ার্ডে সম্মেলন হয়। সম্মেলনে বর্তমান আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমনকে সভাপতি ও সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, উৎসব আয়োজন মানেই সামাজিক মেলবন্ধন। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই মিলে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রতিটি পূজামণ্ডপে সরকারি অনুদান বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ) জেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জেলার ২২৪টি পূজামণ্ডপের প্রতিটিতে ১০,০০০ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।জেলা প্রশাসক আরও বলেন, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি সব বাহিনী একযোগে দায়িত্ব পালন করবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপ কঠোর মনিটরিংয়ের আওতায় থাকবে।তিনি আরও উল্লেখ করেন, শারদীয় দুর্গোৎসব কেবল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আনন্দের উৎসব নয়, এটি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক। তাই সব বিভেদ ভুলে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে উৎসবকে সুন্দরভাবে পালন করতে হবে।অনুষ্ঠানে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, জেলা প্রশাসকের আন্তরিক তত্ত্বাবধান, নিয়মিত খোঁজখবর ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তাঁরা কৃতজ্ঞ। একইসঙ্গে তাঁরা সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রেখে নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা উদযাপনে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ পদ সাহা, সহ-সভাপতি উত্তম কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্যফ্রন্টের মহানগর সদস্য সচিব খোকন সাহা এবং জেলার ২২৪টি পূজামণ্ডপের নেতৃবৃন্দ।অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক পূজামণ্ডপ কমিটিগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন নিশ্চিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।ভোরের আকাশ/জাআ