সংগৃহীত ছবি
দেশের বাজারে সোনার দাম বেড়ে হয়েছে নতুন ইতিহাস। এবার ভরিতে ২ হাজার ৪১৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৪ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। যা দেশের ইতিহাসে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ দাম।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। আজ মঙ্গলবার থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩২ হাজার ৭২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৬৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮৪ হাজার ১৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে।
এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৫৯ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৪১ বার, আর কমেছে মাত্র ১৮ বার।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬২৮ টাকায়। যা দেশের ইতিহাসে রুপার সর্বোচ্চ দাম।
এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৫৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৯৬৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২২৮ টাকায়।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে দক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খুঁজে পাওয়া বর্তমানে বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ফিন্যানশিয়াল এক্সিলেন্স লিমিটেডের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।গভর্নর বলেন, “এখন ভালো মানের এমডি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। শুধু এমডিই নয়, ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগ—করপোরেট হোক কিংবা কনজিউমার—প্রতিটি ক্ষেত্রেই দক্ষ হেড অব ডিপার্টমেন্ট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”তিনি আরো বলেন, “যথাযথ জ্ঞান ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এমডি তৈরি করতে না পারা আমাদের জন্য ব্যর্থতা। এতে করে ভবিষ্যতে খাতটিকে আরো বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।”ডিজিটাল ব্যাংকিং প্রসঙ্গে গভর্নর উল্লেখ করেন, “যখন আমরা আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছি, তখন পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল না থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে। দেশের অধিকাংশ ব্যাংক এখনো ভারতীয় কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারের ওপর নির্ভরশীল। নিজেদের সফটওয়্যার তৈরি করতে না পারা এক ধরনের সীমাবদ্ধতা।”অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “মানসিক প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। প্রশিক্ষিত হয়েও যদি মানসিকভাবে সঠিক না থাকে, তবে সে জনবল অনেক সময় অপ্রশিক্ষিত কর্মীর চেয়েও বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যাংক খাতে বড় চ্যালেঞ্জ আসতে পারে।”বক্তারা দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং ও সুশাসন নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।ভোরের আকাশ//হর
দেশের বাজারে ফের সোনার দাম বেড়েছে। ভরিতে ২ হাজার ১৯২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৭৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। যা দেশের ইতিহাসে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ দাম।শনিবার (৪ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। রোববার (৫ অক্টোবর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।এর আগে, শনিবার (৪ অক্টোবর) এর দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩২ হাজার ৭২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৫৯ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৪১ বার, আর কমেছে মাত্র ১৮ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।সোনার দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬২৮ টাকায়। যা দেশের ইতিহাসে রুপার সর্বোচ্চ দাম। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৫৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৯৬৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২২৮ টাকায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি প্রায় ১২ ঘণ্টা পর তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। ব্যাংকটির অফিশিয়াল পেজটি শুক্রবার ভোরে হ্যাক হয়।শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে পেজটি উদ্ধার সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগ।ব্যাংকটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ভোরে পেজটি হ্যাক হয় এবং দিনভর ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের পর নিয়ন্ত্রণ ফেরত পাওয়া যায়। বর্তমানে পেজটি স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।জানা গেছে, শুক্রবার ভোর ৫টা ৪২ মিনিটে ব্যাংকটির অফিশিয়াল পেজ থেকে হ্যাকার গ্রুপটি তাদের প্রথম পোস্ট দেয়। পেজটির নাম অপরিবর্তিত থাকলেও প্রোফাইল এবং কাভার ফটো পরিবর্তন করা হয়। এতে হ্যাকার গ্রুপের ছবিও ব্যবহার করা হয়।ফেসবুক পেজে দেওয়া একাধিক পোস্টে হ্যাকার গ্রুপটি নিজেদের পরিচয় নিশ্চিত করে। প্রথম পোস্টে তারা জানায়, ‘পেজটি “এমএস ৪৭০এক্স” (MS 470X) দ্বারা হ্যাকড করা হয়েছে।’ এরপর পেজটি থেকে আরও বেশ কয়েকটি পোস্ট করা হয়। তারা একটি পোস্টে চাকরিচ্যুত কর্মীদের পুনর্বহালের দাবি তোলে, যদিও কিছু সময় পর পোস্টটি মুছে ফেলা হয়।সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকে ব্যাপক ছাঁটাই কার্যক্রম চলছে। চার শতাধিক কর্মকর্তা বরখাস্ত হয়েছেন এবং প্রায় ৫ হাজার কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
গত দুদিনের বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে বাজারে। অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে মাছ ও সবজির দামে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। এতে বেকায়দায় পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির এমন বাড়তি দামের চিত্র দেখা গেছে।বাজার ঘুরে দেখা যায়, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বেগুন (লম্বা) প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ২০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এদিকে সবজির পাশাপাশি মাছের বাজারেও লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ছে। রুই মাছের কেজি ৩৫০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০০ টাকা, কাতলা ৪২০ থেকে বেড়ে ৪৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে বেড়ে ২৪০ টাকা। দেশীয় মাছ যেমন টেংরা, শিং, কই ইত্যাদির দামও কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়, সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়, আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর রামপুরা বাজারে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী শিহাবুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে বাজারে অতিরিক্ত দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। আর আজ সেই সবজির দাম আরও বেড়েছে। বাজারে যদি নিয়ন্ত্রণ না থাকে, যে যার মতো করে সবজি বিক্রি করে— তাহলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা কীভাবে এত দাম দিয়ে সবজি কিনে খাবে? যেকোনো অজুহাতে তারা দাম বাড়িয়ে দেয়। অথচ বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ আমরা কখনো দেখতে পাই না।মালিবাগ বাজারের আরেক ক্রেতা রাজু আহমেদ বলেন, আজকে বাজারে সবজির দাম আরেক দফা বেড়েছে। দোকানিরা বলছেন বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বাড়তি। অথচ গত তিন মাস ধরে সবজির দাম বেড়েই যাচ্ছে। যে যার মতো করে বাড়তি দামে সবজি বিক্রি করছে। আজ এসে যুক্ত হয়েছে বৃষ্টির জন্য সবজির দাম বেশি, কিন্তু তাহলে এতদিন ধরে সবজির দাম এত বাড়তি ছিল কেন?সবজির দামের বিষয়ে শান্তিনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, গত দুই দিন ধরে বৃষ্টির কারণে আজ সবজির দাম বাড়তি। এছাড়া বেশিরভাগ সবজির এখন মৌসুম শেষ হয়েছে, নতুন করে সবজি বাজারে না আসা পর্যন্ত সবজির দাম এমন বাড়তি থাকবে। আবার যে সবজি ক্ষেতে রয়েছে, সেগুলো গত দুই দিনের বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে সেই প্রভাব পড়েছে বাজারে। বৃষ্টি যদি আরও কয়েকদিন থাকে, তাহলে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে।ভোরের আকাশ/মো.আ.