টি-টোয়েন্টিতে ডট বলের শীর্ষে মোস্তাফিজ
শেষ ম্যাচে উইকেটশূন্য থেকে গেলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়ে ফেললেন বাংলাদেশি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ খেলায় তিনি ৪ ওভারে খরচ করেন ৪০ রান, সঙ্গে সাতটি ডট বল। আর তাতেই তিনি উঠে গেলেন এক নতুন উচ্চতায়—টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক ডট বল ফেলার মালিক এখন এই কাটার মাস্টার।
এখন পর্যন্ত ১২০ ইনিংসে মোস্তাফিজ করেছেন ১,১৪২টি ডট বল, যা তাঁর মোট বলের ৪৩.৬৫ শতাংশ। এর মাধ্যমে তিনি অতিক্রম করেছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদিকে (১,১৩৮)।
এই তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সাকিব আল হাসান, যার ডট বল সংখ্যা ১,০৭৮। এরপর ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ (৯৮৮) এবং আফগানিস্তানের রশিদ খান (৯৮৪)।
যদিও ডট বলের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন রশিদ খান, তবে তিনিই সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি—১৭৯ উইকেট নিয়ে। পাশাপাশি তাঁর ইকোনমি রেট সবচেয়ে ভালো (৬.১২)। মোস্তাফিজের সংগ্রহ ১৫২ উইকেট, ইকোনমি রেট ৭.৩২।
বাংলাদেশের আরেক পেসার তাসকিন আহমেদও কাছাকাছি অবস্থানে আছেন। ৮৩৮টি ডট বল করে তিনি তালিকার ১১তম স্থানে রয়েছেন, তাঁর ডট রেট ৪৭.৭৪ শতাংশ—যা এই ফরম্যাটে তাঁর দক্ষতার প্রমাণ।
যদিও আগের মতো ধারাবাহিকভাবে কাটারের জাদু দেখা যায় না, তবুও রেকর্ডবুকে জায়গা করে নিয়ে মোস্তাফিজ আবারও প্রমাণ করলেন—ডট বলের রাজা হিসেবে তিনি এখনও বিশ্বসেরা বোলারদের একজন।
ভোরের আকাশ//হর
সংশ্লিষ্ট
শেষ ম্যাচে উইকেটশূন্য থেকে গেলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়ে ফেললেন বাংলাদেশি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ খেলায় তিনি ৪ ওভারে খরচ করেন ৪০ রান, সঙ্গে সাতটি ডট বল। আর তাতেই তিনি উঠে গেলেন এক নতুন উচ্চতায়—টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক ডট বল ফেলার মালিক এখন এই কাটার মাস্টার।এখন পর্যন্ত ১২০ ইনিংসে মোস্তাফিজ করেছেন ১,১৪২টি ডট বল, যা তাঁর মোট বলের ৪৩.৬৫ শতাংশ। এর মাধ্যমে তিনি অতিক্রম করেছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদিকে (১,১৩৮)।এই তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সাকিব আল হাসান, যার ডট বল সংখ্যা ১,০৭৮। এরপর ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ (৯৮৮) এবং আফগানিস্তানের রশিদ খান (৯৮৪)।যদিও ডট বলের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন রশিদ খান, তবে তিনিই সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি—১৭৯ উইকেট নিয়ে। পাশাপাশি তাঁর ইকোনমি রেট সবচেয়ে ভালো (৬.১২)। মোস্তাফিজের সংগ্রহ ১৫২ উইকেট, ইকোনমি রেট ৭.৩২।বাংলাদেশের আরেক পেসার তাসকিন আহমেদও কাছাকাছি অবস্থানে আছেন। ৮৩৮টি ডট বল করে তিনি তালিকার ১১তম স্থানে রয়েছেন, তাঁর ডট রেট ৪৭.৭৪ শতাংশ—যা এই ফরম্যাটে তাঁর দক্ষতার প্রমাণ।যদিও আগের মতো ধারাবাহিকভাবে কাটারের জাদু দেখা যায় না, তবুও রেকর্ডবুকে জায়গা করে নিয়ে মোস্তাফিজ আবারও প্রমাণ করলেন—ডট বলের রাজা হিসেবে তিনি এখনও বিশ্বসেরা বোলারদের একজন।ভোরের আকাশ//হর
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে সরে দাঁড়ানো ক্লাবগুলোর ক্ষোভ আরও বেড়েছে। তিন দফা প্রস্তাব দিয়েও সমাধান না পেয়ে তারা সতর্ক করেছে—রোববার (৫ অক্টোবর) দাবিগুলো না মানা হলে সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে।শনিবার রাজধানীর মোহামেডান ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ঢাকার একদল ক্লাব সংগঠক ও কাউন্সিলর। এ সময় প্রায় ৪৩টি ক্লাবের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।তাদের প্রধান দাবি, ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন বাতিল করতে হবে এবং অবিলম্বে নতুন সূচি ঘোষণা করতে হবে।সংগঠকরা সংকট নিরসনে তিনটি বিকল্প প্রস্তাব দেন—১. বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ বাড়িয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা।২. একটি অ্যাডহক কমিটির অধীনে নির্বাচন সম্পন্ন করা।৩. বিদ্যমান বা নতুন কমিশনের তত্ত্বাবধানে বর্তমান সূচি বাতিল করে নতুন নির্বাচন ঘোষণা করা, যাতে সব স্টেকহোল্ডার অংশগ্রহণ করতে পারে।সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ ও ভোটাধিকার বাতিলের বিষয়ে হাইকোর্টে রিট দাখিল হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এ নিয়ে আদালতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করারও ইঙ্গিত দেন তারা।প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন দেশের খ্যাতনামা ক্লাব সংগঠক রফিকুল ইসলাম বাবু, লুৎফর রহমান বাদল ও মাসুদুজ্জামান। এছাড়া ইফতেখার রহমান মিঠু এবং বিসিবির পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনও যোগ দেন।ভোরের আকাশ//হর
আসন্ন ভেনেজুয়েলা ও পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের জন্য ২৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা। দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন ৩ নতুন ফুটবলার।ফিটনেস সমস্যার কারণে আগের ম্যাচে না খেললেও দলে ফিরেছেন লিওনেল মেসি। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেস।কোচ লিওনেল স্কালোনি নতুন মুখ হিসেবে দলে নিয়েছেন মিডফিল্ডার আনিবাল মরেনো, ডিফেন্ডার লাউতারো রিভেরো এবং গোলরক্ষক ফাকুন্দোকে। দীর্ঘ বিরতির পর দলে ফিরেছেন ডিফেন্ডার মার্কোস সেনেসি, যিনি সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন ২০২২ সালে।আর্জেন্টিনা আগামী ১০ অক্টোবর মায়ামিতে ভেনেজুয়েলা এবং ১৩ অক্টোবর শিকাগোতে পুয়ের্তো রিকোর মুখোমুখি হবে।আর্জেন্টিনা দল: এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, গেরোনিমো রুলি, ওয়াল্টার বেনিতেজ, ফাকুন্দো ক্যামবেসেস, গনসালো মন্তিয়েল, নাহুয়েল মলিনা, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, লিওনার্দো বালের্দি, নিকোলাস ওতামেন্দি, মার্কোস সেনেসি, লাওতারো রিভেরো, মার্কোস আকুনা, নিকোলাস তালিয়াফিকো, লেয়ান্দ্রো পারেদেস, আনিবাল মোরেনো, রদ্রিগো দি পল, এনজো ফার্নান্দেজ, নিকোলাস পাজ, গিওভানি লো সেলসো, থিয়াগো আলমাদা, অ্যালেক্সিস ম্যাক আলিস্টার, গিওলিয়ানো সিমিওনে, ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনো, লিওনেল মেসি, জোসে ম্যানুয়েল লোপেজ, হুলিয়ান আলভারেজ ও লাওতারো মার্তিনেজ।ভোরের আকাশ/তা.কা
শারজায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো টাইগাররা।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আফগানিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক জাকের আলী। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে রশিদ-নবিদের ইনিংস থামে ১৪৭ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।তবে ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একসময় কঠিন চাপের মুখে পড়েছিল তারা। টপ অর্ডারের বিপর্যয়ে ২৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। কিন্তু মাঝের ওভারে জাকের আলী, শামীম হোসেন এবং শেষ দিকে নুরুল হাসানের দারুণ ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তানের স্বপ্ন ভেঙে যায়। তবে ১৯.১ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫০ রান তুলে বাংলাদেশ।এতে ৫ বল হাতে রেখেই জিতল বাংলাদেশ। একইসঙ্গে এক ম্যাচ হাতে রেখেই আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত করেছে জাকের আলি অনিকের দল। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জোড়া উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম এবং পারভেজ ইমন ফিরে যান ২ রান করে। এরপর জাকের আলি অনিককে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন সাইফ হাসান। পরে ব্যক্তিগত ১৮ রান করে সাইফ বিদায় নিলেও লড়তে থাকেন জাকের।২৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর শামীম-জাকেরের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে বাংলাদেশ দল। দুইজনই বেশ স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে খেলছিলেন। এরপর ৩৩ রানে শামীম এবং জাকের ৩২ রানে বিদায় নিলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ১০৫ রানে দলের ৫ উইকেটের পতন ঘটে। তবে সোহান আশা বাঁচিয়ে রেখে দলের হাল ধরেন। অন্যপ্রান্তে যদিও নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেন ও সাইফউদ্দিনরা দ্রুত ফিরলে আশঙ্কার মেঘ কালো হতে থাকে।১২৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ হারের মুখে পড়ে। তবে আশা বাঁচিয়ে রাখা সোহান সেই বিপদ কাটিয়েছেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন শরিফুল। নিশ্চিত করেছেন টানা দ্বিতীয়য়াচে জয়। বিপরীতে আফগানদের হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা আফগানদের শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে রাখেন শরিফুল-নাসুমরা। শেষ পর্যন্ত রশিদ খানের দল ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তোলে। তাদের পক্ষে ইব্রাহিম জাদরান সর্বোচ্চ ৩৮ এবং রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৩০ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন নাসুম ও রিশাদ।ভোরের আকাশ//হ.র