আজই মা হতে পারেন কিয়ারা, মুম্বাইয়ের হাসপাতালে তারকা দম্পতি
বলিউডের জনপ্রিয় দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার পরিবারে আজই নতুন অতিথি আসতে পারে—এমন জোরালো গুঞ্জন উঠেছে। শনিবার সকালে এই তারকা জুটিকে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে দেখা যাওয়ার পর থেকেই বলিউডপাড়ায় শুরু হয় আলোচনা।
চলতি বছরের শুরুতে প্রথম সন্তানের আগমনের ঘোষণা দেন কিয়ারা ও সিদ্ধার্থ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজোড়া ছোট সাদা শিশুর মোজা হাতে নেওয়া একটি ছবি শেয়ার করে তারা জানিয়েছিলেন, “আমাদের জীবনে নতুন অতিথি আসছে।” এরপর থেকেই কিয়ারাকে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় প্রায়ই দেখা গেলেও সিদ্ধার্থ সবসময় চেষ্টা করেছেন স্ত্রীকে আড়ালে রাখতে।
শনিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। একটি ছাতা দিয়ে কিয়ারাকে আড়াল করে হাসপাতালে প্রবেশ করেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। তাদের সঙ্গে ছিলেন কিয়ারার বাবা। পাপারাজ্জিদের নজর এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সেই মুহূর্তের ভিডিও দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যেই কিয়ারা ও সিদ্ধার্থের দুই পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই সুখবর আসতে পারে।
২০২৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কিয়ারা ও সিদ্ধার্থ। চলতি বছরই তারা সন্তান আগমনের খবর জানান। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর কিয়ারা বলিউডের ব্যস্ততা থেকে বিরতি নিয়ে মাতৃত্বের নতুন অধ্যায় উপভোগ করছেন। সর্বশেষ তাকে দেখা গিয়েছিল কান চলচ্চিত্র উৎসবে রেড কার্পেটে।
এখন পুরো বলিউড ও অনুরাগীরা অপেক্ষায়, দুই থেকে তিন হওয়ার সেই বিশেষ মুহূর্তটির জন্য।
সংশ্লিষ্ট
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ (৩৯) হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। দিনদুপুরে নির্মম এই হত্যাকাণ্ড এবং ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও হতবাক প্রতিক্রিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে প্রতিবাদের ঝড়, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারাও।এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সামাজিক আবেগকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছেন অভিনেতা ও মডেল সালমান মুক্তাদির। শনিবার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “যে ধর্ষণ আর হত্যাকাণ্ড আপনাকে কষ্ট দেয়, সেগুলো পাশের রাজনৈতিক লোকগুলোর কাছে আনন্দের খোরাক হয়ে দাঁড়ায়। কেউ শুধু জাতীয় সংকটে আপনার পক্ষে কথা বলছে বলে ভাববেন না যে তারা ন্যায়বিচারের পক্ষে। তারা সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে নিজেদের স্বার্থে।”তিনি আরও বলেন, “যারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক, তারা কখনো রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে কাজ করে না। যারা নিঃস্বার্থভাবে পাশে থেকেছে, কেউ প্রাণ দিয়েছে, কেউ হাত-পা হারিয়েছে—আমাদের উচিত তাদের চিনে রাখা এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, দলমত নির্বিশেষে।”সতর্ক করে সালমান লেখেন, “চারপাশ চিনুন। আপনার আবেগকে যারা রাজনৈতিক হাতিয়ার বানাতে চায়, তাদের ফাঁদে পা দেবেন না। তারা চায় আপনি যেন তাদের ‘ত্রাণকর্তা’ ভাবেন, অথচ মানবতা ও সহমর্মিতা যেন কোনো দলের প্রচারণার পণ্য না হয়ে যায়।”সোহাগ হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, “এই ভয়ংকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতে সময় লেগেছে প্রায় দুই দিন। অথচ দেশে এত ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, এত সংগঠন থাকার পরও শুরুতে কেউ মুখ খোলেনি। বিএনপি, এনসিপি বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার—কেউ কোনো অবস্থান নেয়নি। কিন্তু সাধারণ তরুণরাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য দিয়ে সক্রিয় হয়েছে।”সালমান মুক্তাদিরের ভাষায়, “সব অপরাধী রাজনীতিবিদ নয়, আবার সব রাজনৈতিক দলও নির্দোষ নয়। আমরা যদি শুধুমাত্র একটি দলের বিরুদ্ধে দাঁড়াই, তাহলে সেটা পক্ষপাত হয়। আমাদের উচিত হচ্ছে অপরাধ এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে এককথায় দৃঢ় অবস্থান নেওয়া—দল, মত নির্বিশেষে।”তার এই স্ট্যাটাস ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই একে সময়োপযোগী ও সাহসী মন্তব্য হিসেবে দেখছেন। কেউ কেউ আবার মনে করছেন, এ ধরনের বক্তব্য রাজনৈতিক দায় এড়ানোর কৌশলও হতে পারে।তবে অধিকাংশের একমত, সোহাগ হত্যার মতো নৃশংসতা যেন আর না ঘটে এবং অপরাধীরা যে দলেই থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।কালের সমাজ//হ.র
বলিউডের জনপ্রিয় দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার পরিবারে আজই নতুন অতিথি আসতে পারে—এমন জোরালো গুঞ্জন উঠেছে। শনিবার সকালে এই তারকা জুটিকে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে দেখা যাওয়ার পর থেকেই বলিউডপাড়ায় শুরু হয় আলোচনা।চলতি বছরের শুরুতে প্রথম সন্তানের আগমনের ঘোষণা দেন কিয়ারা ও সিদ্ধার্থ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজোড়া ছোট সাদা শিশুর মোজা হাতে নেওয়া একটি ছবি শেয়ার করে তারা জানিয়েছিলেন, “আমাদের জীবনে নতুন অতিথি আসছে।” এরপর থেকেই কিয়ারাকে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় প্রায়ই দেখা গেলেও সিদ্ধার্থ সবসময় চেষ্টা করেছেন স্ত্রীকে আড়ালে রাখতে।শনিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। একটি ছাতা দিয়ে কিয়ারাকে আড়াল করে হাসপাতালে প্রবেশ করেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। তাদের সঙ্গে ছিলেন কিয়ারার বাবা। পাপারাজ্জিদের নজর এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সেই মুহূর্তের ভিডিও দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যেই কিয়ারা ও সিদ্ধার্থের দুই পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই সুখবর আসতে পারে।২০২৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কিয়ারা ও সিদ্ধার্থ। চলতি বছরই তারা সন্তান আগমনের খবর জানান। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর কিয়ারা বলিউডের ব্যস্ততা থেকে বিরতি নিয়ে মাতৃত্বের নতুন অধ্যায় উপভোগ করছেন। সর্বশেষ তাকে দেখা গিয়েছিল কান চলচ্চিত্র উৎসবে রেড কার্পেটে।এখন পুরো বলিউড ও অনুরাগীরা অপেক্ষায়, দুই থেকে তিন হওয়ার সেই বিশেষ মুহূর্তটির জন্য।
তারকাদের ব্যবহৃত নানা জিনিস নিলামে ওঠা নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি এক ব্রিটিশ অভিনেত্রীর ব্যবহৃত একটি ব্যাগ নিলামে বিক্রি হয়েছে ১০ মিলিয়ন ডলারে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এই নজিরবিহীন দামের ব্যাগটি বিক্রির খবর আন্তর্জাতিক নিলাম বাজারে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।ব্যাগটির মালিক ছিলেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী জেন বার্কিন, যিনি ‘ব্লো-আপ’ ও ‘ডেথ অন দ্য নাইল’-এর মতো ছবির জন্য খ্যাত। ফ্যাশন দুনিয়ায় বহুল জনপ্রিয় ‘বার্কিন ব্যাগ’ নামটি তার নাম থেকেই এসেছে। ১৯৮৪ সালে একটি বিমানে সফরকালে হার্মেসের ডিজাইনার জঁ লুই দ্যুমাকে স্টাইলিশ ও ব্যবহারযোগ্য একটি ব্যাগ তৈরির অনুরোধ করেছিলেন জেন বার্কিন। বিমানে বসেই দ্যুমা ব্যাগটির নকশা তৈরি করেন। সেখান থেকেই ‘বার্কিন ব্যাগ’-এর জন্ম।নিলামে বিক্রি হওয়া ব্যাগটি ছিল জেন বার্কিনের ব্যবহার করা প্রথম বার্কিন ব্যাগ। চামড়ার তৈরি ব্যাগটির ফ্ল্যাপে খোদাই করা রয়েছে তার নামের আদ্যক্ষর ‘জেবি’। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ব্যবহারের পরও ব্যাগটি এখনো দারুণ অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে নিলাম কর্তৃপক্ষ। প্রথমবার ১৯৯৪ সালে ক্যান্সার রোগীদের সহায়তা করতে একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্দেশে ব্যাগটি নিলামে তুলেছিলেন জেন বার্কিন। পরে ২০০০ সালে এক ফরাসি সংগ্রাহক তা কিনে নেন। সর্বশেষ, ২০২৫ সালে ফোনের মাধ্যমে এক জাপানি ক্রেতা ব্যাগটি ১০ মিলিয়ন ডলারে কিনে নেন।নিলাম সংস্থা জানিয়েছে, ফ্যাশনসংক্রান্ত কোনো শৌখিন জিনিসের বিক্রিতে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম। উল্লেখ্য, হার্মেস এখনো বার্কিন ব্যাগ তৈরি করে, যার দাম শুরু হয় প্রায় ১০ হাজার ডলার থেকে।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ফ্রান্সে মৃত্যু হয় অভিনেত্রী জেন বার্কিনের। তার নামের সঙ্গে যুক্ত এই ব্যাগ আজও বিশ্ব ফ্যাশন জগতে এক অনন্য প্রতীক হয়ে রয়ে গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঢালিউডের প্রখ্যাত চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা আজ (১১ জুলাই) জন্মদিন পালন করছেন। ১৯৯৮ সালে ‘এই জীবন তোমার আমার’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন তিনি। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জন্ম নেওয়া পূর্ণিমা মাত্র ১৫ বছর বয়সে অভিনয়ে হাত দেন, যা ছিল মায়ের উৎসাহ ও সমর্থনের ফল।প্রথম সিনেমায় রিয়াজের বিপরীতে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছিলেন পূর্ণিমা। তারপর থেকে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে তিনি অসংখ্য সিনেমায় কাজ করেছেন। নায়ক রিয়াজের সঙ্গে তার জুটিই সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল, পাশাপাশি মান্না, রুবেল, ফেরদৌস, শাকিব খান, আরিফিন শুভ ও আমিন খানসহ ঢালিউডের প্রায় সকল জনপ্রিয় নায়কের সঙ্গে কাজ করেছেন।শুধু বড় পর্দাতেই নয়, ছোট পর্দাতেও পূর্ণিমা খ্যাতি অর্জন করেছেন। জাহিদ হাসানের ‘লাল নীল বেগুনী’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেন তিনি। রিয়্যালিটি শো’র বিচারক হিসেবেও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, পাশাপাশি নিয়মিত মডেলিং ও বিজ্ঞাপনে দেখা যায় তাকে।২৭ বছর অভিনয় জীবনে তার অন্যতম সুপারহিট ছবি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার ‘মনের মাঝে তুমি’ (২০০৩), যা মুক্তির পর ব্যাপক সাড়া ফেলে। সর্বশেষ তাকে দেখা গেছে ছটকু আহমেদের পরিচালিত ‘আহারে জীবন’ সিনেমায়। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় রয়েছে নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূলের ‘জ্যাম’ ও ‘গাঙচিল’ চলচ্চিত্রগুলো।ব্যক্তিগত জীবনে পূর্ণিমার প্রথম বিয়ে হয়েছিল ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর, আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে। ২০১৪ সালে কন্যাসন্তানের মা হন তিনি। পরে ২০২২ সালে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন।জন্মদিন উপলক্ষে পূর্ণিমা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান করেননি, তবে সহকর্মী ও অনুরাগীদের শুভেচ্ছায় তিনি ভাসছেন। এই দিনে মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমি আজীবন আমার মায়ের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। তিনি না থাকলে আমি কখনো অভিনয়ে আসতাম না, পূর্ণিমা হইতাম না।”ভোরের আকাশ//হ.র