ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর সিরিয়ায় বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম পুনরায় শুরু
দীর্ঘ ১৪ বছর পর সিরিয়ায় আবারও উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারার মধ্যে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বৈঠকের পর এ ঘোষণা এসেছে।
শনিবার (১৭ মে) কুর্দিস্তান২৪ নিউজ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, রিয়াদে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ট্রাম্প সরাসরি আহমেদ আল শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যা গত ২৫ বছরে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ সিরীয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। বৈঠকে ট্রাম্প আহ্বান জানান, সিরিয়া যেন যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত 'আব্রাহাম চুক্তি'-তে যোগ দেয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমি শারাকে বলেছি, আশা করি তুমি আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে, যখন তোমার অভ্যন্তরীণ অবস্থা স্থিতিশীল হবে। সে 'হ্যাঁ' বলেছে, তবে এখনো অনেক কাজ বাকি।”
এই বৈঠকের পরই বিশ্বব্যাংক ঘোষণা দেয়, তারা সিরিয়ায় পুনরায় উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বব্যাংক দেশটির সঙ্গে সব ধরনের উন্নয়ন সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছিল।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, সৌদি আরব ও কাতারের আর্থিক সহায়তায় সিরিয়ার পক্ষ থেকে প্রায় ১৫.৫ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। এর পরই নতুন করে প্রকল্প শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্বব্যাংকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দীর্ঘ সংঘাত শেষে সিরিয়া এখন পুনর্গঠন ও উন্নয়নের পথে রয়েছে। নতুন সরকারের সঙ্গে আমাদের প্রথম প্রকল্প হবে দেশের বিদ্যুৎ অবকাঠামো উন্নয়ন। এই সহায়তা কেবল সিরিয়াকে নয়, গোটা অঞ্চলকেই স্থিতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে।”
উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অপসারণের পর সিরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক নতুন করে গড়ে উঠতে শুরু করেছে। একে একে তুলে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। বিশ্বব্যাংকের এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যের নতুন কূটনৈতিক পরিবেশের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে রোববার রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ২৬৭তম ধর্মগুরু হিসেবে অভিষেক নিলেন পোপ লিও চতুর্দশ। ‘ভিভা এল পাপা’ ধ্বনিতে মুখরিত ওই জমায়েতে দরিদ্রদের পক্ষে সোচ্চার হয়ে, গাজার মানুষের জন্য প্রার্থনা করে এবং চার্চের ঐক্যের বার্তা দিয়ে নিজের পোপালি দায়িত্বের সূচনা করেন তিনি।গত ৮ মে অনুষ্ঠিত কনক্লেভের মাধ্যমে নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক লিও—তিনি দেশটির প্রথম নির্বাচিত পোপ। এর আগে ২১ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তাঁর পূর্বসূরি, পোপ ফ্রান্সিস।বিশেষভাবে প্রস্তুত একটি গাড়িতে পোপ লিও যখন স্কয়ারে উপস্থিত হন, তখন সেখানে বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এছাড়া পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং পোপের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।দুই ঘণ্টাব্যাপী অভিষেক অনুষ্ঠানে পোপ লিওর বক্তব্য ছিল শান্তি, সহমর্মিতা ও ন্যায়ের পক্ষে। তিনি বলেন, “চার্চে ধর্মীয় অপপ্রচারের কোনো স্থান নেই। কেউ ক্ষমতা দেখিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে, তা টেকসই হবে না।”তিনি প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের বিনয়ের কথা স্মরণ করে বলেন, “আমি নিজের যোগ্যতায় নয়, একজন ভাই ও সেবকের মতো এই দায়িত্ব নিতে এসেছি।”পোপের অভিষেকে তাঁকে প্রদান করা হয় ধর্মীয় প্রতীক ‘পেলিয়াম’ ও ‘ফিশারম্যানস রিং’। এগুলো তাঁর আধ্যাত্মিক নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের প্রতীক।বক্তব্যের শেষ অংশে বর্তমান বৈষম্যমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সমালোচনা করে পোপ বলেন, “বিশ্বের সম্পদ একটি গোষ্ঠীর হাতে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে এবং দরিদ্রদের আরও পেছনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।” একইসঙ্গে তিনি ইউক্রেনে স্থায়ী শান্তির আহ্বান জানান এবং ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার জন্য গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।তিনি বলেন, “গাজার শিশু, পরিবার, বৃদ্ধ এবং হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষদের অনাহারের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা তাঁদের জন্য প্রার্থনা করি।”ভোরের আকাশ//হ.র
সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘাতের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দুই দিনের সরকারি সফরে চীন যাচ্ছেন। সোমবার শুরু হওয়া এই সফরে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে চীনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই–এর আমন্ত্রণে ১৯ থেকে ২১ মে পর্যন্ত বেইজিং সফর করবেন ইসহাক দার। সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এই সফর চীন-পাকিস্তান কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করবে এবং চলমান উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক সংলাপের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে আফগানিস্তান ইস্যুএ সফরের অংশ হিসেবে ২০ মে তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুততাকিও চীন সফরে যাচ্ছেন। সেখানে চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, শান্তি এবং স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাতগত মাসে কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন ভারতীয় পর্যটকের মৃত্যু হয়। ভারত হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করলেও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে।ভারত সীমান্তে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে। জবাবে পাকিস্তানও ‘অপারেশন বুনিয়ানুম-মারসুস’ নামের প্রতিরোধমূলক অভিযান চালায়। পাকিস্তানের দাবি, তারা ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান (তিনটি রাফালসহ) এবং বেশ কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানায়, এই সংঘর্ষে তাদের ১৩ সেনা সদস্যসহ মোট ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। ৮৭ ঘণ্টা স্থায়ী এ সংঘাত শেষ হয় ১০ মে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হওয়া এক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে।চীনের সমর্থনসংঘাতের সময় চীন প্রকাশ্যে পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানায়। বেইজিংয়ে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত পাকিস্তানকে ‘আয়রন ব্রাদার’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “সংকটকালে চীন সবসময় পাকিস্তানের পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।”কূটনৈতিক গুরুত্ববিশ্লেষকদের মতে, ইসহাক দারের এই সফর কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পর্যালোচনাই নয়, বরং আঞ্চলিক কূটনৈতিক সমীকরণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, আফগানিস্তানকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় কাঠামো গঠনের মাধ্যমে চীন দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।পাকিস্তান একদিকে যুদ্ধবিরতির পরিবেশ ধরে রাখতে চায়, অন্যদিকে ভারতের ‘আগ্রাসী ভূমিকাকে’ আন্তর্জাতিক মহলে চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছে।এই সফর শেষে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক কোন পথে যাবে, তা নির্ভর করবে চীনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা নতুন কূটনৈতিক সমঝোতার ওপর।সূত্র: দ্য নিউজভোরের আকাশ//হ.র
ভারতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগে ভারতের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে জাতিসংঘ। অভিযোগ উঠেছে, অন্তত ৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন বিষয়টিকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।৬ মে রাতে দিল্লির কয়েকটি এলাকা থেকে UNHCR-নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের আটক করে পুলিশ। প্রথমে বলা হয়েছিল, বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে, কিন্তু পরে তাদের বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়নি। আটকদের প্রথমে ডিটেনশন সেন্টারে, এরপর ৮ মে একটি নৌবাহিনীর জাহাজে করে আন্দামান পাঠানো হয়। অভিযোগ, সেখান থেকে তাদের চোখ-মুখ বেঁধে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়।ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানিয়েছে, যাদের ফেলা হয়েছে, তাদের মধ্যে কিশোর, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিও ছিলেন। অনেকেই বলছেন, পুলিশ মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে লাঞ্ছনাও করেছে।জাতিসংঘ বলছে, এই রোহিঙ্গারা আইনি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রাখে। তাদের কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই আটক করা হয়েছে, আদালতে তোলা হয়নি এবং নারী-শিশুদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করা হয়নি।এই ঘটনার পর জাতিসংঘ ৪০ জন রোহিঙ্গার খোঁজ শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা নিজেরাই সাঁতরে মিয়ানমারের তানিনথারি এলাকায় পৌঁছেছেন।ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রিট করলেও আদালত প্রমাণের ঘাটতির কথা বলে তা খারিজ করেছে। তবে বিষয়টি চলমান মামলার বেঞ্চে উপস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতিরা। শুনানি হবে ৩১ জুলাই।মানবাধিকার আইনজীবীরা বলছেন, ভারত আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করছে। তারা প্রশ্ন তুলছেন, মিয়ানমারের নাগরিকত্ব না পাওয়া এই শরণার্থীদের কীভাবে জোর করে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।একজন তরুণ রোহিঙ্গা বলেন, “আমার ভাই কোনো রাজনীতিতে ছিল না, ভালো মানুষ ছিল। তাকে আবর্জনার মতো ফেলে দেওয়া হয়েছে।”বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং ভারতকে মানবিক আচরণ নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ আহ্বান জানিয়েছে।ভোরের আকাশ//হ.র
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন আধিপত্য আর চলবে না- এমনই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এই অঞ্চল ছাড়তে হবে এবং এক সময় তারা যেতে বাধ্য হবে।’শনিবার (১৭ মে) তেহরানে এক সমাবেশে দেওয়া ভাষণে এই মন্তব্য করেন আল-খামেনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ামার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্য সফরের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া এই বক্তব্যে তিনি কড়া সমালোচনা করেন ওয়াশিংটনের আঞ্চলিক নীতি ও ভূরাজনৈতিক ভূমিকার।খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল হচ্ছে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোকে তাদের সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল করে রাখা। কিন্তু এই অঞ্চলের দেশগুলোর দৃঢ় প্রতিরোধই যুক্তরাষ্ট্রকে একদিন এখান থেকে বিতাড়িত করবে।প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্য সফর করেন। সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের সময় তিনি কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের সামরিক ও বাণিজ্যিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সফরকালেই ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন এবং তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনার হুঁশিয়ারি দেন।ট্রাম্পের কটাক্ষের জবাবে খামেনি বলেন, ‘এই সব মন্তব্য এতই নিচুস্তরের যে সেগুলো বক্তা ও আমেরিকান জনগণের জন্য লজ্জাজনক।’ তিনি ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘এসব কথার কোনো জবাব দেয়ার প্রয়োজন নেই।’গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও গণহত্যার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের মদদ আছে বলেও অভিযোগ করেন আল-খামেনি। তার ভাষায়, ‘ট্রাম্প বলেন, তিনি শান্তি চান। কিন্তু বাস্তবে, তার প্রশাসন গাজায় রক্তপাত, সন্ত্রাস ও সংঘাত উসকে দিচ্ছে। যেখানে তারা চায়, সেখানে আগুন লাগায় এবং নিজেদের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করে।’ইসরায়েল সম্পর্কে কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে খামেনি বলেন, ‘এই অঞ্চলেই যুদ্ধ, সংঘাত ও অস্থিরতার মূল উৎস হচ্ছে ইহুদিবাদী শাসন ব্যবস্থা। এটি এক ভয়াবহ ক্যান্সার- যাকে অবশ্যই উৎপাটন করতে হবে।’ভাষণের এক পর্যায়ে তিনি শিক্ষা খাতে সরকারের মনোযোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘শিক্ষায় খরচ আসলে একটি বিনিয়োগ, ব্যয় নয়। এটি জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার মজবুত ভিত্তি।’আল-খামেনির বক্তব্যে একটাই বার্তা স্পষ্ট- মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন আধিপত্যের সময় শেষ হয়ে আসছে। আঞ্চলিক জনসাধারণের প্রতিরোধ, রাজনৈতিক সচেতনতা এবং ভূরাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে একসময় বাধ্য হয়েই এই অঞ্চল ছাড়তে হবে।ভোরের আকাশ//হ.র