সাগর-রুনি হত্যা ১১৭ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ২১ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১১৭ বার পেছানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত এ দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্র বলছে, এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআইর অতিরিক্ত এসপি মো. আজিজুল হক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন-রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির দুই নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছে। বাকিরা কারাগারে আটক রয়েছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর দম্পতি সাগর ও রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তাদেরকে ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলা হয়। একইসঙ্গে মামলার তদন্ত থেকে র্যাবকে সরিয়ে দেওয়ারও আদেশ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়। পরে ১৭ অক্টোবর হাইকোর্টের নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগ থেকে টাস্কফোর্স গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের উচ্চপর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণসহ বিচারসেবা প্রদানে দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয় সম্পর্কে একটি সেমিনার আয়োজিত হয়েছে। এতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগ সংস্কারে যে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছিল সেই রোডম্যাপ এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে।সুপ্রিম কোর্ট এবং ইউএনডিপি, বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) হোটেল গ্র্যান্ড পার্ক, বরিশালে জুডিশিয়াল ইনডিপেন্ডেন্স অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ- শীর্ষক এই বিভাগীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণসহ বিচারসেবা প্রদানে দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয় সম্পর্কে আয়োজিত এই সেমিনারটি সিরিজের সর্বশেষ সেমিনার ছিল বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।এর আগে দেশের ৭ বিভাগীয় শহর, যথাক্রমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার (সিলেট), রাজশাহী, ময়মনসিংহ, রংপুর ও খুলনায় এ সংক্রান্ত ৮টি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এই আট সেমিনারের মধ্যে ঢাকায় আয়োজন করা হয় দুটি সেমিনার যার মধ্যে একটি আঞ্চলিক ও একটি জাতীয়। এ সংক্রান্ত জাতীয় সেমিনার ২২ জুন রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান বিচারপতি ঘোষিত বিচার সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ‘জুডিশিয়াল ইনডিপেন্ডেন্স অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার সিরিজের প্রথম সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায়।বৃহস্পতিবার বরিশালে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এতে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ইউএনডিপি, বাংলাদেশ এর আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।এছাড়া, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মি. হকোন অ্যারাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ্ কুক সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন।বক্তব্যের শুরুতে প্রধান বিচারপতি বলেন, এক বছর পূর্বে ২০২৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগ সংস্কারে যে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছিল সেই রোডম্যাপ এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এর ফলে বদলে গিয়েছে আদালতের সংস্কৃতি, জনগণের প্রত্যাশা এবং প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা। প্রধান বিচারপতি তার ভাষণে সংস্কার যাত্রায় কিছু উল্লেখযোগ্য অর্জনের কথা তুলে ধরেন।উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আইনজ্ঞ, গবেষক ও নাগরিকরা দাবি করে আসছিলেন একটি স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য এবং কলিজিয়ামভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার যার মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে।তিনি বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল অর্ডিন্যান্স-২০২৫ প্রণয়নের মাধ্যমে সেই প্রত্যাশা পূর্ণ হয়েছে। এরইমধ্যে এই প্রক্রিয়ায় আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে বহুল প্রতীক্ষিত জাতীয় ঐকমত্য আজ আইনে রূপান্তরিত হয়েছে এবং জনআস্থার যোগ্য একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুদৃঢ় হচ্ছে।বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক পৃথকীকরণ নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, একটি পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তি প্রায় সম্পূর্ণ। প্রধান বিচারপতি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সক্রিয় সহযোগিতা ও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী আমরা অগ্রসর হচ্ছি একটি যুগপৎ প্রশাসনিক দ্বৈতকাঠামো (পোস্টিং, বদলি ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত) অবসানের পথে। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আলোচিত ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তার দুই ভাই আব্দুস সামাদ ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন।আবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে এএম ট্রেডিং নামে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে জাল নথি তৈরি করে তা ব্যবহার করেছেন। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণের নামে ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সাইফুল আলম দুর্নীতির মাধ্যমে এসব অর্থ এস আলম সুপার এডিবল অয়েলের স্বার্থে স্থানান্তর বা পুনর্বিন্যাস বা রূপান্তর করেছেন, যার পরিমাণ ৩৪০ কোটি টাকা।তদন্ত চলাকালে আসামিদের আটক করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা বিদেশে পলাতক রয়েছেন। মোহাম্মদ সাইফুল আলম, আবদুস সামাদ এবং মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোল কর্তৃক তা কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত প্রার্থনা করছি।এর আগে গত ১০ জুলাই সাইফুল আলম, তার স্ত্রী ও সন্তানের নামে সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা মোট ৪০টি ব্যাংক হিসাব এবং একাধিক বিমা পলিসি অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়। তার স্ত্রীর নামে আরও ৪টি ব্যাংক হিসাব এবং তাদের দুজনের যৌথ নামে দুইটি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬.৮ কোটি সিঙ্গাপুর ডলার বিনিয়োগ অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়। তার আগে ৯ জুলাই এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা আরও ৫৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব ব্যাংক হিসাবে ১১৩ কোটি ৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৮ টাকা জমা রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্য দিচ্ছেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন।যেটি সরাসরি সম্প্রচার চলছে।এ মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।এ মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তদন্ত সংস্থার উপ-পরিচালক মো. জানে আলম খান। পরে তদন্ত করেন উপ-পরিচালক মো. আলমগীর (পিপিএম)। সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা। এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর গত ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে ৩১ মে সম্পূরক অভিযোগ দেওয়া হয়। ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়।গত ১০ জুলাই এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুন নিজেকে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হিসেবে যে আবেদন করেছেন, তা মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।ভোরের আকাশ/মো.আ.
দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সম্মানহানিকর, কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যা মন্তব্যের ঘটনায় ইসলামী বক্তা ও জামায়াত নেতা মুফতি আমির হামজাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও সাবেক শিক্ষার্থী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। ডাকযোগে মুফতি আমির হামজার কুষ্টিয়ার গ্রামের বাড়ির ঠিকানায় এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে বলে লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে। এ জন্য আমির হামজাকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।এই সময়ে মধ্যে ক্ষমা না চাইলে মুফতি আমির হামজার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ে দেওয়ানি আদালতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে নোটিশে।আইনি নোটিশে বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন নিউজ ও ইউটিউব ভিডিওর বরাত দিয়ে বলা হয়, মুফতি আমির হামজা নিজেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী দাবি করেছেন এবং আবাসিক হলে শিক্ষার্থীরা সকালে ‘মদ’ দিয়ে কুলি করে ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঠি দিয়ে পেটায় জাতীয় মিথ্যা, অবমাননাকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দেন। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে এই ধরনের মনগড়া, অসত্য বক্তব্যে ব্যারিস্টার শিহাবের অনুভূতিতেও আঘাত লেগেছে মর্মে আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়।আমির হামজার উক্ত বক্তব্য অস্বীকার করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞপ্তি প্রদান করলেও মুফতি আমির হামজা সেটার কোনোরূপ প্রতিবাদ জানাননি, অর্থাৎ তার বক্তব্য ইতিমধ্যে অসত্য, মানহানিকর প্রমাণিত হয়েছে। ভোরের আকাশ/মো.আ.