ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৪:২৭ পিএম
রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি: প্রেস সচিব
কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের ‘মানবিক করিডোর’ স্থাপন নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমকে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরেন তিনি।
মানবিক করিডোর নিয়ে প্রেস সচিবের কাছে আসা প্রশ্ন নিয়ে তিনি লিখেছেন- কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছে। উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে এটি একটি প্রধান বিশ্বশক্তির ভূ-রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ এবং এটি বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে ঝুঁকিতে ফেলবে। এমনকি একটি প্রধান রাজনৈতিক দলও মন্তব্য করেছে যে দেশের প্রধান অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া করিডোরের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল না। আপনি কি দয়া করে আমাদের বলতে পারেন আসলে কী ঘটছে?
মানবিক করিডোর নিয়ে পাওয়া প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব সরকারের অবস্থান তুলে ধরে লিখেছেন- আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে সরকার জাতিসংঘ বা অন্য কোনও সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে আলোচনা করেনি। আমাদের অবস্থান হল- রাখাইন রাজ্যে যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে মানবিক সহায়তা থাকে, তাহলে বাংলাদেশ সরবরাহ সহায়তা প্রদান করতে ইচ্ছুক হবে।
প্রেস সচিব রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে লেখেন, ইউএনডিপির মতে, রাখাইন রাজ্য একটি তীব্র মানবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারে আমাদের সহায়তার মাধ্যমে দুর্দশার সময়ে দেশগুলোকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটি দুর্দান্ত রেকর্ড রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইনে সহায়তা পৌঁছানোর একমাত্র কার্যকর রুট হচ্ছে বাংলাদেশের মাধ্যমে। এ পথে ত্রাণ পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে লজিস্টিক সহায়তা দিতে সম্মত। তবে এখনও রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে এ বিষয়ে দেশের প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
তিনি আরও লেখেন, যেখানে একটি বড় শক্তির সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কল্পিত অপপ্রচার। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে ধারাবাহিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার চালানো হয়েছে, এটি তারই অংশ। এ ধরনের অপপ্রচার আমরা আগেও দেখেছি, এখনো চলছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ৮ ঘন্টা আগে
আপডেট : ৮ ঘন্টা আগে
রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি: প্রেস সচিব
কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের ‘মানবিক করিডোর’ স্থাপন নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমকে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরেন তিনি।
মানবিক করিডোর নিয়ে প্রেস সচিবের কাছে আসা প্রশ্ন নিয়ে তিনি লিখেছেন- কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছে। উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে এটি একটি প্রধান বিশ্বশক্তির ভূ-রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ এবং এটি বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে ঝুঁকিতে ফেলবে। এমনকি একটি প্রধান রাজনৈতিক দলও মন্তব্য করেছে যে দেশের প্রধান অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া করিডোরের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল না। আপনি কি দয়া করে আমাদের বলতে পারেন আসলে কী ঘটছে?
মানবিক করিডোর নিয়ে পাওয়া প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব সরকারের অবস্থান তুলে ধরে লিখেছেন- আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে সরকার জাতিসংঘ বা অন্য কোনও সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে আলোচনা করেনি। আমাদের অবস্থান হল- রাখাইন রাজ্যে যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে মানবিক সহায়তা থাকে, তাহলে বাংলাদেশ সরবরাহ সহায়তা প্রদান করতে ইচ্ছুক হবে।
প্রেস সচিব রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে লেখেন, ইউএনডিপির মতে, রাখাইন রাজ্য একটি তীব্র মানবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারে আমাদের সহায়তার মাধ্যমে দুর্দশার সময়ে দেশগুলোকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটি দুর্দান্ত রেকর্ড রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইনে সহায়তা পৌঁছানোর একমাত্র কার্যকর রুট হচ্ছে বাংলাদেশের মাধ্যমে। এ পথে ত্রাণ পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে লজিস্টিক সহায়তা দিতে সম্মত। তবে এখনও রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে এ বিষয়ে দেশের প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
তিনি আরও লেখেন, যেখানে একটি বড় শক্তির সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কল্পিত অপপ্রচার। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে ধারাবাহিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার চালানো হয়েছে, এটি তারই অংশ। এ ধরনের অপপ্রচার আমরা আগেও দেখেছি, এখনো চলছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ