শেষ সেশনে ব্যাটিং ধস, অস্বস্তিতে বাংলাদেশ

শেষ সেশনে ব্যাটিং ধস, অস্বস্তিতে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ৭ ঘন্টা আগে

আপডেট : ৭ ঘন্টা আগে

শেষ সেশনে ব্যাটিং ধস, অস্বস্তিতে বাংলাদেশ

শেষ সেশনে ব্যাটিং ধস, অস্বস্তিতে বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শুরুটা দুর্দান্ত হলেও শেষ সেশনের ব্যাটিং বিপর্যয়ে লিড পেয়েও অস্বস্তিতে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ২২৭ রানে থামিয়ে দারুণ সূচনা করে টাইগাররা। এরপর ব্যাট হাতে এনামুল হক বিজয় ও সাদমান ইসলামের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১১৮ রান। সাদমান তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। বড় লিডের স্বপ্ন ছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু শেষ সেশনে এসে ব্যাটিং ধসের মুখে পড়তে হলো নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। কিন্তু দিনের শেষ ভাগে মাত্র ৩২ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচে নিজেদের আধিপত্যটাই কিছুটা হারিয়েছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ৯ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে ৯০.১ ওভারে ২২৭ রানেই অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। টাইগার বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ৬০ রানে শিকার করেন ৬টি উইকেট।

এরপর ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা করে দেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়। উদ্বোধনী জুটিতে ১১৮ রান করেন তারা।
তবে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির সম্ভাবনা তৈরি করেও পারেননি দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা বিজয়। ৮০ বলে ৩৯ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে উইকেট হারান তিনি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। ভাগ্যের সহায়তা না পেয়ে মন খারাপ করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বিজয়কে।

৩৯ রানের ইনিংসটিই ডানহাতি ব্যাটারের ক্যারিয়ারসেরা টেস্ট ইনিংস। দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুল হককে নিয়ে ৭৬ রানের জুটি করেন সাদমান। ইনিংসের ৫৪তম ওভারে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার শেষ বলে বেন কারেনের হাতে ক্যাচ হন মুমিনুল হক। এতে জুটি ভাঙে। ৬৪ বলে ৩৩ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটার।

পরের ওভারের প্রথম বলেই ব্রায়ান বেনেটের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সেঞ্চুরি সাদমান ইসলাম। টানা দুই বলে দুই সেট ব্যাটারকে হাঁরিয়ে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। বাঁহাতি টাইগার ব্যাটার করেন ১৮১ বলে ১৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ১২০ রান। এটি সাদমানের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এরপর ঝলক দেখান অভিষিক্ত লেগস্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা। ৮ রানের মধ্যে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাকের আলীকে তুলে নেন তিনি। শান্তর আউট হওয়ার ধরন বরাবরের মতো প্রশ্নবিদ্ধ। শর্ট মিডউইকেটে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আসেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৫৪ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান।

এরপর জাকেরও মাসেকেসার ঘূর্ণি বুঝতে না পেরে ফিরতি ক্যাচ দেন। ১৩ বলে জাকের করেন ৫ রান। মাসেকেসার পরের ওভারেই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম কাটা পড়েছেন রানআউটে। মিডঅনে ঠেলে দিয়েই দ্রুত সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন। সরাসরি থ্রোতে ননস্ট্রাইকের স্টাম্প ভেঙে দেন মাদভেরে। ৫৯ বলে মুশফিকের ৪০ রানের ইনিংসে ছিল ৪টি বাউন্ডারি আর একটি ছক্কার মার।

মাসেকেসার তৃতীয় শিকার হন নাঈম হাসান। স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি ৩ করেই। এরপর ৪ ওভার কাটিয়ে ১২ রান যোগ করেছেন মিরাজ আর তাইজুল।

ভোরের আকাশ/এসআই

  • শেয়ার করুন-

সংশ্লিষ্ট

শেষ সেশনে ব্যাটিং ধস, অস্বস্তিতে বাংলাদেশ

শেষ সেশনে ব্যাটিং ধস, অস্বস্তিতে বাংলাদেশ

আবাহনীকে হারিয়ে বসুন্ধরা কিংস চ্যাম্পিয়ন

আবাহনীকে হারিয়ে বসুন্ধরা কিংস চ্যাম্পিয়ন

টানা তৃতীয়বার এফএ  কাপ ফাইনালে সিটি

টানা তৃতীয়বার এফএ কাপ ফাইনালে সিটি

নাঈমদের বিপক্ষে ওডিআই ও  টেস্ট খেলবে কিউই ‘এ’ দল

নাঈমদের বিপক্ষে ওডিআই ও টেস্ট খেলবে কিউই ‘এ’ দল

মন্তব্য করুন