সংগৃহীত ছবি
আগামী সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শানে রেসালত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আহ্বান জানান। হেফাজতের হাটহাজারী উপজেলা শাখা এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, ‘কুফরি যাতে প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, সামনের নির্বাচনে ভোট দেওয়া যাবে না। যারা পূজা আর রোজা একই বলে, এগুলো কি ইসলাম। নবী ও রাসুলদের দেখানো সোজা রাস্তায় চলতে হবে। তাহলে দুনিয়া ও আখিরাত ঠিক থাকবে। সাহাবা কেরাম সত্যের মাপকাঠি। তাদের দেখানো রাস্তা সোজা রাস্তা।
জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনায় সাম্প্রতিক সময়ে সরব হয়েছেন হেফাজত আমির। গত ৪ আগস্ট ফটিছড়ির নাজিরহাট পৌরসভার চৌধুরী ছখিনা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছিলেন, জামায়াত একটি ভণ্ড ইসলামী দল, সহিহ ইসলামী দল নয়।
তিনি আরও বলেন, তারা মদিনার ইসলাম নয়; বরং মওদুদীর ইসলাম কায়েম করতে চায়। মওদুদীর মতাদর্শ অনুসরণ করলে ইমান থাকবে না। আমরা জামায়াতকে ইসলামী দল মনে করি না। তারা কখনো মদিনার ইসলাম চায়নি, তারা চায় মওদুদীবাদ প্রতিষ্ঠা করতে। তাই তাদের সঙ্গে ঐক্য সম্ভব নয়।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী দেশে ৯০ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ মুসলমান। বাকিরা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের। কিন্তু আমরা এখানে ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজিত করার পক্ষে নই। আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি দেখতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় উলামা কমিটির উদ্যোগে দেশের দাঈ ও ওয়ায়েজ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ বাংলাদেশ। আল্লাহভীরু মানুষ সমাজের নেতৃত্বের আসনে বসলে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।একজন শিক্ষিত মানুষ জাতির যে ক্ষতি করতে পারে, তা হাজার মানুষ মিলেও করতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা একটি মানবিক সমাজ গঠন করতে পারিনি। এ ক্ষেত্রে জাতিকে ওলামায়েদের পথ দেখাতে হবে। নিজের জ্ঞানকে কোরআন-হাদিসের আলোকে জাতির জন্য কাজে লাগাতে হবে।পরস্পরবিরোধী দ্বন্দ্বে না লিপ্ত হয়ে দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতে আমির বলেন, বাংলাদেশের আলেমরা শুধু মসজিদের নেতৃত্ব নয় জাতিরও নেতৃত্ব দেবে। কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে আলেম সমাজকে পথ দেখাতে হবে। দেশের আলেমরা সমাজ পরিচালনায় অংশ নিলে দেশ থেকে সকল ধরনের দুর্বৃত্তায়ন দূর হবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
তরুণ ও নারীসহ সকল শ্রেণি-পেশার ভোটার আকর্ষণে মাঠে নামছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার আকর্ষণে সম্ভাব্য প্রার্থীসহ দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ইতোমধ্যে ভোটের মাঠে রয়েছে বলে দলটির সূত্রে জানা গেছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচন হবে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের নির্বাচন। এ নির্বাচনে জয়ের টার্গেট নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনেও মাঠে ছিল বিএনপি।এছাড়া, সভা-সেমিনারসহ বিভিন কর্মসূচি হাতে নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীর রয়েছে নিজ-নিজ এলাকায়। তরুণ ও নারী ভোটারদের কাছে টানতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলে নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছে। এছাড়া, ‘নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম’ ১৪ অক্টোবর থেকে ভোটের মাঠে থাকবে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।দলের এক সূত্রে জানা যায়, দেশ ও জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্যে ৩১ দফা সম্পর্কে তরুণ ও নারী ভোটারসহ সকলের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করাই তাদের মূল লক্ষ্য। ভোটারের আস্থা পুনরুদ্ধারে জনমত গঠন এবং রাষ্ট্র সংস্কারের অঙ্গীকার নিয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করতেই দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত বিএনপির। দলীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন কাজ করছে দলটি।জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বৈঠক, সমাবেশ ও আলোচনা মাধ্যমে এই প্রচারণা পরিচালিত হবে। প্রার্থী ঘোষণার পূর্বেই দলীয় কোন্দল অথবা কারো প্রতি অসন্তোষ থাকলে তা মিটিয়ে ফেলারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির শীর্ষ নেতারা। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে সে বিষয়টিও নজরে রয়েছে দলটির। তাই দলের সমন্বয় জোরদার ও কৌশলগতভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতির দিকে নজর দিচ্ছে দলটির শীর্ষ নেতারা। কাজেই জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের পাশাপাশি তরুণ ভোটার আকর্ষণে ব্যস্ত রয়েছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।বিএনপি মনে করছেন, গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে তরুণরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। দেশে তরুণ ভোটার ৩ কোটি ৪ লাখ ৭ হাজার। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২৯ বছর। মোট ১২ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ভোটারের ২৪ দশমিক ৪২ শতাংশই তরুণ। বড় অংশই শিক্ষার্থী। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা হবেন গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ভোটের হিসাবনিকাশ তারা পালটে দিতে পারেন। কাজেই বিএনপির টার্গেটও তরুণ ভোটার।বিএনপির এক বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, দলটির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের সকল নেতারা স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকার জনগণকে নিয়ে সভা-সেমিনার করছে। একইসঙ্গে তারুণ্যের সেমিনার ও সমাবেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, তরুণদের মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা এবং তাদের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করাসহ বিভিন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে।সেমিনারে কর্মসংস্থান, বহুমাত্রিক শিল্পায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মৌলিক অধিকার, কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা এবং নাগরিক সমস্যা নিয়ে তরুণদের বক্তব্য ও মতামত শুনছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। মূলত তরুণদের একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতেই এ উদ্যোগ।এছাড়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ প্রায় ১৫০০ পরিবারের আর্থিক ও চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছেন বলে সংগঠনটির সূত্রে জানাগেছে। এছাড়াও মাইল স্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনার আহত-নিগত ও জুলাই অভ্যুথানে আহতদের সুচিকিৎসাসহ নিহতদের পরিবারের পাশে থাকছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে জটিল রোগাক্রান্ত মানুষকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনগণের পাশে থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড।নেতারা জানান, বিএনপি আগামীতে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে চায়। জনগণ সেটি যাতে বোঝে, জনগণের সামনে দৃশ্যমান হয়, বিএনপি সেই ধরনের কর্মসূচি আগামীতে অব্যাহতভাবে পালন করে যাবে।দলটির সূত্র জানায়, বিএনপির পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে প্রতিটি আসনে দলীয় একক প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা থাকবে, যাতে দলের পদপদবির পরিচয়ে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী না হতে পারেন। যদিও এখন প্রায় প্রতিটি আসনে বিক্ষিপ্তভাবে একাধিক প্রার্থী প্রচার ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। দলের প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়ার আগপর্যন্ত যাতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা কোনো প্রকার দ্বন্দ্ব-সংঘাতে না জড়ান, সে জন্য কেন্দ্র থেকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপির বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে নানামুখী অপপ্রচার চলছে বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা। বিভিন্ন সময়ে অভিযোগের ভিত্তিতে দলের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।পরে দেখা গেছে, অভিযোগের সব সত্য নয়। যেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি, তাদের স্বপদে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিএনপি এখন মনে করছে, এই সাংগঠনিক পদক্ষেপে দলের অভ্যন্তরে একটা শৃঙ্খলা আনা সম্ভব হয়েছে।বিএনপির সিনিয়র নেতারা জানান, এবারের নির্বাচনে তরুণ, অভিজ্ঞ ও প্রবীণদের সমন্বয়ে হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। এ তালিকা করতে মাঠপর্যায়ে ইতোমধ্যে কয়েকটি টিম কাজ করছে। যাদের এলাকায় জনপ্রিয়তা আছে, বিগত আন্দোলনে ছিলেন, দলের প্রতি আনুগত্য রয়েছে এবং দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন- এমন নেতাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় রাখতে চায় দলটির হাইকমান্ড। সেই সঙ্গে ১৯৯১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়া জনপ্রিয় প্রার্থীদের মূল্যায়নও করা হবে বলে জানা গেছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে প্রতিটি সভা-সমাবেশ ও দলীয় ফোরামেবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, আসছে নির্বাচন বিএনপির জন্য সহজ হবে না; দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা। এমন বক্তব্যে ধারণা করা হচ্ছে দলের ভেতরে শক্তভাবে সাংগঠনিক পুনর্গঠনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে বিএনপি।দলটির বিশ্বস্ত সূত্রে আরো জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানের পর ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় জরিপ চালিয়ে ত্যাগী, বিতর্কমুক্ত, জনপ্রিয়, শিক্ষিত ও শক্তিশালী প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তারেক রহমানকে। এছাড়া যেকোনো অন্তঃকোন্দল শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিএনপি এই নির্বাচনে নারী নেতৃত্বের প্রসার ও নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূল শক্তিশালী করতে সচেষ্ট।বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান ভোরের আকাশকে বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। বিএনপির প্রস্তুতি আছে। আমাদের নিয়মিত সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়েও জনগণের পাশে থাকবেন।আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি যেহেতু একটি বড় রাজনৈতিক দল, তাই একেকটি আসনের বিপরীতে একাধিক প্রার্থী থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এ নিয়ে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা গ্রুপিং না হয় সে বিষয়েও এবার কঠোর থাকবে দল। নবীন-প্রবীণ মিলিয়ে নতুন চমক নিয়েই এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে।বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক ভোরের আকাশকে বলেন, তরুণ প্রজন্মই হবে বিএনপির প্রধানত শক্তি। তারুণ্যের শক্তি দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে বিএনপি বদ্ধপরিকর। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তরুণদের কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতিসহ ৩১ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে বিএনপির নীতিমালা গড়ে উঠেছে। আমরা অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আরও বেশি নারী, তরুণ নেতা ও পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাতে জাতি আরও এগিয়ে যায় এবং রাজনীতি মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকে। আমরা চাই, বিএনপির পরিচয় হোক, সেবা, ন্যায়বিচার ও দক্ষতার প্রতীক হিসেবে; বিভাজন কিংবা সুবিধাভোগের প্রতীক নয়।জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। আগামী নির্বাচনে বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সব অংশীজন রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে দেশ গঠনে কাজ করবে।তিনি বলেন, শুধু তরুণ ভোটারই নয়, সারাদেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে ধানের শীষের পক্ষে উম্মাদনা দেখা যাচ্ছে। আমরা প্রত্যাশা করছি, জনগণের রায় নিয়েই বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর সুখী, সমৃদ্ধশালী ও স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে।যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ভোরের আকাশকে বলেন, দেশে তরুণ ভোটার সারে ৩ কোটির ওপর। তাদের বিষয়ে আমাদের কিছু চিন্তাভাবনা আছে। যে কোনো কাজে তরুণদের প্রাধান্য দিতে চাই। দেশের তরুণদের স্বপ্ন, মেধা, জ্ঞান, শক্তি এবং সাহস ধারণ করার সক্ষমতা বিএনপির রয়েছে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে দেশের উন্নয়নে আমরা কাজে লাগাতে চাই।ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির ভোরের আকাশকে বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চান তরুণরা সব সেক্টরে প্রতিনিধিত্ব করুক। সেজন্য তার নির্দেশনায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের দলের সঙ্গে তরুণদের সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছি। কর্মসূচিতে তরুণদের ভাবনা শুনছি। দলের পলিসি বা সংস্কারসহ যে কোনো বিষয়ে তরুণদের দ্বিমত পোষণেরও সুযোগ থাকছে। এ পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়ন করা হতে পারে তার ধারণাও দেওয়া হচ্ছে।ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রান্তিক পর্যায়ের নারীদের সংগঠিত করে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নারী কর্মীরা। আগামী ১৪ অক্টোবর খুলনা বিভাগ থেকে ‘নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম’- এর নারী সদস্যরা এই কর্মসূচি শুরু করবেন। মূল লক্ষ্য বর্তমানের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, নৈতিক অবক্ষয় থেকে বের হয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে নারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা।এ প্রসঙ্গে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী ভোরের আকাশকে বলেন, আগামী ১৪ অক্টোবর খুলনা থেকে কাজ শুরু করবে সংগঠনটি। তিনি বলেন, ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিএনপি কিভাবে দেশ পরিচালনা করবে তা নারী ভোটারদের সামনে তুলে ধরা হবে। তৃণমূল পর্যায়ের নারীদেরকে নিয়ে আমরা ধানের শীষের পক্ষে জনমত তৈরি করব। নারী ভোটারদের সচেতন করব। নারীদের অধিকার ও সুরক্ষা নিয়ে কথা বলব। নারীদের কিভাবে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলা হবে সে পরিকল্পনাও তুলে ধরা হবে।নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, ১৪ অক্টোবর খুলনা জেলা ও মহানগরের পাশাপাশি বাগেরহাট এবং সাতক্ষীরার বিএনপি সমর্থিত সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় হবে। পরদিন ১৫ অক্টোবর বৃহত্তর যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ ও নড়াইলের সাবেক এবং বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা সভা হবে।১৬ অক্টোবর কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় হবে। এসব কর্মসূচিতে সংশ্লিষ্ট জেলার বিএনপি সভাপতি বা আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক বা সদস্য সচিবদের যুক্ত করা হবে।সংগঠনটির সূত্রমতে, সম্প্রতি এ ব্যাপারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভাচুর্য়ালি নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের শীর্ষ দুই নেতা বেগম সেলিমা রহমান ও অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে তৃণমূল পর্যায়ে নারীদের সংগঠিত করার পরামর্শ দিয়েছেন।এরপর থেকেই দেশজুড়ে গণসংযোগের উদ্যোগ নেয় নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম। পাশাপাশি সারা দেশে নির্বাচিত সাবেক ও বর্তমান নারী জনপ্রতিনিধির নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন তারেক রহমান। কেন্দ্রীয় দপ্তর বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের মাধ্যমে সেই তালিকা সংগ্রহ করে ইতোমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেত্রীর কাছে দিয়েছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশে জুলাই সনদ ঘোষণা, জাতীয় নির্বাচনসহ ভূ-রাজনীতিকেন্দ্রিক ঘুমোট পরিবেশ বিরাজ করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে সরকার ও সকল রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক আস্থা ও ঐক্যের বিকল্প নেই। কিন্তু সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কিছু মন্তব্য ও বক্তব্যে বিভ্রান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। অনেক সময় ঐক্য ভাঙনের কারণ হয়েও দাঁড়াচ্ছে। তাদের মন্তব্য যাই হোক না কেন, সাধারণ মানুষের আলোচনা-সমালোচনার খোরাক হয়ে উঠেছে।ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সাড়ে সাত মাস ধরে অনৈক্যের একই আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে জুলাই সনদ। সিরিজ বৈঠকেও মিলছে না সফলতা।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় জুলাই সনদের ওপরই নির্ভর করছে ফেব্রুয়ারির অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের সফলতা। কিন্তু নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে দলগুলো। শুধু তাই নয়, সনদকেন্দ্রিক নিজেদের দাবি পূরণ না হলে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার হুমকি প্রদান করে চলেছে অনেক রাজনৈতিক দল। ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের খসড়া চূড়ান্ত করা হলেও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। আগামী ১৫ অক্টোবর ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় দফার বর্ধিত মেয়াদ শেষ হবে। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মন্তব্য দেশে মতবিরোধের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে।দায়িত্বশীলদের মন্তব্যসম্প্রতি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে সাইড লাইনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জিটিওর মেহেদি হাসানকে দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকার দেন।সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সেসবের ব্যাখ্যা দেন। কিন্তু ইতোমধ্যে দেশে ফিরলেও প্রধান উপদেষ্টা নিজে ওসব বক্তব্যের কোনো ব্যাখ্যা দেননি।প্রধান উপদেষ্টার যে দুটি বক্তব্য সবচেয়ে বেশি আলোচনার জন্ম দিয়েছে, তা হলো- নির্বাচন ও আওয়ামী লীগের ফেরা প্রসঙ্গ। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘আপনি এই সাক্ষাৎকারের শুরুতে যেমন বলেছেন, বাংলাদেশের অনেক মানুষ এখনই পদক্ষেপ চান-আগামীকাল নয়, ছয় মাস পরেও নয়। সমালোচকেরা বলছেন, এটি অনেক দেরি। নির্বাচনের জন্য আরও ছয় মাস অপেক্ষা করাটা অনেক দীর্ঘ সময়। মানুষ অস্থির হয়ে পড়ছেন। আমরা কেন আগে নির্বাচন করতে পারছি না? নেপালে, যেখানে এই বছরে কিছুদিন আগে সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে, সেখানকার অন্তর্বর্তী নেতা মাত্র ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাংলাদেশের একটি নির্বাচনের জন্য কেন ১৮ মাস লাগছে বা লাগবে?’এর জবাবে প্রধান উদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই, আপনি বললেন, মানুষ বলছে অনেক সময় লাগছে। এমন মানুষও আছে, যারা বলছে ৫ বছর থাকুন, ১০ বছর থাকুন, ৫০ বছর থাকুন। সুতরাং মানুষ সব ধরনের কথা বলছে। আপনি থাকুন, নির্বাচন কেন? কার নির্বাচন দরকার? আওয়ামী লীগকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল হয়নি, কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, সেটা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত।তবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ তিনি তুলে নিতে পারেন কিনা জানতেত চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন,‘স্থগিতের আদেশ তুলে নেওয়ার বিষয়টি একটি সম্ভাবনা।’প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারের এই অংশ নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ইতোমধ্যে সমালোচনামূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।গত ২৩ সেপ্টেম্বর ‘শাপলা প্রতীক না পেলে কীভাবে নির্বাচন হয় দেখে নেব’- এমন মন্তব্য করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এনসিপির মার্কা শাপলাই হতে হবে। অন্য কোনো অপশন নাই। না হলে কোনো নির্বাচন কীভাবে হয় আর কে কীভাবে ক্ষমতায় গিয়ে মধু খাওয়ার স্বপ্ন দেখে, সেটা আমরাও দেখে নিব।’ এখানে ‘দেখে নেওয়া’র বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা।গত ১৬ আগস্ট চিকিৎসকদের উদ্দেশে কঠোর প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আপনারা কি ওষুধ কোম্পানির দালাল? কোন পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের? তিনি রোগীদের অপ্রয়োজনীয় টেস্ট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যস্বত্বভোগী না হওয়ারও অনুরোধ করেন।তিনি চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘দয়া করে এসব অত্যাচার বন্ধ করুন। বাংলাদেশের মানুষ গরিব। বড়লোকদের গলা কাটেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রতি এভাবে নিষ্ঠুর হবেন না।’ উপদেষ্টার এমন মন্তব্যে ইতোমধ্যে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে দেশের চিকিৎসক সমাজ।গত ২৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ‘আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কারো সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না। আমাকে অনেকে ভয় দেখায়-যদি আমরা ক্ষমতায় আসি, পাশের দেশের (ভারত) লোকেরা ঢুকে পড়বে। আমি বলি, আমি দোয়া করি তারা ঢুকুক। ঢুকলেই আমাদের সেই বদনাম যাবে, যা ১৯৭১ সালে মিথ্যাভাবে চাপানো হয়েছে। তখন আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার যোদ্ধা হিসেবে নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পাব। কমপক্ষে ৫০ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ করবে।’খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনাকে ‘ভুয়া ধর্ষণ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। এ নিয়ে বিতর্ক হয়।পরবর্তীতে তিনি জানান, এ অনাকাক্সিক্ষত শব্দ ব্যবহার করার জন্য তিনি ‘বিব্রত ও দুঃখিত’। হান্নান এবার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ধর্ষণের মতো গর্হিত অপরাধকে কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না। ধর্ষকের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জামায়াতকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘ইসলামের নামে রাজনীতি করে জনগণের সঙ্গে মুনাফিকি করছে।’তিনি বলেন, ‘আপনারা ইশারা ইঙ্গিতে বিএনপিকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছেন। জনগণ জানে কারা নিজেদের অঙ্গীকার রক্ষা করে। খালেদা জিয়া জেল খেটেছেন, তারেক রহমান দেশ ছেড়েছেন তবুও দেশকে রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। নির্যাতিত ও অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছে- আমরা বিএনপি পরিবার। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।’দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এমন আরও অনেক মন্তব্য ও বক্তব্য রয়েছে, যা পারস্পরিক সম্প্রীতি ও আস্থার সংকট সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।এর আগেও চলতি বছরের শুরুতে দেশের সেনাপ্রধানের বক্তব্য এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ ইস্যু নিয়ে চলে ব্যাপক আলোচনা। একই ইস্যুর ওপর সরকার এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য বিভ্রান্তির জন্ম দেয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগের জল্পনা বেড়েছিল এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কথায়।কিন্তু পরবর্তীতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আর ফেসবুকে ‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না’- পোস্ট দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর মুছে ফেলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দায়িত্বশীল অনেকের ঐকমত্যের আহ্বানমূলক বক্তব্যের কয়েক লাইন পরেই সাংঘর্ষিক ও বিরোধিমূলক কথা চলে এসেছে। স্পর্শকাতর বিষয়ে দেয়া বক্তব্য কয়েক ঘণ্টা পর মুছে ফেলার ঘটনাও ঘটছে। ফলে দায়িত্বশীলদের বক্তব্যে জনসাধারণের আস্থা ও বিশ্বাস রাখার ক্ষেত্রে মারাত্মক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। যা রাষ্ট্র ও সরকার সম্পর্কে জনমনে ভ্রান্ত ধারণার জন্ম দিচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আগামী সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শানে রেসালত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আহ্বান জানান। হেফাজতের হাটহাজারী উপজেলা শাখা এ সম্মেলনের আয়োজন করে।মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, ‘কুফরি যাতে প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, সামনের নির্বাচনে ভোট দেওয়া যাবে না। যারা পূজা আর রোজা একই বলে, এগুলো কি ইসলাম। নবী ও রাসুলদের দেখানো সোজা রাস্তায় চলতে হবে। তাহলে দুনিয়া ও আখিরাত ঠিক থাকবে। সাহাবা কেরাম সত্যের মাপকাঠি। তাদের দেখানো রাস্তা সোজা রাস্তা।জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনায় সাম্প্রতিক সময়ে সরব হয়েছেন হেফাজত আমির। গত ৪ আগস্ট ফটিছড়ির নাজিরহাট পৌরসভার চৌধুরী ছখিনা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছিলেন, জামায়াত একটি ভণ্ড ইসলামী দল, সহিহ ইসলামী দল নয়।তিনি আরও বলেন, তারা মদিনার ইসলাম নয়; বরং মওদুদীর ইসলাম কায়েম করতে চায়। মওদুদীর মতাদর্শ অনুসরণ করলে ইমান থাকবে না। আমরা জামায়াতকে ইসলামী দল মনে করি না। তারা কখনো মদিনার ইসলাম চায়নি, তারা চায় মওদুদীবাদ প্রতিষ্ঠা করতে। তাই তাদের সঙ্গে ঐক্য সম্ভব নয়।ভোরের আকাশ/তা.কা