ছবি: ভোরের আকাশ
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনেই অভিযান চালিয়ে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে একটি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করেছে প্রশাসন। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে অভিযান পরিচালনা করেন পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হক।
তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞার শুরুর আগ মুহূর্তে ট্রলারটি বরফসহ সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় অভিযান চালিয়ে সেটি জব্দ করা হয়।
হাসিবুল হক বলেন, “২২ দিনের এ নিষেধাজ্ঞার সময় সার্বক্ষণিক অভিযান চলবে। কাউকে আইন অমান্য করে সাগরে নামতে দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে আমরা জেলেদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি, যা তারা আন্তরিকভাবে মেনে নিচ্ছেন।”
তার নিয়মিত অভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অবৈধ জাল ব্যবহার কমেছে এবং মাছের উৎপাদন বাড়ছে বলে জানান তিনি।
কয়েকজন জেলে জানান, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হক সবসময় জেলেদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং নিরলসভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। তারা বলেন, “তার কার্যক্রমে আমরা খুশি। এই কার্যক্রম যদি চলমান থাকে তাহলে আমরাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হব।”
ইলিশের টেকসই উৎপাদন ও প্রজনন নিশ্চিতে সরকার ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের নদ-নদী ও সাগরে সব ধরনের ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে অতিরিক্ত মদ্যপানে অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু'জনের মৃত্যু হয়েছে।শনিবার (৪ অক্টোবর) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।মৃতরা হলেন- বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের সৌরভ দাস (১৭) ও শ্রীনিবাস মালাকার (৬৫)।বিজয়নগর থানার ওসি শহীদুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাতে সৌরভ ও শ্রীনিবাস অতিরিক্ত মদ্যপান করে অসুস্থ হয়ে যায়।পরে সৌরভ দাসকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।এছাড়া একই সময়ে নিজ বাড়িতে মারা যান শ্রীনিবাস।খবর পেয়ে মৃতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।ভোরের আকাশ/জাআ
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আদিবাসিদের ঐতিহ্যবাহী মিলন মেলায় যোগ দিতে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, রাজশাহী ও নওগাঁ সহ দেশের বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সকল বয়সের নারী-পুরুষের সমাগম ঘটে।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকাল থেকেই নারী-পুরুষসহ সর্বস্তরের মানুষ আসতে শুরু করে মেলায়।শারদীয় দূর্গা পুজার একদিন পরে উপজেলার গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মিলন মেলায় উৎসবে মেতে উঠে সকল বয়সের আদিবাসী জনগোষ্ঠীরা।মেলায় বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে জুড়ানো বর্ণাঢ্য আয়োজনে সকল ধরনের দোকানপাট, খেলনা সামগ্রী, দোলনা সহ উপভোগ করার মতো জনসাধারণের উপচে পড়া ভিড় জমায়।বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় উৎসব মুখর পরিবেশে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় এই মিলন মেলা। যুগ যুগ ধরে ঐতিহ্যবাহী এই মেলাটি অনেকের কাছে বাসিয়া হাটি নামে পরিচিত।প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নিজপাড়া, মোহনপুর ও মরিচা ইউনিয়নের আয়োজনে এবং গোলাপগঞ্জ দূর্গাপুজা উদযাপন কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ মনজুরুল ইসলাম।আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির আহবায়ক যোশেফ হেমরম এর সভাপতিত্বে, বীরগঞ্জ থানা আদিবাসী সমাজ কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারি কমলাকান্ত ও সহ সেক্রেটারি বিশ্বনাথ মরমু এর সঞ্চালনায় মিলন মেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমান চৌধুরী (শাহীন), নিজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান আনিস, দিনাজপুর কালিতাসের আঞ্চলিক পরিচালক রবি মাডি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক মনোজ কুমার রায়সহ আরো অনেকে।এই মেলাকে কেন্দ্র করে কয়েক বছর ধরে একটি গুজব দেখা যায়। এখানে নাকি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েরা পছন্দের জীবনসঙ্গী খুঁজে নিতে পারেন। এখানে কোনো পাত্র বা পাত্রী পছন্দ হলে ধুমধামে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্ত বাস্তবে এর সত্যতা খুজে পাওয়া যায়নি।এই ব্যাপারে জানতে চাইলে বীরগঞ্জ উপজেলা আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির সভাপতি শীতল মার্ডি বলেন, পূর্ব পুরুষেরা এই মেলা শুরু করে। আমরা শুধু ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যাচ্ছি। তবে কবে থেকে এ মেলার প্রচলন শুরু হয়েছে সেটি সঠিকভাবে বলা যাবে না। আনুমানিক কয়েক শত বছর পূর্ব থেকে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে, এই মেলাটি আমাদের পূর্বপুরুষ বাপ-দাদার কাছ থেকে শুনেছি। তবে বিয়ের বিষয়টি আমি এই মেলায় হতে দেখিনি। কেউ মেলায় কাউকে পছন্দ করে পরে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করতেই পারে।এই দিনটি ঘিরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সব বয়সী নারী-পুরুষেরা নানা রুপে ভিন্ন ভিন্ন সাজে মেলায় আসেন ঐতিহ্যবাহী এই মেলা উপভোগ করত।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নিয়োগবিধি সংশোধন, ইন সার্ভিস ট্রেনিং এবং ১৪তম গ্রেডে আপগ্রেডেশনসহ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।এজন্য কাপাসিয়ায় টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই), টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।বাংলাদেশ হেল্থ অ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন, কাপাসিয়া শাখার আয়োজনে বুধবার (১ অক্টোবর ২০২৫) সকাল থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি শুরু হয়।সংগঠনের সভাপতি আরিফ হোসেন সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে কর্মবিরতিতে অংশ নেন শতাধিক স্বাস্থ্য সহকারী।এ সময় বক্তব্য রাখেন মো. উসমান গণী, মোমতাজ উদ্দিন আসাদ, তানিয়া, আজমল হুদা মিঠু, বেলায়েত হোসেন, আব্দুস সামাদ, চিত্তরঞ্জন দাস, শাহানাজ পারভীন, খাদিজা আক্তার, শিপন সরকার, রবি উজ্জামান রাজীব, ইসমাঈল হোসেন প্রমুখ।বক্তারা অভিযোগ করেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন।বিভিন্ন সময়ে কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি।তাই বাধ্য হয়ে তারা কর্মবিরতিতে গেছেন।স্বাস্থ্য সহকারী বেলায়েত হোসেন বলেন, “আমাদের ন্যায্য দাবি বহুদিন ধরে উপেক্ষিত হয়েছে।সরকার দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।”আজমল হুদা মিঠু জানান, আমাদের এ টিকা প্রদান করা কাজটি সম্পন্ন টেকনিক্যালধর্মী হলেও আমরা টেকনিক্যাল পদমর্যাদা থেকে বঞ্চিত।তাছাড়া আমরা দীর্ঘদিন থেকে টেকনিক্যাল পদমর্যাদার দাবি করে এলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ বাস্তবায়ন না করায় স্বাস্থ্য সহকারীরা পদমর্যাদাসহ সরকারের সব কর্মচারী থেকে চরম বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছি।তানিয়া আক্তার জানান, আমরা বার বার শুধু কর্তৃপক্ষের আশার বাণী শুনে যাচ্ছি।এ বার আর আশার বাণীতে বিশ্বাসী নয়, বাস্তবায়ন চাই।আমাদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ার পর্যন্ত একজন্য স্বাস্থ্য সহাকারীও কর্মস্থলে ফিরব না। স্বাস্থ্যকর্মীদের এ কর্মবিরতির কারণে উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।ভোরের আকাশ/জাআ
প্রকৃতিতে এখন শরতের ছোঁয়া। চারদিকে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর মাঠ-ঘাটজুড়ে দোল খাচ্ছে সাদা কাশফুল। সেই শুভ্র কাশফুলের সৌন্দর্য ঘিরেই পিরোজপুরে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ।জেলার বাইপাস সড়ক ও মডেল মসজিদের পাশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে কাশবন। প্রতিদিন সেখানে ভিড় জমছে পরিবার-পরিজন, তরুণ-তরুণী ও শিশুদের। অনেকেই প্রিয়জনকে নিয়ে ছুটে আসছেন শরতের কাশফুলের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি তোলা ও সেলফি শেয়ারের প্রতিযোগিতায়ও মেতে উঠছেন দর্শনার্থীরা।স্থানীয় এক দর্শনার্থী আশিকুর রহমান জানান: “প্রকৃতির এই সৌন্দর্য আমাদের মনে ভীষণ আনন্দ জাগায়। কাশবনের এমন দৃশ্য দেখলে মন প্রফুল্ল হয়ে ওঠে।”আরেকজন দর্শনার্থী আফরোজা তুলি বলেন, আমাদের পিরোজপুরের পরিবার-পরিজনকে নিয়ে যাওয়ার তেমন কোন জায়গা নেই,তাই এখানে আসলে পরিবার নিয়ে একটি সুন্দর সময় কাটানো যায়।প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে কাশফুল মানেই শরতের আগমন বার্তা। তাই শুভ্র কাশফুলের দোলায় এখন পিরোজপুরজুড়ে বিরাজ করছে শরতের উৎসবের আবহ।ভোরের আকাশ/এসএইচ