সংগৃহীত ছবি
পবিত্র হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য যুগান্তকারী একটি সুবিধা চালু করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। এখন থেকে ইন্টারনেট বা মোবাইল ডেটা ছাড়াই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে নুসুক অ্যাপ।
এই সুবিধা বাস্তবায়নে সৌদি টেলিকম কোম্পানি এসটিসি, মোবিলি এবং জাইনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে মন্ত্রণালয়।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মুখপাত্র ড. ঘাসান আল নুওয়াইমি বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে হজ ও ওমরাহর যাত্রাপথ আরও সহজ, সাশ্রয়ী এবং ডিজিটালভাবে সাবলীল হবে। ইন্টারনেট ছাড়াই মিলবে বেশ কিছু সুবিধা। এগুলোর মধ্যে আছে আল রওদাহ আল শরীফায় প্রবেশের অনুমতিপত্র ইস্যু, হারামাইন হাই-স্পিড ট্রেনের টিকিট বুকিং, নুসুক ম্যাপের মাধ্যমে পথনির্দেশনা, যেকোনো জিজ্ঞাসা বা রিপোর্ট জমা দেওয়া ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ‘নুসুক এআই’ সহায়তা।
নুসুক অ্যাপের সিইও আহমেদ আল মাইমান বলেন, এই সুবিধা ভ্রমণকে আরও নিরাপদ ও দক্ষ করে তুলবে, ভিড় নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে এবং হজযাত্রীদের হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা কমাবে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা একটি সর্বজনীন, প্রতিবন্ধকতাহীন প্রযুক্তিগত অবকাঠামো গড়ে তুলতে কাজ করছে, যাতে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে আগত হজ ও ওমরাহ যাত্রী নির্বিঘ্নে সব ডিজিটাল সুবিধা ভোগ করতে পারেন।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিজ দেশ থেকেই পবিত্র হজ করতে সৌদি আরব যেতে হবে। অনাবাসী হিসেবে তারা যে দেশে বসবাস করছেন, সেখান থেকে তাদের হজে যাওয়ার সুযোগ নেই।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা থেকে জারি করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো দেশের হজ কোটায় নিবন্ধিত হজযাত্রী সেই দেশ ব্যতীত অন্যদেশ হতে সৌদি আরব গমন নিষিদ্ধ। এটি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের হজ সম্পর্কিত আবশ্যিক নির্দেশনার ১৪ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে।চিঠিতে আরো বলা হয়, কিছু কিছু অ্যাজেন্সি বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি হজে গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন করে বিদেশ থেকে সরাসরি সৌদি আরবে নিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে হজ ব্যবস্থাপনার কাজে নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।মন্ত্রণালয়ের এই চিঠিতে যেসকল সমস্যার কথা বলা হয়েছে তারমধ্যে রয়েছে নুসুক মাসার সিস্টেমে এরূপ হজযাত্রীর ফ্লাইট তথ্যসহ প্রি-এ্যারাইভাল ডাটা প্রদান করা সম্ভব হয় না। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে মেনিনজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা দেয়া এবং দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত নয় ও হজ পালনে সক্ষম মর্মে ই-হজ সিস্টেম জেনারেটেড ফিটনেস সনদ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাদেরকে হজের জন্য প্রশিক্ষণও দেয়া যাচ্ছে না।এছাড়া বিমানের সিট খালি থাকাসহ সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনায় নানাবিধ জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের এ চিঠিতে।সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বিদেশে অবস্থানরত নিবন্ধিত হজযাত্রীদেরকে হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ হতে সৌদিতে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে হজ অ্যাজেন্সিকে অনুরোধ করা হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট অ্যাজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে সর্তক বার্তাও দিয়েছে মন্ত্রণালয়। বাসসভোরের আকাশ/তা.কা
ইসলামে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের মধ্যে জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত অন্যতম। এ প্রসঙ্গে হাদিস শরিফে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের মতো গোসল করে এবং প্রথম প্রহরে মসজিদে যায়, সে যেন একটি উট কোরবানি করল।’দ্বিতীয় প্রহরে গেলে গরু কোরবানির সওয়াব, তৃতীয় প্রহরে গেলে ভেড়া, চতুর্থ প্রহরে গেলে মুরগি এবং পঞ্চম প্রহরে গেলে ডিম কোরবানির সওয়াব পাবে। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে মিম্বারে ওঠেন, তখন ফেরেশতারা আর আমল লেখেন না, তারা খুতবা শুনতে থাকেন। (বোখারি : ৮৮১)এদিকে জুমার নামাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো খুতবা। খুতবা চলাকালে নিশ্চুপ ও মনোযোগসহকারে তা শোনা ওয়াজিব। কিন্তু অনেক মসজিদে দেখা যায়, খুতবা চলাকালে দানবাক্স চলতে থাকে। অথচ হাদিস শরিফে খুতবা চলাকালে অন্যকে চুপ থাকার জন্য বলাও অনর্থক কাজ বলা হয়েছে। সেখানে খুতবার সময় দানবাক্স চালানো তো আরও বড় কাজ। সুতরাং তা পরিহার করা জরুরি। নবীজি (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন খুতবা চলা অবস্থায় যদি তোমার পাশের জনকে বলো, ‘চুপ করো’ তাহলে তুমিও একটি অনর্থক কাজ করলে।’ (বোখারি : ৯৩৪)আরেক হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অজু করে জুমার জন্য মসজিদে এলো, তারপর চুপ থেকে খুতবা শুনল তার দশ দিনের গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে নুড়ি স্পর্শ করল সে অনর্থক কাজ করল।’ (মুসলিম : ৮৫৭)খুতবা শোনা এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে, খুতবা চলাকালে পাশের ব্যক্তি কথা বললে তাকেও চুপ থাকার জন্য কথা বলার অনুমতি দেননি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। খুতবা চলাকালীন এ কাজকেও অনর্থক ও গোনাহের কাজ বলা হয়েছে।মসজিদের জন্য দান করা বা দান সংগ্রহ করা নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। কিন্তু তা যদি খুতবা চলা অবস্থায় করা হয় তাহলে তাও অনর্থক ও গোনাহের কাজ বলে গণ্য হবে। এজন্য এ বিষয়ে খুবই সতর্ক থাকা জরুরি।সূত্র : মাসিক আল কাউসারভোরের আকাশ/মো.আ.
সৌদি আরবের নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ। পূর্ববর্তী গ্র্যান্ড মুফতি ড. আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শায়খের ইন্তেকালের পর তাকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।মঙ্গলবার পূর্ববর্তী গ্র্যান্ড মুফতি ড. আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল শায়খের ইন্তেকালের পরই এই গুরুত্বপূর্ণ পদে তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সৌদির রাজকীয় আদালত এ বিষয়ে শিগগিরই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে বলে আল আরাবিয়া জানিয়েছে। শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগলাভের আগ পর্যন্ত মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববির ইমাম ও খতিবদের তত্ত্বাবধানকারী ‘প্রেসিডেন্সি অ্যাফেয়ার্স’ পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ২০২৫ সালের হজের খুতবাও প্রদান করেছিলেন তিনি।শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ সৌদি আরবের কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার্স-এর সদস্য এবং মসজিদুল হারামের প্রবীণ ইমাম। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামি জ্ঞান, হিকমাহ এবং বিচার বিভাগীয় নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। তার বক্তৃতা, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ চিন্তা তাকে মুসলিম বিশ্বের কাছে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশের আকাশে ১৪৪৭ হিজরি সনের রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে রবিউস সানি মাস গণনা শুরু।পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৪ অক্টোবর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালিত হবে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।সভায় ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়,বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।সভায় জানানো হয়, আজ বুধবার ২৪ সেপ্টেম্বর ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র রবিউস সানি মাস গণনা শুরু। পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১১ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি, ৪ অক্টোবর পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালিত হবে। সভায় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/তা.কা