ছবি : সংগৃহীত
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দুর্গাপূজা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয় বরং সম্প্রীতির ও ঐক্যের প্রতীক।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সনাতনী ধর্ম বিশ্বাস মতে দশপূজা দুর্গার কাঠামোতে দেশ ও জাতির সব ধরনের ঐক্য, সংহতির প্রতীক আছে। লক্ষ্মীর ধনসম্পদ, সরস্বতীর জ্ঞান, কার্তিকের বীরত্ব আর গণেশের সাফল্য এবং দশভূজা দুর্গার অসীম শক্তি সম্মিলিতভাবে সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে।
এর মধ্যেই ঐক্যবদ্ধ জাতির চিত্র আছে। জ্ঞান নিয়ে, সম্পদ নিয়ে, শক্তি নিয়ে সবাই যার যার শক্তি নিয়ে এই ঐক্যবদ্ধ হলে আমরা সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতে পারব। কারো সাধ্য নাই আমাদের দমিয়ে রাখার। নিজেরা নিজেরা বিভক্ত হয়ে গেলে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে আমরা জাতি হিসেবে উন্নতি করতে পারব না।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত বছরের মতো এ বছরেও সরকারি ছুটি দুই দিন রাখা হয়েছে। সঙ্গে দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হওয়ায় আমি আশা করছি, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবসহ এই উৎসব আনন্দঘন পরিবেশে পালন করতে পারবেন। দুর্গাপূজা ঘিরে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা যাতে না হয়। নাশকতার মাধ্যমে কেউ যাতে কোনো আতঙ্কা সৃষ্টি বা উৎসবের বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সে জন্য সরকার রাজনৈতিক দলসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ বিশেষভাবে তৎপর রয়েছে। সবাই মিলে চেষ্টা করছে যেন একটা নিখুঁত দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশাসনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা, পুলিশ, সেনাবাহিনী র্যাব, বিজিবি, আনসারের প্রত্যেক সদস্যকে আমি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি ইতোমধ্যে।
তিনি আরো বলেন, উৎসবের দিনও যারা এই কঠিন কাজে নিয়োজিত রয়েছেন, দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন আমি জাতির পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কারণে আজকের এই উৎসবের দিনে আমি সশরীরে আপনাদের সামনে আসতে পারিনি। তবে আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আপনাদের সঙ্গে রয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা বৈষম্য, দুর্নীতিমুক্ত একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ার যে অগ্রযাত্রা শুরু করেছি তার সফল বাস্তবায়ন করতে হলে ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সব অশুভ অন্যায় আর অন্ধকারকে পরাজিত করে ঐক্য সম্প্রীতির জয় হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে কল্যাণ ও সমৃদ্ধির পথে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। সবাইকে আবারও শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দুর্গাপূজা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয় বরং সম্প্রীতির ও ঐক্যের প্রতীক।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সনাতনী ধর্ম বিশ্বাস মতে দশপূজা দুর্গার কাঠামোতে দেশ ও জাতির সব ধরনের ঐক্য, সংহতির প্রতীক আছে। লক্ষ্মীর ধনসম্পদ, সরস্বতীর জ্ঞান, কার্তিকের বীরত্ব আর গণেশের সাফল্য এবং দশভূজা দুর্গার অসীম শক্তি সম্মিলিতভাবে সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে।এর মধ্যেই ঐক্যবদ্ধ জাতির চিত্র আছে। জ্ঞান নিয়ে, সম্পদ নিয়ে, শক্তি নিয়ে সবাই যার যার শক্তি নিয়ে এই ঐক্যবদ্ধ হলে আমরা সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করতে পারব। কারো সাধ্য নাই আমাদের দমিয়ে রাখার। নিজেরা নিজেরা বিভক্ত হয়ে গেলে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে আমরা জাতি হিসেবে উন্নতি করতে পারব না।তিনি বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত বছরের মতো এ বছরেও সরকারি ছুটি দুই দিন রাখা হয়েছে। সঙ্গে দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হওয়ায় আমি আশা করছি, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবসহ এই উৎসব আনন্দঘন পরিবেশে পালন করতে পারবেন। দুর্গাপূজা ঘিরে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা যাতে না হয়। নাশকতার মাধ্যমে কেউ যাতে কোনো আতঙ্কা সৃষ্টি বা উৎসবের বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সে জন্য সরকার রাজনৈতিক দলসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ বিশেষভাবে তৎপর রয়েছে। সবাই মিলে চেষ্টা করছে যেন একটা নিখুঁত দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশাসনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা, পুলিশ, সেনাবাহিনী র্যাব, বিজিবি, আনসারের প্রত্যেক সদস্যকে আমি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি ইতোমধ্যে।তিনি আরো বলেন, উৎসবের দিনও যারা এই কঠিন কাজে নিয়োজিত রয়েছেন, দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন আমি জাতির পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কারণে আজকের এই উৎসবের দিনে আমি সশরীরে আপনাদের সামনে আসতে পারিনি। তবে আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আপনাদের সঙ্গে রয়েছে।জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা বৈষম্য, দুর্নীতিমুক্ত একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ার যে অগ্রযাত্রা শুরু করেছি তার সফল বাস্তবায়ন করতে হলে ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সব অশুভ অন্যায় আর অন্ধকারকে পরাজিত করে ঐক্য সম্প্রীতির জয় হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে কল্যাণ ও সমৃদ্ধির পথে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। সবাইকে আবারও শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অমর একুশে বইমেলা স্থগিত করেছে বাংলা একাডেমি।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখের একটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘অমর একুশে বইমেলা আসন্ন জাতীয় নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস) ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের মতামতের ভিত্তিতে বইমেলা ২০২৬-এর যে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা স্থগিত করা হলো।প্রকাশক ও অন্য অংশীজনদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে নতুন তারিখ ঠিক করা হবে।এর আগে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ২০২৬ সালের অমর একুশে বইমেলা এ বছরের ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল।ভোরের আকাশ/এসএইচ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে আগামীকাল সোমবার বৈঠক করবেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বৈঠক করবেন।রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানানো হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
শারদীয় দুর্গাপূজায় দেশের পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় ৭১ হাজার ৬৬ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি মাসের শুরু থেকে অল্প কয়েকটি স্থানে ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে এসব ঘটনা প্রশমিত বা প্রতিকার করা হচ্ছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সব স্থানে পূজা উদযাপন কমিটি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। যেসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো মূলত সাধারণ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব বা স্থানীয় বিরোধের ফলে ঘটছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক বিবৃতিতে ২ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উল্লিখিত সংঘটিত নয়টি ঘটনার তিনটিতে জিডি, ছয়টিতে মামলা রুজু হয়েছে এবং ছয়জন আসামি গ্রেফতার হয়েছে।এরমধ্যে তিনজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে পুলিশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।ভোরের আকাশ/এসএইচ