ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো সান মারিনো
ছোট্ট ইউরোপীয় দেশ সান মারিনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুকা বেকারি (Luca Beccari) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এ ঘোষণা দেন।
সান মারিনোর এই ঘোষণা আসার মধ্য দিয়েই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সংখ্যা আরো বেড়েছে; এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বলে স্বল্পদৈর্ঘ্যের আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেকারি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য একটি রাষ্ট্র থাকা তাদের আপাতনীতিবিচ্যুতি—এটি একেবারেই নৈতিক ও বৈধ দাবি; এবং এটি কোনো সহিংস গোষ্ঠীর জন্য পুরস্কার নয়।’ তার এই ঘোষণাকে উক্ত সভায় উপস্থিত অন্য রাষ্ট্রপ্রধান ও কূটনীতিকরা করতালি দিয়ে স্বাগত জানান।
সান মারিনোর প্রাক্তন পার্লামেন্টীয় সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরে বেকারি বলেন, তাদের সংসদ গত ১৫ মে সর্বসম্মতিতে এই বছরের মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ম্যান্ডেট দিয়েছে এবং আজ তিনি সেটাই বাস্তবায়ন করছেন। তিনি গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়টি ‘অসহনীয়’ আখ্যা দেন ও অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ত্রাণসামগ্রীতে অবাধ প্রবেশ এবং ইসরায়েলের অধিকারহীন বসতি স্থাপন ঠেকাতে internationalen আহ্বান জানান।
এর আগে এই সপ্তাহে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালসহ কয়েকটি পশ্চিমি দেশও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে — যা এই অঞ্চলের সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভোরের আকাশ // হ.র
সংশ্লিষ্ট
ছোট্ট ইউরোপীয় দেশ সান মারিনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুকা বেকারি (Luca Beccari) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এ ঘোষণা দেন।সান মারিনোর এই ঘোষণা আসার মধ্য দিয়েই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সংখ্যা আরো বেড়েছে; এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বলে স্বল্পদৈর্ঘ্যের আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেকারি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য একটি রাষ্ট্র থাকা তাদের আপাতনীতিবিচ্যুতি—এটি একেবারেই নৈতিক ও বৈধ দাবি; এবং এটি কোনো সহিংস গোষ্ঠীর জন্য পুরস্কার নয়।’ তার এই ঘোষণাকে উক্ত সভায় উপস্থিত অন্য রাষ্ট্রপ্রধান ও কূটনীতিকরা করতালি দিয়ে স্বাগত জানান।সান মারিনোর প্রাক্তন পার্লামেন্টীয় সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরে বেকারি বলেন, তাদের সংসদ গত ১৫ মে সর্বসম্মতিতে এই বছরের মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ম্যান্ডেট দিয়েছে এবং আজ তিনি সেটাই বাস্তবায়ন করছেন। তিনি গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়টি ‘অসহনীয়’ আখ্যা দেন ও অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ত্রাণসামগ্রীতে অবাধ প্রবেশ এবং ইসরায়েলের অধিকারহীন বসতি স্থাপন ঠেকাতে internationalen আহ্বান জানান।এর আগে এই সপ্তাহে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালসহ কয়েকটি পশ্চিমি দেশও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে — যা এই অঞ্চলের সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।ভোরের আকাশ // হ.র
পাকিস্তানি ক্রুবাহী একটি ট্যাংকার জাহাজে ড্রোন হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুতে ইয়েমেনের একটি বন্দরে নোঙর করা ছিল।পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি গতকাল শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানান। তিনি বলেন জাহাজে মোট ২৭ জন ক্রু ছিলেন। যারমধ্যে ২৪ জন পাকিস্তানের, দুজন শ্রীলঙ্কার। আর বাকি একজন নেপালের নাগরিক।মহসিন নাকভি এক্সে হামলার ব্যাপারে লিখেছেন, একটি এলপিজি ট্যাংকার, যেটিতে ছিলেন ২৭ ক্রু (ক্যাপ্টেন মুখতা আকবরসহ ২৪ পাকিস্তানি, দুজন শ্রীলঙ্কান এবং একজন নেপালি) ইসরায়েলের ড্রোন হামলার স্বীকার হয়েছে। ট্যাংকারটি (হুতিদের নিয়ন্ত্রণাধীন) রাস আল-এসা বন্দরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর হামলার কবলে পড়ে।ড্রোন হামলার পর জাহাজটির একটি এলপিজি বিস্ফোরিত হওয়ার পর এতে আগুন ধরে যায়। যা ক্রুরা নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর হুতি বিদ্রোহীরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ক্রুদের জিম্মি করে বলে জানান তিনি।তবে হুতিরা পরবর্তীতে ট্যাংকার ও ক্রুদের ছেড়ে দেয়। এখন এটি ইয়েমেনের জলসীমার বাইরে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।ক্রুদের নিরাপত্তা নিয়ে আশাহত হলেও বেসামরিক ও নিরপত্তাকর্মীদের প্রচেষ্টায় পাকিস্তানি ক্রুরা মুক্তি পান বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালানোর পর তাদের পক্ষে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। গত দুই বছরে দুই পক্ষ অসংখ্যবার হামলা পাল্টা হামলা চালিয়েছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
নেপালের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি দীর্ঘদিন আড়ালে থাকার পর অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছেন। জেনারেশন জেড (জেন-জি) তরুণদের নেতৃত্বে হওয়া গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর এক মাসও না যেতেই তিনি শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নিজের দলের যুব সংগঠন গুন্ডুর আয়োজিত এক সমাবেশে অংশ নেন।সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে অলি স্পষ্ট করে বলেন, ‘অনেকে ভাবছেন, আমরা এই ভিত্তিহীন সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাব। কিন্তু আমি নেপাল ছেড়ে যাব না।’তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘আমরাই এই দেশকে পুনর্গঠন করব। আমরা আবারও সংবিধানের মূলধারায় ফিরিয়ে আনব নেপালকে। আমরা দেশকে শান্তি ও সুশাসনের পথে নিয়ে যাব।’অলি অভিযোগ করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের ভোটে আসেনি। তারা এসেছে সহিংসতা ও ভাঙচুরের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ‘যারা আজ ক্ষমতায় আছে, তারা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে নয়, রাস্তায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করে এসেছে।’এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, আন্দোলনের সময় তিনি কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন না। বরং প্রশাসনকে কী কী নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার রেকর্ড প্রকাশ করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির উদ্দেশে।উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর সহায়তায় আন্দোলনের তীব্র ধাক্কা থেকে রক্ষা পান কেপি শর্মা অলি। এরপর থেকেই তিনি আড়ালে ছিলেন। হঠাৎ করেই প্রকাশ্যে এসে নতুনভাবে রাজনৈতিক বার্তা ছুড়ে দিলেন তিনি।অলি দাবি করেন, তার অধিকার খর্ব করার জন্য সরকার ষড়যন্ত্র করছে। কারণ, সুশীলা কার্কির প্রশাসন শুধু তারই নয়, তার মন্ত্রিসভার অনেক প্রভাবশালী সদস্যের পাসপোর্ট জব্দ করার পরিকল্পনা করছে। অলি বলেন, ‘এভাবে আমাদের চলাফেরার স্বাধীনতা হরণ করা হবে।’অলির প্রকাশ্যে আসা নেপালের রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি আবারও রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হবেন কি না, নাকি শুধুই চাপ সৃষ্টির কৌশল—তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে তার ঘোষণা স্পষ্ট করে দিয়েছে, তিনি অন্তত এখনই দেশ ছাড়ছেন না।সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্টভোরের আকাশ/মো.আ.
ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের চলমান উত্তেজনা এবার গড়াল জাতিসংঘের কূটনৈতিক অঙ্গনেও। জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে আবারও মুখোমুখি এই দুই প্রতিবেশী। একে অন্যের ওপর দোষ চাপানো, অভিযোগ, শক্তি জাহির, বিজয় দাবি পিছিয়ে নেই কেউই।স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দাবি করেন, ভারতের অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান বিজয়ী হয়েছে। তার ভাষায়, ‘ভারত দম্ভভরে হামলা চালালেও ইসলামাবাদ তাদের লজ্জিত করে ফিরিয়ে দিয়েছে।’তবে একই সঙ্গে তিনি আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে সব অমীমাংসিত বিষয়ে যৌক্তিক ও ফলপ্রসূ সংলাপে প্রস্তুত। দক্ষিণ এশিয়ায় ভয়াবহ যুদ্ধ এড়াতে মধ্যস্থতা করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। শেহবাজ বলেন, ‘যদি ট্রাম্প সময়মতো দৃঢ়ভাবে হস্তক্ষেপ না করতেন, তবে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের পরিণতি হতো ভয়াবহ।’শেহবাজের বক্তব্যের পরপরই অধিবেশনে উপস্থিত ভারতীয় কূটনীতিবিদ পেতাল গাহলট পাল্টা মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “বিমানঘাঁটির পোড়া হ্যাঙ্গার আর ধ্বংস হওয়া রানওয়ে যদি পাকিস্তানের চোখে ‘বিজয়’ হয়, তবে সেই জয় তাদেরই ভোগ করতে দেওয়া হোক।”তিনি আরও অভিযোগ করেন, পাকিস্তান সন্ত্রাস মোকাবিলার বদলে বরং জাতিসংঘে সন্ত্রাসীদের রক্ষায় ভেটো দিয়েছে।শনিবার অধিবেশনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বক্তব্য দেন। তিনি পেহেলগামের হামলায় পর্যটক হত্যার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, মোদি সরকার সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি করেছে। পাকিস্তানকে সরাসরি ‘বিশ্ব সন্ত্রাসের কেন্দ্রবিন্দু’ আখ্যা দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানান।জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমাদের অধিকার রক্ষায় দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে। সন্ত্রাস মোকাবিলা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ঘৃণা, সহিংসতা, ভীতি ও অসহিষ্ণুতাকে একত্র করে। স্বাধীনতার পর থেকে ভারত এই হুমকির মুখে আছে, কারণ আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র একটি বৈশ্বিক সন্ত্রাসের আস্তানা।’একই সঙ্গে তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যপদ বিস্তারের দাবি তোলেন।আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন এবার কার্যত ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের কূটনৈতিক মঞ্চে রূপ নিয়েছে। দুই দেশের প্রকাশ্য মুখোমুখি অবস্থান শুধু দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককেই উত্তপ্ত করছে না; বরং বৈশ্বিক পরিসরেও নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.