দুই বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন এবাদত হোসেন
দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষে আবারও টেস্ট দলে ফিরলেন পেসার এবাদত হোসেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট দিয়েই সাদা পোশাকে মাঠে ফিরবেন তিনি। ২০২৩ সালের জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ছিল তার সর্বশেষ টেস্ট।
শ্রীলঙ্কা সফরের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে বুধবার (৫ জুন) ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই সফর দিয়েই শুরু হচ্ছে ২০২৫-২৭ ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের পথচলা। দলকে নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তার ডেপুটি হিসেবে থাকবেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে খেলা টেস্ট দল থেকে তিনটি পরিবর্তন এসেছে। বাদ পড়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়, তানজিম হাসান সাকিব এবং তানভীর ইসলাম। তাদের পরিবর্তে দলে এসেছেন এবাদত হোসেন, তরুণ পেসার নাহিদ রানা এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাস।
দীর্ঘ ইনজুরি কাটিয়ে আবার জাতীয় দলে ফিরেছেন এবাদত। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন চোট পান তিনি। প্রায় এক বছরের পুনর্বাসন শেষে তিনি ফেরেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। জাতীয় লিগ, বিপিএল, ডিপিএল ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলে ভালো পারফরম্যান্স করে আবারও নির্বাচকদের আস্থা অর্জন করেন এই গতিময় পেসার।
ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, বাংলাদেশ দল ১৩ জুন শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে দেশ ছাড়বে। প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে ১৭ জুন গলে এবং দ্বিতীয় টেস্ট ২৫ জুন কলম্বোতে। এরপর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অংশ নেবে দুই দল।
বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াড:
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, এনামুল হক বিজয়, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, হাসান মুরাদ, এবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, খালেদ আহমেদ।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যস্থ তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের খেলা আজ ১৫ ওভারে পাকিস্তানের কঠিন অবস্থায় পৌঁছেছে। মেহেদী হাসান, সাইফউদ্দিন এবং নাসুম আহমেদদের বোলিংয়ে পাকিস্তান এখন ১৩২ রানে তাদের পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে। বিশেষ করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দারুণ শিকার হলো হুসেইন তালাত, যিনি মাত্র ৪ বলে ১ রানে লিটন দাসের ক্যাচে ফিরেছেন।সাইফউদ্দিনের দাপুটে বোলিং: সাইফউদ্দিন অনেকদিন পর দলে ফিরেই নিজের সেরা পারফরম্যান্স তুলে ধরেছেন। গতকালের ম্যাচে ৫ ওভারে ৩০ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি, যার মধ্যে ছিলেন ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তালাতের বিদায়। তার বোলিংয়ে পাকিস্তানের মধ্যম ব্যাটসম্যানরা বিশ্রামে যেতে বাধ্য হয়েছেন। সাইফউদ্দিনের সফল বোলিং ক্রিকেট বাংলাদেশকে ম্যাচে এগিয়ে রাখছে।হাসান নেওয়াজের ঝড়ো ব্যাটিং ও মেহেদীর দারুণ ক্যাচ: পাকিস্তানের কৌশলী ব্যাটসম্যান হাসান নেওয়াজ ১৭ বল খেলে ৩ ছক্কায় ৩৩ রান করেছেন। কিন্তু তার ব্যাটিং সফলতা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, কারণ মেহেদী হাসান মিড-অফে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়ে হাসানকে ফিরিয়ে দেন। হাসানের বিদায়ের আগেই তিনি পাকিস্তানের রান ১৩১-৪ করতে বাধ্য করে রেখেছিলেন।হারিসের সংক্ষিপ্ত ইনিংস: মোহাম্মদ হারিস ১৪ বল খেলে মাত্র ৫ রান করতে সক্ষম হয়েছেন। একবার বিতর্কিত রিভিউ নিয়ে তিনি বেঁচে যান, তবে পরবর্তীতে তাসকিন আহমেদের সরাসরি বোলিংয়ে ডিপ থার্ডম্যানের ক্যাচে আউট হয়ে যান। হারিসের ঘোষিত রান সংগ্রহ জনপদে পাকিস্তানের ব্যাটিং এখনও কাঙ্খিত উচ্চতায় পৌঁছাতে পারেনি।পাকিস্তানের উইকেট হারানোর ধারাবাহিকতা: বিশেষ উল্লেখযোগ্য যে, পাকিস্তান সিরিজে ১৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে এবং পুরো দলের ব্যাটিং ভাঙচুরের স্বপক্ষে আছে। আগা সালমানের শরীরী পরিস্থিতি ভালো থাকলে তিনি দলের দায়িত্ব সামলাবেন, তবে সেই সুযোগে এখনও ভালো শুরু দিতে পারেননি। পাকিস্তান ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ৪১ বল খেলে ৬৩ রান করে ফিরে গেছেন, যিনি ছয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় নিজেকে প্রমাণ করেছিল।নাসুম আহমেদের স্পিনের জাদু: বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদও দারুণ বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি, যা পাকিস্তানের ব্যাটিং ধ্বংসের চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তার বোলিংয়ে ওপেনার সাঈম আইয়ূব ও সাহিবজাদা ফারহানকে ফেরানো বাংলাদেশের জন্য বড় সাফল্য।অধিনায়কের ব্যাটিং ও পাকিস্তানের সংগ্রহ: পাকিস্তান অধিনায়ক আগা সালমান এবং হাসান নওয়াজ বর্তমান অবস্থায় ব্যাটিং করছেন। সালমান ২০ বলে কিছুটা আগ্রাসী খেলে দলকে সহায়তা করার চেষ্টা করছেন। ১৩২ রানে ৫ উইকেট হারানো অবস্থায় পাকিস্তানের সামনে রাখা রান অর্জনের জন্য চাপ আরও বাড়বে।বাংলাদেশের একাদশ পরিবর্তন ও পরিকল্পনা: বাংলাদেশের দল এই ম্যাচে পাঁচ পরিবর্তন এনেছে। শরীফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাসুম আহমেদ ও মেহেদী মিরাজ ডাক পেয়েছেন। বিশেষ করে মুস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম সাকিবের জায়গায় তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন খেলছে। বেশ কিছু তরুণ খেলোয়াড় বিশ্রাম পেয়েছেন, যেখানে তানজিদ তামিম ও মেহেদী মিরাজদের স্থান পেয়েছে।সিরিজে বাংলাদেশের আধিপত্য: বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে। শেষ ম্যাচে ওয়ানডশ করা হলেও, শেষ ম্যাচেও জয়ের লক্ষ্য রেখে নিজেদের দিক থেকে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স দেয়ার চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের চাপা ব্যাটিং লাইন আপের বিরুদ্ধে সঠিক বোলিংয়ে বাংলাদেশ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে।গেল কালকের ম্যাচ পরিস্থিতি থেকে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ শক্তিশালী বোলিংয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং ভেঙে ফেলছে। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান এবং নাসুম আহমেদের বোলিংয়ে পাকিস্তান মাত্র ১৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে—যা বাংলাদেশের জন্য বড় সুবিধা। পাকিস্তানের ব্যাটাররা অনেকটা সমস্যায় পড়েছে এবং এখন পর্যন্ত সিরিজে দাপট দেখাতে পারেনি।বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের এই তৃতীয় ম্যাচটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে, যেখানে বাংলাদেশ জয়ের পথে এগিয়ে রয়েছে। ম্যাচের বাকি অংশে বাংলাদেশের বোলারদের আরও কঠোরতায় অপেক্ষা থাকবে যেনো সিরিজ শেষ করে ওয়ানডশ করে ফেলতে পারে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ সফরে চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশনে হোঁচট খেলো পাকিস্তান। নিজেদের মাঠে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার পর এবার ঠিক উল্টো পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে বাবর আজমের দল। টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের মাধ্যমে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গেছে পাকিস্তানের।এই ব্যর্থতায় হতাশা প্রকাশের পাশাপাশি প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা।বাংলাদেশ সফরে ধারাভাষ্য দিতে এসে নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘রমিজ স্পিকস’-এ চলমান সিরিজ নিয়ে বিশ্লেষণ করেন রমিজ। তিনি বলেন, ‘এই কন্ডিশনে বাংলাদেশ যেভাবে খেলেছে, সেটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা সবদিক থেকে আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল।’সাথে পাকিস্তান দলের দুর্বলতা নিয়েও কথা বলেন তিনি। তার ভাষ্য, ব্যাটিং লাইনআপে পরিকল্পনার ঘাটতি এবং বোলারদের বৈচিত্র্যের অভাব ছিল স্পষ্ট। সেইসঙ্গে ফিল্ডিংয়েও ঘাটতি দেখা গেছে, যা ম্যাচের ফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রেখেছে।বাংলাদেশের সাফল্যে একদিকে যেমন প্রশংসা করেছেন রমিজ রাজা, তেমনি পাকিস্তানের দলগত ত্রুটিগুলোর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে দিয়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।ভোরের আকাশ//হ.র
২০৩৬ সালের অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক গেমস আয়োজনে বিডে অংশ নিয়েছে কাতার। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধনী উপসাগরীয় রাষ্ট্রটি তার জ্বালানি–নির্ভর অর্থনীতিকে বৈচিত্রময় করার জন্য আরও একটি বড় ক্রীড়া ইভেন্টের দিকে নজর রাখছে। এ সম্পর্কে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থায় দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘২০৩৬ অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক গেমস আয়োজনের জন্য কাতার অলিম্পিক কমিটি (কিউওসি) আনুষ্ঠানিক বিড জমা দিয়েছে। কাতারের ক্রীড়াঙ্গনে এর মাধ্যমে আরো একটি মাইলফলক যুক্ত হলো। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্ট বিশেষ করে ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজনের রেকর্ড বিডে মূল ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়েছে।’কিউওসির সভাপতি শেখ জোয়ান বিন হামাদ আল—থানি বলেছেন, দোহা ক্রীড়াকে আমাদের জাতীয় কৌশলের একটি কেন্দ্রীয় স্তম্ভ করে তুলেছে। অলিম্পিক আয়োজনের জন্য বর্তমানে আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় ক্রীড়া অবকাঠামোর ৯৫ শতাংশ রয়েছে এবং সমস্ত সুযোগ-সুবিধার ১০০ শতাংশ প্রস্তুতি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের একটি বিস্তৃত জাতীয় পরিকল্পনা রয়েছে।প্রতি মৌসুমে মহাদেশগুলোতে আবর্তিত হয়ে গেমস অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪, ২০২৮, ২০৩২ সালের অলিম্পিকের স্বাগতিক হিসেবে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও ওশেনিয়া স্বত্ত পেয়েছে। এ কারনে ২০৩৬ সালের অলিম্পিক এশিয়া কিংবা আফ্রিকার কোন দেশে অনুষ্ঠানের সম্ভাবনাই বেশী।এই গেমসের জন্য পরবর্তী আয়োজক খুঁজে বের করা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) প্রথমবারের মত নির্বাচিত নারী প্রেসিডেন্ট কার্স্টি কভেন্ট্রির সামনে এই মুহূর্তে মূল চ্যালেঞ্জ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
এশিয়া কাপ ২০২৫ টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর আগেই ক্রিকেটীয় কূটনীতির জটিলতায় পড়েছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ২৪ ও ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে তীব্র বিবাদ চলছে।ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) শুরু থেকেই ঢাকায় সভা আয়োজনের বিরোধিতা করছে এবং সভায় অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছে। তাদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এ অবস্থায় এসিসির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভার বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, কারণ কোরাম পূরণের জন্য অন্তত তিনটি টেস্ট খেলুড়ের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সভাপতি মহসিন নকভি বিকল্প কোনো ভেন্যুতে সভা করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। সাম্প্রতিক আইসিসি সম্মেলনে তার অনুপস্থিতি এবং কাবুল সফরকে ঢাকায় সভার পক্ষে সমর্থন সৃষ্টির প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।অন্যদিকে, আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিসিবি) ভারতীয় ব্লককে আশ্বস্ত করেছে যে তারা ঢাকায় সভায় অংশ নেবে না। এ ছাড়া নেপাল, কুয়েত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, বাহরাইন ও ইন্দোনেশিয়ার মতো সহযোগী সদস্যদেরও অংশগ্রহণ অনিশ্চিত।বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই বিতর্কিত পরিস্থিতিতে নিজেকে নিরপেক্ষ রাখার চেষ্টা করছে। তবে বিসিবির অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি আমিনুল ইসলাম ঢাকায় সভা আয়োজনের অনুমোদন দিয়ে বিতর্ককে আরও জটিল করেছেন বলে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মত। বিসিবির ভেতরে একাংশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় সভা বাতিলের পরামর্শ দিয়েও কিছুতেই পিছু হটেননি প্রেসিডেন্ট।এদিকে, এই কূটনৈতিক টানাপোড়েন এশিয়া কাপ ২০২৫ টুর্নামেন্টেও প্রভাব ফেলছে। টুর্নামেন্টের আয়োজক ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ঢাকায় এসিসির এজিএম সফলভাবে অনুষ্ঠিত না হলে তারা এশিয়া কাপে অংশ নিতে নাও পারে। পাকিস্তানও নিজেদের অবস্থান কঠোর রেখেছে।এসিসির জন্য এ সংকট আর্থিক ও কূটনৈতিক ভাবেও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বার্মিংহামে ভারত-পাকিস্তান প্রাক্তন খেলোয়াড়দের প্রদর্শনী ম্যাচে শহীদ আফ্রিদির উপস্থিতির কারণে ভারতীয় দলের বয়কট বিষয়টি চরম আকার নেয়।ঢাকায় সভা সফলভাবে সম্পন্ন হতে না পারলে এশিয়া কাপের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হবে এবং ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্রিকেটের সঙ্গেও জটিলতার সৃষ্টি করবে। এই সপ্তাহের শেষে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সভার ফলাফলই নির্ধারণ করবে আগামী এশিয়া কাপে কে খেলবে, কে থাকবে মাঠের বাইরে।ভোরের আকাশ//হ.র