৬ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি সংশোধন, শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী গ্রেড উন্নীতকরণ এবং টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদানের ছয় দফা দাবিতে গাইবান্ধার সাঘাটায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় চত্বরে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন সাঘাটা উপজেলা শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।এতে বক্তব্য রাখেন, এসোসিয়েশনের সাঘাটা উপজেলা শাখার সভাপতি শাফিউল আলম, সিনিয়র সহসভাপতি ফরিদুল ইসলাম, সহসভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন এবং সদস্য সবুজ মিয়া প্রমুখ।বক্তারা বলেন, মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্য সহকারীরা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে তাদের ন্যায্য মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বক্তারা দ্রুত এসব দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং দাবি পূরণ না হলে ১ সেপ্টেম্বর থেকে কর্ম বিরতি ও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন।তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক বা সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান। ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ। টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান। পদোন্নতির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য সহকারীদের এই দাবি দীর্ঘদিনের। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন যে এর বাস্তবায়ন মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।ভোরের আকাশ/জাআ
২৪ জুন ২০২৫ ০৫:৫১ পিএম
৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
গাজীপুরের শ্রীপুরে ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শ্রীপুরে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা।মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। শ্রীপুর উপজেলা হেল্থ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আমীরুজ্জামান জানান, বেতন বৈষম্য নিরসনে ছয় দফা দাবিতে নিয়োগবিধি সংশোধন, শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিজ্ঞান)-সংযোজন, ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান, পদোন্নতি ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রদান।তিনি আরো জানান, স্বাস্থ্য সহকারীরা দীর্ঘদিন বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। সরকার আমাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছে। আমরা শিশুদেরকে ০ থেকে ১৮ মাসের শিশু, কিশোরী, গর্ববর্তী মহিলা ও করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনার টিকাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তারপরও সরকার আমাদের দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। তাই আমরা সরকারের কাছে আহব্বান জানাই, আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়ে স্বাস্থ্য সহকারীদের বৈষম্য দূর করুন।শ্রীপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শেখের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হেল্থ এ্যাসিস্ট্যান্ট গাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান, , সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহিন আলম, মোঃ কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ রুহুল আমিন সহ শ্রীপুরে কর্মরত সকল স্বাস্থ্য সহকারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৪ জুন ২০২৫ ১১:০৭ এএম
অবস্থান কর্মসূচির ২০তম দিনে ‘তথ্য আপা’ কর্মীরা
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ২০তম দিন পালন করছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা। গত এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখ থেকে তারা দুই দফা দাবিতে এই কর্মসূচি শুরু করেন। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি চলবে।রোববার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেখা যায় নিজেদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২০তম দিনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দুই দফা দাবি হলোÑ পদ সৃজন পূর্বক কর্মরত সব জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা; এবং কর্তনকৃত বেতন ও অন্যান্য ভাতাসমূহ ফেরত দেওয়া।অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের (তথ্য আপা কর্মী) সঙ্গে কোনোরকমের যোগাযোগ করার চেষ্টা করে নাই। গত ১৫-২০ বছর ধরে হাজারটা প্রকল্পে কেউ আওয়ামী লীগ আখ্যা না পেলেও ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পকে উপদেষ্টা স্বয়ং আওয়ামী লীগের আবর্জনা বলে বিদায় করতে চাচ্ছে; যার কোনোই সুযোগ নেই। কারণ কোনো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী কখনোই দলীয় হতে পারে না।তারা বলেন, ডিপিপিতে উল্লেখ থাকার পরেও, অর্থ মন্ত্রণালয় ও মহিলা শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকার পরেও তারা পদ সৃজন সম্পর্কিত কোনো উদ্যোগ নেয়নি। কিন্তু আমাদের মেয়েদের প্রতিনিয়ত রাজস্বের আশ্বাস দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়েছে। এমনকি আমাদের বেতন থেকে প্রতিমাসে অবৈধভাবে অর্থ কর্তন করা হয়েছে; তার ব্যাখ্যা দিয়েছে যে, পরবর্তী সময়ে রাজস্ব নিতে সুবিধা হবে।তারা আরও বলেন, তথ্য আপা প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের ৯০ শতাংশ সফলতার ওপরে ভিত্তি করে ৩য় পর্যায়ে আউটসোর্সিং হিসেবে আনার পাঁয়তারা করছে মন্ত্রণালয় ও প্রধান কার্যালয়। কারণ, এখানে বিশাল নিয়োগ বাণিজ্য হবে। এসময় তারা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও জানান।উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের ৪৯২টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ৯৬৮ জন কর্মী মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। এর মধ্যে প্রতিটি তথ্যকেন্দ্রে একজন তথ্যসেবা কর্মকর্তা (১০ম গ্রেড), দুজন সহকারী (১৬তম গ্রেড) এবং একজন অফিস সহায়ক (২০তম গ্রেড) নিয়োজিত রয়েছেন। এই কর্মীরা তৃণমূল নারীদের জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা ও সাইবার সুরক্ষা- এই আটটি বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শসেবা দিয়ে আসছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ