ছবি-ভোরের আকাশ
গাজীপুরের শ্রীপুরে ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শ্রীপুরে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
শ্রীপুর উপজেলা হেল্থ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আমীরুজ্জামান জানান, বেতন বৈষম্য নিরসনে ছয় দফা দাবিতে নিয়োগবিধি সংশোধন, শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিজ্ঞান)-সংযোজন, ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান, পদোন্নতি ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রদান।
তিনি আরো জানান, স্বাস্থ্য সহকারীরা দীর্ঘদিন বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। সরকার আমাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছে। আমরা শিশুদেরকে ০ থেকে ১৮ মাসের শিশু, কিশোরী, গর্ববর্তী মহিলা ও করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনার টিকাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তারপরও সরকার আমাদের দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। তাই আমরা সরকারের কাছে আহব্বান জানাই, আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়ে স্বাস্থ্য সহকারীদের বৈষম্য দূর করুন।
শ্রীপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শেখের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হেল্থ এ্যাসিস্ট্যান্ট গাজীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান, , সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহিন আলম, মোঃ কবির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ রুহুল আমিন সহ শ্রীপুরে কর্মরত সকল স্বাস্থ্য সহকারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পিরোজপুরের নাজিরপুরে দারিদ্র বিমোচন বেকারত্ব দূরীকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ১০ দিনব্যাপী পেশাভিওিক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০ টায় দশ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনি অনুষ্ঠানবিভিন্ন ভ্যানুতে হয়।সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ ফজলে রাব্বি।আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডাঃ মসিউর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার ইশরাতুন্নেছা এশা, উপজেলা প্রাণিসম্পাদ অফিসার ডাঃ তাপশ কুমার ঘোষ, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সারোয়ার হোসেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান, উপজেলা বেটিনারি সার্জন ডাঃ আল মুক্তাদির রাব্বি, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ মাহবুব।আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র দাস, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ মাসুম মিয়া, উপজেলা সমবায় অফিসার হোসনেয়ারা, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার এস এম জাহিদ হোসেন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মাধ্যমিক শিক্ষা, সুমন বিশ্বাস, উপসহকারী প্রকৌশলী (স্বাস্থ্য) মোঃ রুবেল শেখসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও ১৮ জন প্রশিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।জানা গেছে, এই প্রশিক্ষণে দারিদ্রতা দূরীকরণ ও আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়ার কৌশল ও জীবনমান উন্নয়নে দারিদ্র বিমোচন, বেকারত্ব দূরীকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ধারণা প্রধান। ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বিষমুক্ত ও পরিবেশ বান্ধব বান্ধব পদ্ধতিতে সবজি ও ফল চাষ, ব্যাগিং পদ্ধতিতে মানসম্মত ফল উৎপাদন, বার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন দুগ্ধ জাত দ্রব্যাদি উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণসহ গরু মোটাতাজা করন সহ হাঁস মুরগি কবুতর পালন ও স্বল্প পরিসরে ছাগল ভেড়া পালন ও বাজারজাতকরণ।এছাড়া উপকূলীয় সামুদ্রিক মৎস্যজীবীদের জন্য দায়িত্বশীল মৎস আহরণ প্রশিক্ষণ, বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন কৌশল ও মাছের প্রজনন খাদ্য ব্যবস্থাপনা, আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পুঁজি গঠন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টি হস্তশিল্পের বিভিন্ন নকশা আঁকা ও তৈরিসহ দারিদ্র্য বিমোচন ও ঋণ কর্মসূচি ও হস্তশিল্প (ব্যাগ) তৈরি, প্রশিক্ষণ, দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সুযোগ-সুবিধা বিষয়ক গ্রামীণ জনগণের দক্ষতা বৃদ্ধি করে আত্ম কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু এবং পরিচালনা বিষয়ক অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি, কাজের বিনিময় খাদ্য গ্রামীণ জনগণের দক্ষতা বৃদ্ধি করে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু এবং পরিচালনা বিষয়ক উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের জন্য আত্মকর্মসংস্থান ও আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফজলে রাব্বি বলেন, উপকারভোগি পরিবারের চাহিদা মোতাবেক ১৮ টি ভেনুতে পেশা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এতে উপকারভোগী পরিবারসমূহ দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হয়েছে। তারা এখন নিজেরাই সহ উদ্যোগে কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারবে।ভোরের আকাশ/জাআ
দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বরগুনায় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত এক সপ্তাহের বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, জেলার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর ঢল নেমেছে, এবং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে। এই পরিস্থিতি জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক ও গবেষকদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।হাসপাতালে রোগীর চাপ, অপ্রতুল সুবিধা বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় (২৬ জুন সকাল ৮টা থেকে ২৭ জুন সকাল ৮টা) জেলায় নতুন করে ৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে বেশিরভাগই বরগুনা সদর উপজেলার। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৪৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন, যার মধ্যে ১৯৭ জনই বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে। চলতি বছরে জেলায় মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২,৬৩০ জন। এই তথ্য ২৭ জুন ২০২৫ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের হিসাবের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। তবে, এর বাইরেও অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন, ফলে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা মেঝেতে দেওয়া হচ্ছে, কারণ শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। পরীক্ষার সুবিধা অপ্রতুল হওয়ায় রোগীদের শহরের বেসরকারি ক্লিনিকে পাঠানো হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি ও রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা না থাকায় গুরুতর রোগীদের বরিশাল বা ঢাকায় রেফার করতে হচ্ছে, যা রোগী ও স্বজনদের জন্য কষ্টকর।মৃত্যু ও আক্রান্তের পরিসংখ্যান গত সপ্তাহে (২২-২৭ জুন) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বরগুনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। ২২ জুন রাবেয়া (১০০) নামে এক বৃদ্ধা এবং ২৬ জুন সাধনা রানী (৩৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা ২৩-এ পৌঁছেছে, যার মধ্যে ২২ জনই সদর উপজেলার। জুনের প্রথম ১৫ দিনে ৮৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, যা মে মাসের ৭৮৪ এবং এপ্রিলের ১৮০ জনের তুলনায় অনেক বেশি। তবে এটা শুধু সরকারি হাসপাতালের তথ্য কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা এর ১০ থেকে ১৫ গুণ হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। একটি বেসরকারি ক্লিনিকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, "গত এক সপ্তাহে ১০০ জনের বেশি জ্বরের রোগী এসেছেন, যার ৩০-৩৫% ডেঙ্গু পজিটিভ।" তাঁর মতে, জেলার সবগুলো ক্লিনিকের তথ্য নির্দিষ্ট অ্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা গেলে জেলায় ডেঙ্গু রোগীর প্রকৃত সংখ্যার ধারণা পাওয়া যাবে।একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ল্যাব টেকনিশিয়ান বলেন, "আমরা প্রতিদিন ২০-২৫টি ডেঙ্গু টেস্ট করি, যার ৪০% পজিটিভ আসে। কিন্তু এই তথ্য জাতীয় ডেটাবেজে আপলোড করার ব্যবস্থা নেই।" প্রতিরোধে ঘাটতি ও জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেনসহ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হাসপাতালে ভর্তির বাইরেও প্রচুর রোগী শনাক্ত হচ্ছে না, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। সঠিক রেকর্ড রাখার অভাব এবং প্রতিরোধ কার্যক্রমে ঘাটতি ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।আইইডিসিআরের একটি দলের জরিপে দেখা গেছে, বরগুনা সদরে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব স্বাভাবিকের তুলনায় ৮ গুণ বেশি। বৃষ্টির পানি জমিয়ে রাখা, জলাবদ্ধতা এবং অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মশার প্রজনন বাড়িয়েছে।প্রশাসনিক উদাসীনতা ও স্থানীয় অভিযোগ স্থানীয় নাগরিক সংগঠন স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি হাসানুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীলতার ঘাটতি এবং মশার অভয়াশ্রম হিসেবে পরিত্যক্ত জমি-জলাশয়ের অস্তিত্ব পরিস্থিতি আরও খারাপ করছে।জনস্বাস্থ্যবিদ বে-নজীর আহমেদ বলেন, “বরগুনার পরিস্থিতি আমাদের প্রতিরোধ কৌশলের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরছে।”করণীয় বিশেষজ্ঞরা ডেঙ্গু প্রতিরোধে জমে থাকা পানি পরিষ্কার, শরীর ঢেকে রাখা পোশাক পরা এবং মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলার তাগিদ রয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি ভিত্তিতে মশক নিধন, জনসচেতনতা ও সরকারি-বেসরকারি ডেটা সমন্বয় প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধ ও পারিবারিক পরকীয়ার জেরে মোঃ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) নামে এক ইউপি সদস্য ও তার ভাবী মৌকলি বেগম (৪৮) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।শুক্রবার (২৭ জুন) দিনগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে চরবলেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম এর স্ত্রী রেহানা বেগম (৪০) কে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ইন্দুরকানি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মারুফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।নিহত শহিদুল ইসলাম চর বলেশ্বর গ্রামের আসলাম হাওলাদারের পুত্র, এবং স্থানীয় চন্ডিপুর ইউনিয়নের চরবলেশ্বর গ্রামের ২ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য। এছাড়াও তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক বলে জানা গেছে। এবং নিহত মৌকলি বেগম ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের ভাই মর্তুজা হাওলাদারের স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ১২টার দিকে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে ডাক চিৎকারের শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন এসে দেখে শহিদুল ইসলাম ও তার ভাবিকে পুকুর পাড়ে কুপিয়ে ফেলে রাখে প্রতিপক্ষের লোকজন। তার স্ত্রী রেহেনা বেগমকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে গেছে তারা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সেখান থেকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গুরুতর আহত রেহেনা বেগম বলেন, রাতে হঠাৎ করে পার্শ্ববর্তী ইউনুসসহ আরো ৪-৫ জন তাদের বাড়িতে এসে অতর্কিত হামলা করে তার স্বামীকে এবং ভাবিকে কুপিয়ে মেরে ফেলে। এরপর তাকেও মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করেছে। ইউনুস এর সাথে তাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ ছিলো বলেও জানান তিনি।এ বিষয়ে ইন্দুরকানি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মারুফ হোসেন দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, পার্শ্ববর্তী বাড়ির সাথে পরিবারিক পরকীয়ার জের ধরে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ভোরের আকাশ/এসএইচ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন।শুক্রবার (২৭ জুন) গভীর রাত ৩টার দিকে হাসাড়া হাইওয়ে থানার কাছাকাছি ঢাকামুখী লেনে একটি বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে এই প্রাণহানি ঘটে।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন। নিহতরা হলেন- যশোর জেলার জালাল উদ্দিন (৬৫), জিল্লুর রহমান, ডা. আব্দুল আলিম ও হেলপার হাসিব।শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে আসি। পরে আটকে পড়াদের উদ্ধার করি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুজন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ২ জন মারা যান। এ ঘটনায় আহত ১৪ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।হাসারা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল কাদির জিলানী সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক গাড়ি দুটি আটক আছে তবে চালক পালিয়ে গেছে। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/এসএইচ