ছবি: সংগৃহীত
বাগেরহাটের চারটি আসন বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো হরতাল চলছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সড়কে আগুন জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন হরতালের সমর্থনকারীরা।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির দাবি, জেলার বিভিন্ন সড়কের অন্তত ১৩৪টি স্থানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা। যার ফলে বাগেরহাট জেলা কার্যত অন্যান্য জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এমনকি আন্তঃজেলা যোগাযোগ ব্যবস্থাও এক কথায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, ধরাটা না সেতুর দুপাশ, ফতেপুর বাজার, সিএনবি বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পণ্যবাহী ট্রাকের সারি দেখা গেছে। এর ফলে ব্যবসায়ী ও চালকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে হরতালের সমর্থন করে বাগেরহাট জেলাজুড়ে দোকানপাট খোলেননি ব্যবসায়ীরা। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এদিকে বুধবার সকালে শুরু হওয়া হরতালের সমর্থনে রাতেও সড়কে আগুন জালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে হরতালের সমর্থনকারীরা। যার ফলে রাতেও কোনোপ্রকার গাড়ি চলাচল করেনি। সাধারণ মানুষ জানান, রাতে সড়ক বন্ধ থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ।
গত ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। এরপরেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনই জারি রেখে চুড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এ আসন বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
চুড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
বৃহত্তর খুলনাবাসীর উদ্যোগে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় খুলনা মহানগরীর ১৯ নং ওয়ার্ড অফিস চত্বর থেকে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে “মশকনিধন ও পরিস্কার–পরিচ্ছন্ন অভিযান” শুরু হয়।অভিযানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কনজারভেন্সি অফিসার মোঃ অহিদুজ্জামান খান ও ১৯ নং ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হক মুকুল।সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আরিফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রোটারি সদস্য ও স্থানীয় ব্যক্তিত্বরা। বক্তারা বলেন, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া পুরোপুরি নির্মূল করা না গেলেও নিয়মিত পরিস্কার–পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে এবং মশা প্রজনন স্থান ধ্বংস করে রোগের বিস্তার অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।উদ্যোগের মাধ্যমে এলাকার মানুষদের সচেতন করে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধে স্থানীয়ভাবে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ভোরের আকাশ/হ.র
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় ইট ভাঙা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে দুই ভাই নিহত হয়েছেন।শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নের মমিন বকশি পাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো আব্দুল হক (৬৫) ও তাজরুল ইসলাম (৫৫), তারা রাজারহাট সদর ইউনিয়নের কৌলাস কুঠি এলাকার বাসিন্দা।স্থানীয়রা জানান, কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং রাস্তার পাশে পড়ে যায়। একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান, অপরজনকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুর রহিম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভোরের আকাশ/হ.র
রাজবাড়ীতে পুলিশের উদ্যোগে হারানো ১০৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ মোবাইলগুলো হস্তান্তর করা হয়।পুলিশ জানায়, জেলার বিভিন্ন থানায় করা জিডির ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সদর থানা থেকে ৫২টি, গোয়ালন্দঘাট থেকে ১৪টি, পাংশা মডেল থেকে ১২টি, কালুখালী থেকে ১৪টি এবং বালিয়াকান্দি থানা থেকে ১২টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। যাচাই শেষে সেগুলো মালিকদের হাতে ফেরত দেওয়া হয়েছে।এ সময় পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি হারানো মোবাইল উদ্ধারে রাজবাড়ী পুলিশ নিয়মিত কাজ করছে। সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের একটি বিশেষায়িত টিম এ কাজে নিয়োজিত।”মোবাইল ফিরে পেয়ে অনেক মালিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবু রাসেল, ডিবি’র ওসি মফিজুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভোরের আকাশ/হ.র
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, "আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ না হই, স্বৈরাচারের পুনরাবির্ভাব হতে পারে। জনগণ যেভাবে চায়, আমাদের সেভাবে চলতে হবে। সবার আগে বাংলাদেশ—এই মন্ত্রেই আমাদের শুরু এবং শেষ।"শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা টাউনহল মাঠে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় ১৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো জেলা বিএনপির সম্মেলন।অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলর সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী ও আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।তারেক রহমান বলেন, "আজকের সম্মেলনের স্লোগান হোক—ঐক্য, জনগণ এবং পুনর্গঠন। নেতাকর্মীরা হাজার হাজার জনগণকে নিয়ে আন্দোলন করছে। জেলে গিয়েছে, গুম হয়েছে, খুন হয়েছে। এখনই সময়, সকলে মিলে কাজ করে সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করি। জনগণের কাছে গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।"প্রধান বক্তা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, "বিএনপির ইতিহাস হলো সংস্কারের ইতিহাস। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৪ শত মানুষ নিহত হয়েছে, ২০ হাজার মানুষকে পঙ্গু করা হয়েছে। আমাদের সংগ্রাম এখনও চলছে। অতীত ভুলে নয়, ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।"সম্মেলনে কুমিল্লার ছয়টি সংসদীয় আসনের ১০টি উপজেলা, চারটি পৌরসভা, ১০৭টি ইউনিয়ন ও ৯৯৯টি ওয়ার্ডে জেলা কমিটির সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বর্তমান আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমনকে সভাপতি ও সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ভোরের আকাশ/হ.র