থাকছে মসজিদ-মন্দির-প্রকৃতির ছবি
ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫ ০৮:১৫ পিএম
ছবি: প্রতীকী
ঈদের আগেই নতুন নকশার তিনটি নোট বাজারে আসছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। বিশ, পঞ্চাশ ও এক হাজার টাকার নতুন এসব নোটে কোনো ব্যক্তির ছবি থাকছে না। মসজিদ, মন্দির, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রকৃতির ছবি থাকছে। গতকাল শনিবার পিকেএসএফ ভবনে এক অনুষ্ঠান শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে গভর্নর এসব তথ্য জানান।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, তিনটে নোট আসছে বাজারে খুব শিগগিরই। এটা ঈদের আগেই পাবেন আপনারা। এখানে কোনো ব্যক্তির ছবি থাকবে না। এখানে আমাদের প্রাকৃতিক দৃশ্য, আমাদের কিছু ঐতিহ্যবাহী ভবন ইত্যাদি থাকছে।
এর আগে বছরের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান আভাস দিয়েছিলেন, নতুন নকশার টাকার নোট এপ্রিলের শেষে বা মে মাসের শুরুতে বাজারে আসবে। তবে টাকা ছাপানোর কাগজ দেশে আনতে দেরি হওয়ায় আপাতত তিনটি নোট সীমিত সংখ্যায় বাজারে আনা যাচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
কী ধরনের স্থাপনার ছবি থাকবে সে বিষয়ে ধারণা দিয়ে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, এটা ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সেগুলো থাকবে। সেটা মসজিদই হোক, মন্দিরই হোক বা অন্যকিছু। সেখানে আমরা কোনো পার্থক্য করছি না। এ সময় বিদেশের পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার কথাও বলেছেন তিনি। বিষয়টিকে তিনি বর্ণনা করেছেন ‘পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট’ হিসেবে।
গভর্নর মনসুর বলেন, আমাদের যে চুরি করা অর্থ আমরা ফেরত নিয়ে আসব। সব সরকারেরই এটা পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট থাকা উচিত। এটারই পার্ট হিসেবে আমরা এখন দেখছি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তারাও কিন্তু একটা চাপের মধ্যে আছে। ফাইনান্সিয়াল টাইমস বলি, আমাদের লন্ডন টাইমস বলি এরা কিন্তু এবং আল-জাজিরা বলি এরা কিন্তু বাংলাদেশের এই অর্থ পাচার করা নিয়ে বড় বড় আর্টিকেল লিখছে। আগামীতে আরো আসবে।
গর্ভনর বলেন, এই ব্রিটিশ এমপি উনারাও কিন্তু এখানে সাপোর্ট দিচ্ছেন। ব্রিটিশ প্রেসের বাইরে এনজিও যারা আছেন তারা এটাকে সাপোর্ট করছেন। ফলে আমি মনে করি যে একটা চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
গর্ভনর আরও বলেন, পাচারের টাকা ফেরাতে অন্তর্র্বর্তী সরকার কাজ করছে। আমি দুবাই গিয়েছিলাম গত সপ্তাহে এবং প্ল্যান করছি সিঙ্গাপুরে যাব। আমাদের লন্ডনে যাওয়ার প্ল্যান আছে আবার আমাদের ইন্টারন্যাশনাল একটা কনফারেন্স করার প্ল্যান আছে এগুলো আমাদের কর্মসূচিতে আছে। আমাদের এটাকে একটিভলি পলিটিক্যাল সার্কেল রাখতে হবে। এটা না রাখলে পরে এটা ভুলে গেলে এই সম্পদ আসবে না।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এটা স্মরণ করে দিতে হবে যে এটা নৈতিকতা বিরোধী এটা রাখা ঠিক নয়; এটা যার সম্পদ জনগণের সম্পদ ডিপোজিটরদের টাকা এটা তাদেরকে ফিরত দিয়ে দেওয়া উচিত এবং সেই ব্যাপারে তারা যেন তাদের তৎপরতা দেখান এটাই আমাদের আশা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ