ইমরুল শাহেদ
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ১২:১৬ পিএম
দেশের সীমানা ছাড়িয়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের ছবি
ঢাকায় নির্মিত চলচ্চিত্রের বিচরণ ক্ষেত্র এখন আর দেশের সীমিত সংখ্যক সিনেমা হলে সীমাবদ্ধ নেই। অতীতে দু’একটি ছবি দেশের সীমা অতিক্রম করে বিদেশে প্রদর্শিত হলেও তা নিয়ে কখনো তেমন কোনো উচ্চ-বাচ্য হয়নি। অনেকটা নীরবেই সেগুলোর ব্যবসা হয়েছে।
কিন্তু এবারই প্রথম বিদেশে ঢাকার ছবি প্রদর্শিত হওয়ার একটা আলোচনা জোরের সঙ্গে শোনা যাচ্ছে। এবার ঈদে মুক্তি পাওয়া ছয়টি ছবির মধ্যে তিনটি দর্শকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
ছবি তিনটি হলো শাকিব-ইধিকা অভিনীত বরবাদ, আফরান নিশো-তমা মীর্জা অভিনীত দাগি এবং বুবলী-সিয়াম অভিনীত জংলি। এই ছবিগুলো দেশের মতোই আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ দাপটের সঙ্গে বিচরণ করছে বলে শোনা যাচ্ছে।
জানা গেছে, বরবাদ ছবিটি যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইতালি এবং মালয়েশিয়ায় প্রদর্শিত হচ্ছে। জংলি ছবিটি তিন দেশের ৪০টি শহরে এবং দাগি অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি শহরে প্রদর্শিত হচ্ছে। এই ছবিগুলোর ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে।
পরিবেশনা সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পর এই ছবিগুলো কানাডায়ও প্রদর্শিত হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য শহরগুলোতে এতো ব্যাপক পরিসরে ইতিপূর্বে বাংলাদেশের কোনো ছবি প্রদর্শিত হয়নি। পাশাপাশি বলা যায় শাকিব খান, আফরান নিশো, সিয়াম আহমেদ, তমা মীর্জা, বুবলীরা এসব ছবির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বলয়ে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন।
প্রসঙ্গত আরো একটি বিষয় এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে। এক সময় এদেশে ভারত ও পাকিস্তানের উর্দু ছবি প্রদর্শিত হতো। সে সব ছবি এখন আমাদের দেশে নিষিদ্ধ। মনে করা হতো বিদেশি ছবি এদেশের বাজার যদি দখলে রাখে তাহলে এদেশের ছবি বাজার পাবে না। কিন্তু এখন ঢাকার ছবি বিদেশের মাটিতেই ভারতীয় ছবি তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষার ছবিকে মোকাবিলা করছে। সমস্যা হলো ভারতীয় ছবির জন্য দর্শক সুনির্দিষ্ট নেই। বিশ্বের সব ভাষাভাষীর দর্শকই ভারতীয় ছবি দেখে। ভাষা না বুঝলেও তারা সে ছবিগুলো দেখে উপভোগ করে। ঢাকার ছবি সেই দর্শক টানতে পারে না। ঢাকার ছবি দেখে শুধু প্রবাসী বাঙালীরাই।
আশা করা যায় বিদেশের মাটিতে আগামীতে হয়তো এই সমস্যা থাকবে না। একটা সময় আসবে যখন ঢাকার ছবি সব দেশের দর্শককেই আকৃষ্ট করবে। ভাষা এখানে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ চলচ্চিত্রের নিজস্ব একটা ভাষা আছে। সে ভাষা দিয়েই বিদেশি দর্শক ঢাকার ছবি উপভোগ করবে।
ভোরের আকাশ/সু
ইমরুল শাহেদ
প্রকাশ : ১ দিন আগে
আপডেট : ১ দিন আগে
দেশের সীমানা ছাড়িয়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের ছবি
ঢাকায় নির্মিত চলচ্চিত্রের বিচরণ ক্ষেত্র এখন আর দেশের সীমিত সংখ্যক সিনেমা হলে সীমাবদ্ধ নেই। অতীতে দু’একটি ছবি দেশের সীমা অতিক্রম করে বিদেশে প্রদর্শিত হলেও তা নিয়ে কখনো তেমন কোনো উচ্চ-বাচ্য হয়নি। অনেকটা নীরবেই সেগুলোর ব্যবসা হয়েছে।
কিন্তু এবারই প্রথম বিদেশে ঢাকার ছবি প্রদর্শিত হওয়ার একটা আলোচনা জোরের সঙ্গে শোনা যাচ্ছে। এবার ঈদে মুক্তি পাওয়া ছয়টি ছবির মধ্যে তিনটি দর্শকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
ছবি তিনটি হলো শাকিব-ইধিকা অভিনীত বরবাদ, আফরান নিশো-তমা মীর্জা অভিনীত দাগি এবং বুবলী-সিয়াম অভিনীত জংলি। এই ছবিগুলো দেশের মতোই আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ দাপটের সঙ্গে বিচরণ করছে বলে শোনা যাচ্ছে।
জানা গেছে, বরবাদ ছবিটি যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইতালি এবং মালয়েশিয়ায় প্রদর্শিত হচ্ছে। জংলি ছবিটি তিন দেশের ৪০টি শহরে এবং দাগি অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি শহরে প্রদর্শিত হচ্ছে। এই ছবিগুলোর ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে।
পরিবেশনা সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পর এই ছবিগুলো কানাডায়ও প্রদর্শিত হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য শহরগুলোতে এতো ব্যাপক পরিসরে ইতিপূর্বে বাংলাদেশের কোনো ছবি প্রদর্শিত হয়নি। পাশাপাশি বলা যায় শাকিব খান, আফরান নিশো, সিয়াম আহমেদ, তমা মীর্জা, বুবলীরা এসব ছবির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বলয়ে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন।
প্রসঙ্গত আরো একটি বিষয় এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে। এক সময় এদেশে ভারত ও পাকিস্তানের উর্দু ছবি প্রদর্শিত হতো। সে সব ছবি এখন আমাদের দেশে নিষিদ্ধ। মনে করা হতো বিদেশি ছবি এদেশের বাজার যদি দখলে রাখে তাহলে এদেশের ছবি বাজার পাবে না। কিন্তু এখন ঢাকার ছবি বিদেশের মাটিতেই ভারতীয় ছবি তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষার ছবিকে মোকাবিলা করছে। সমস্যা হলো ভারতীয় ছবির জন্য দর্শক সুনির্দিষ্ট নেই। বিশ্বের সব ভাষাভাষীর দর্শকই ভারতীয় ছবি দেখে। ভাষা না বুঝলেও তারা সে ছবিগুলো দেখে উপভোগ করে। ঢাকার ছবি সেই দর্শক টানতে পারে না। ঢাকার ছবি দেখে শুধু প্রবাসী বাঙালীরাই।
আশা করা যায় বিদেশের মাটিতে আগামীতে হয়তো এই সমস্যা থাকবে না। একটা সময় আসবে যখন ঢাকার ছবি সব দেশের দর্শককেই আকৃষ্ট করবে। ভাষা এখানে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ চলচ্চিত্রের নিজস্ব একটা ভাষা আছে। সে ভাষা দিয়েই বিদেশি দর্শক ঢাকার ছবি উপভোগ করবে।
ভোরের আকাশ/সু