দেশের সীমানা ছাড়িয়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের ছবি
ঢাকায় নির্মিত চলচ্চিত্রের বিচরণ ক্ষেত্র এখন আর দেশের সীমিত সংখ্যক সিনেমা হলে সীমাবদ্ধ নেই। অতীতে দু’একটি ছবি দেশের সীমা অতিক্রম করে বিদেশে প্রদর্শিত হলেও তা নিয়ে কখনো তেমন কোনো উচ্চ-বাচ্য হয়নি। অনেকটা নীরবেই সেগুলোর ব্যবসা হয়েছে।
কিন্তু এবারই প্রথম বিদেশে ঢাকার ছবি প্রদর্শিত হওয়ার একটা আলোচনা জোরের সঙ্গে শোনা যাচ্ছে। এবার ঈদে মুক্তি পাওয়া ছয়টি ছবির মধ্যে তিনটি দর্শকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
ছবি তিনটি হলো শাকিব-ইধিকা অভিনীত বরবাদ, আফরান নিশো-তমা মীর্জা অভিনীত দাগি এবং বুবলী-সিয়াম অভিনীত জংলি। এই ছবিগুলো দেশের মতোই আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ দাপটের সঙ্গে বিচরণ করছে বলে শোনা যাচ্ছে।
জানা গেছে, বরবাদ ছবিটি যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইতালি এবং মালয়েশিয়ায় প্রদর্শিত হচ্ছে। জংলি ছবিটি তিন দেশের ৪০টি শহরে এবং দাগি অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি শহরে প্রদর্শিত হচ্ছে। এই ছবিগুলোর ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে।
পরিবেশনা সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পর এই ছবিগুলো কানাডায়ও প্রদর্শিত হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য শহরগুলোতে এতো ব্যাপক পরিসরে ইতিপূর্বে বাংলাদেশের কোনো ছবি প্রদর্শিত হয়নি। পাশাপাশি বলা যায় শাকিব খান, আফরান নিশো, সিয়াম আহমেদ, তমা মীর্জা, বুবলীরা এসব ছবির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বলয়ে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন।
প্রসঙ্গত আরো একটি বিষয় এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে। এক সময় এদেশে ভারত ও পাকিস্তানের উর্দু ছবি প্রদর্শিত হতো। সে সব ছবি এখন আমাদের দেশে নিষিদ্ধ। মনে করা হতো বিদেশি ছবি এদেশের বাজার যদি দখলে রাখে তাহলে এদেশের ছবি বাজার পাবে না। কিন্তু এখন ঢাকার ছবি বিদেশের মাটিতেই ভারতীয় ছবি তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষার ছবিকে মোকাবিলা করছে। সমস্যা হলো ভারতীয় ছবির জন্য দর্শক সুনির্দিষ্ট নেই। বিশ্বের সব ভাষাভাষীর দর্শকই ভারতীয় ছবি দেখে। ভাষা না বুঝলেও তারা সে ছবিগুলো দেখে উপভোগ করে। ঢাকার ছবি সেই দর্শক টানতে পারে না। ঢাকার ছবি দেখে শুধু প্রবাসী বাঙালীরাই।
আশা করা যায় বিদেশের মাটিতে আগামীতে হয়তো এই সমস্যা থাকবে না। একটা সময় আসবে যখন ঢাকার ছবি সব দেশের দর্শককেই আকৃষ্ট করবে। ভাষা এখানে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ চলচ্চিত্রের নিজস্ব একটা ভাষা আছে। সে ভাষা দিয়েই বিদেশি দর্শক ঢাকার ছবি উপভোগ করবে।
ভোরের আকাশ/সু
সংশ্লিষ্ট
জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান সম্প্রতি বিয়ে করেছেন তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক রকি জয়সওয়ালকে। পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে গত ৪ জুন বিয়ে করেন তারা। তবে হিনা চেয়েছিলেন তার এই খুশির মুহূর্ত পাপারাজ্জি এবং সহকর্মীদের সঙ্গেও ভাগ করে নিতে। তাই বিয়ের পরে একটি ছোট্ট উদযাপনের আয়োজন করছিলেন তিনি। বলিউডশাদিসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনার কারণে বিয়ের পার্টি স্থগিত পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন অভিনেত্রী। পার্টি বাতিল করে হিনা খান নিজেই গণমাধ্যমের সামনে এসে জানান, এখন কোনো উদযাপন করার সময় নয়।এক ভিডিও বার্তায় হিনা বলেন, রোববার আমি আপনাদের সবাইকে একটি ছোট উদযাপনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কিন্তু আজ যা ঘটেছে আহমেদাবাদে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। এই দুঃখজনক ঘটনার পর আমরা অনুভব করেছি, উদযাপন নয়, এখন সহানুভূতি প্রকাশ করার সময়। তাই আমাদের পার্টিটি আপাতত স্থগিত করছি। ভবিষ্যতে সুযোগ হলে নিশ্চয়ই আবার আয়োজন করব।এদিকে বিয়ের পর প্রথমবার হিনা ও রকিকে একসঙ্গে দেখা যাবে একটি টেলিভিশন শো’র বিশেষ পর্বে। ‘পতি পত্নী অর পাঙ্গা’ নামের অনুষ্ঠানে তারা দুজনেই অংশ নিয়েছেন, এবং পর্বটি খুব শিগগিরই সম্প্রচারিত হবে।উল্লেখ্য, বর্তমানে হিনা খান স্তন ক্যান্সারের চতুর্থ স্তরের সঙ্গে লড়াই করছেন। ইতোমধ্যে তার কেমোথেরাপির একটি ধাপ সম্পন্ন হয়েছে এবং চিকিৎসা প্রক্রিয়া এখনও চলমান। অভিনেত্রী এবং তার অনুরাগীদের বিশ্বাস শিগগিরই সুস্থ হয়ে আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন হিনা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উষ্ণ এক আবেগময় পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তার দুই প্রাক্তন স্ত্রী, অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী, আলাদা আলাদাভাবে তাদের সন্তানদের সঙ্গে শাকিব খানের মুহূর্ত শেয়ার করেছেন, যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে ভক্তদের মাঝে।রবিবার (১৫ জুন) সকালে অপু বিশ্বাস নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি আবেগঘন ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, শাকিব ও অপু দম্পতির সন্তান আব্রাহাম খান জয় বাবার কোলে বসে হারমোনিয়ামে গান গাইছে, আর শাকিব মুগ্ধ হয়ে ছেলের গান শুনছেন। ক্যামেরার পেছন থেকে অপু ছেলেকে উৎসাহ দেন। ভিডিওতে শোনা যায় শাকিব বলছেন, “ভেরি গুড”, আর তার মুখে তখন এক গর্বিত পিতার হাসি। ক্যাপশনে অপু লেখেন, “বাবা শব্দটা আসে অশেষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থেকে। বাবা-ছেলের এই সম্পর্কটায় যেন কারও কুনজর না লাগে।”অপুর পোস্টের কিছুক্ষণ পরেই শবনম বুবলীও শেয়ার করেন আরেকটি পারিবারিক মুহূর্তের ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, শাকিব খান এবং তাদের ছেলে শেহজাদ খান বীর একসঙ্গে খেলায় মেতে উঠেছেন। ঘুমঘুম চোখে বীর বাবার সঙ্গে দুষ্টুমি করছে। এক পর্যায়ে শাকিব জিজ্ঞেস করেন, “তোমার বাবা কে?” বীরের মিষ্টি জবাব মুহূর্তটিকে আরও আবেগঘন করে তোলে। পাশ থেকে বুবলী ছেলেকে বলেন, “বাবাকে পাপ্পা দাও তো।” চুমু আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে পারিবারিক উষ্ণতা। বুবলীর ক্যাপশন ছিল, “যেমন বাবা, তেমন ছেলে। একজন বাবার ভালোবাসা তার সন্তানের অন্তরে চিরস্থায়ী হয়ে থাকে। বাবা দিবসে সব বাবাকে জানাই শুভেচ্ছা।”এই দুই ভিডিও প্রকাশের পর সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় নানা আলোচনা। কেউ বলছেন, এটি পারিবারিক বন্ধনের এক উজ্জ্বল নিদর্শন, আবার কেউ দেখছেন ব্যক্তিগত জীবনের নীরব প্রতিযোগিতা।তবে নানা সম্পর্কের উত্থান-পতনের পরেও একজন বাবার দায়িত্বশীল ভূমিকা এবং সন্তানদের প্রতি শাকিব খানের ভালোবাসা ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছে সাধারণ দর্শক ও অনুসারীদের কাছে।ভোরের আকাশ//হ.র
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক ও ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই রয়েছেন আত্মগোপনে। তার অবস্থান নিয়ে চলছিল নানা জল্পনা-কল্পনা। বিশেষ করে গুঞ্জন ছিল, তিনি কলকাতার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও সে সময় এই দাবি সরাসরি অস্বীকার করেছিলেন ঋতুপর্ণা নিজেই।তবে ফেরদৌস যে এখনো তার ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন, তার প্রমাণ মিলেছে সম্প্রতি। নিজের জন্মদিনে ফেরদৌসের লেখা একটি কবিতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।রোববার (১৫ জুন) নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে কবিতাটির একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে ঋতুপর্ণা লেখেন, “আমার প্রিয় বন্ধু এবং পরিবারের সদস্য ফেরদৌসকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। এই সুন্দর উপহারের জন্য ধন্যবাদ। ‘পুরাতন’-এর সাফল্যের জন্য তোমার এই কবিতা আমার কাছে খুবই মূল্যবান। স্ক্রিনিংয়ের সময় তোমাকে খুব মিস করেছি। আশা করি, শিগগিরই দেখা হবে এবং আবার একসঙ্গে কাজ করব।”এই পোস্ট থেকে স্পষ্ট যে ফেরদৌস এখনো ঋতুপর্ণার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন এবং দুজনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দলীয় অনেক নেতা-কর্মীর মতোই আত্মগোপনে চলে যান ফেরদৌস আহমেদ। তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কোনো সরকারি বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ঋতুপর্ণার এই পোস্ট নতুন করে ফেরদৌসের অবস্থান ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।ভোরের আকাশ//হ.র
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেওয়া একটি বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ঈদ বিশেষ অনুষ্ঠান থেকে বাদ পড়েছেন ঢালিউড অভিনেত্রী শিরিন শিলা।২০২৪ সালের জুলাই মাসে সারাদেশজুড়ে যখন কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছিল, তখন নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই আন্দোলনকে হেয় করে মন্তব্য করেন শিরিন শিলা। তিনি লিখেছিলেন—‘কিসের এত আন্দোলন, সুখে থাকলে ভূতে কিলায়।’ এই স্ট্যাটাস ঘিরে তখনই শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়ে পোস্টের মন্তব্য অপশনও বন্ধ করে দেন তিনি।কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও বিষয়টি ফের আলোচনায় আসে, যখন এবারের ঈদ উপলক্ষে বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘চাওয়া-পাওয়া’-তে অতিথি হিসেবে তার উপস্থিতির খবর ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশ্ন তোলেন—“ছাত্র ও সাধারণ মানুষের ন্যায্য আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া একজন শিল্পী কীভাবে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জায়গা পান?”জনমত ও বিতর্কের প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি প্রচার না করার সিদ্ধান্ত নেয় বিটিভি কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা ও পরিকল্পনায় থাকা কবি আসাদ কাজল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, “মূলত জুয়েল আইচ ছিলেন এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। কিন্তু তার ব্যস্ততার কারণে শিরিন শিলাকে যুক্ত করা হয়। তখন আমরা জানতাম না যে তিনি কোটা আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। বিষয়টি সামনে আসার পর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”তিনি আরও যোগ করেন, “রেকর্ডিং হয়ে গিয়েছিল, অনুষ্ঠানটিও ভালোই হয়েছিল। কিন্তু শিরিন শিলাকে ঘিরে বিতর্ক থাকায় সেটি প্রচার না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে নতুন করে করার চিন্তা আছে।”উল্লেখ্য, মডেলিংয়ের মাধ্যমে বিনোদনজগতে পথচলা শুরু করেন শিরিন শিলা। প্রথমে কাজ করেছেন মিউজিক ভিডিওতে, এরপর নাম লেখান নাটক ও চলচ্চিত্রে। ২০১৪ সালে ওয়াজেদ আলী সুমনের পরিচালনায় ‘হিটম্যান’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। তবে অভিনয়ের চেয়ে ব্যক্তি জীবনের নানা মন্তব্য ও বিতর্ক নিয়েই বেশি আলোচনায় থাকেন এই অভিনেত্রী।ভোরের আকাশ।। হ, র