সৌদিতে বাংলাদেশি ইমামকে গুলি করে হত্যা
সৌদি আরবের ইয়েমেন সীমান্তবর্তী শহর জিজানে এক মসজিদের ইমাম হাফেজ আল আমিনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) স্থানীয় রাত সাড়ে ৮টার দিকে সড়কের পাশে তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরে সৌদি আরবে অবস্থানরত তার ভগ্নিপতি নাজমুল ইসলাম আল আমিনের পরিচয় শনাক্ত করেন। তিনি বিষয়টি বাংলাদেশে পরিবারকে জানান।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হাফেজ আল আমিন জিজানের একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। পাশাপাশি তিনি বাসাবাড়িতে খাবার সরবরাহের কাজ করতেন। ঘটনার দিন তিনি তারাবির নামাজ শেষ করে খাবার ডেলিভারি দিতে বের হয়েছিলেন। এরপর ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আল আমিনের চোখ ও বুকসহ শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় সৌদি পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে এখনো হত্যার কোনো কারণ এবং কারো জড়িত থাকার বিষয়ে জানা যায়নি।
নিহত হাফেজ আল আমিনের পরিবার তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশি দূতাবাসও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
আজ রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। ফলে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য স্বল্প মেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এসময়ের মধ্যে দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। তাপমাত্রা খুব একটা পরিবর্তন না হলেও কিছুটা কম থাকতে পারে।পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। আর বুধবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অন্যদিকে বুধবার রাতে পাঁচদিন সারাদেশে টানা বৃষ্টির আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।ভোরের আকাশ/জাআ
নতুন অর্থবছরের বাজেট কার্যক্রম চলমান থাকায় সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারও নিজেদের সব দপ্তর খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। গতকাল বুধবার এক নোটিশে জানানো হয়েছে, আগামী ২১ ও ২৮ জুন এনবিআর ও এর অধীনস্থ কাস্টমস, ভ্যাট, আয়কর ও রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব দপ্তর খোলা থাকবে।এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, সংস্থাটি ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি বিভাগ করার যে অধ্যাদেশ জারি হয়েছিল তা বাতিলের দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলনের কারণে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ঘাটতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই ক্ষতি পোষাতে এখন সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দপ্তর খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাস (জুলাই-এপ্রিল) শেষে রাজস্ব ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা। তবে আগের বছরের তুলনায় এ সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা।গত ২ জুন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। একইদিনে নতুন অর্থবছরের জন্য কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়করের আইনে পরিবর্তন এনে অর্থ অধ্যাদেশ জারি করা হয়।এই আইনে কোনো অসঙ্গতি থাকলে বা অংশীজনদের কোনো দাবি থাকলে তা আমলে নিয়ে ২২ জুন নতুন অধ্যাদেশ জারির ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্র্বর্তী সরকার। এ নিয়েও ব্যস্ত সময় যাচ্ছে এনবিআর কর্মকর্তাদের। তবে বাজেটের কার্যক্রমের সঙ্গে এনবিআরের অন্যান্য দপ্তরের সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই। আইনে পরিবর্তন এলে তা বাস্তবায়ন করতে হবে কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়করের অন্যান্য দপ্তরগুলোকে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নেই সরকারি নিবন্ধন, সেবা নিম্নমানের। ভাড়াটে চিকিৎসক ও টেকনিসিয়ান দিয়ে চলে কার্যক্রম। সারাদেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে। সেবা ও রোগী মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। নিজেদের তৈরি নিয়মে চলে সব কিছু।চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিবন্ধনহীন এমন অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নির্মূল অভিযান নিয়ে বছরের পর ধরে চলছে হাস্যকর খেলা। রোগী মারা গেলে বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই অভিযানের বিষয়টি আলোচনায় আসে। ঢাকঢোল পিটিয়ে শুরু হয় অভিযান কার্যক্রম। লোকদেখানো অভিযানের কয়েকদিন পরই তা চলে যায় আলোচনার বাইরে। দেশের বিশেষ পরিস্থিতির সুযোগে এমন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের অবৈধ ব্যবস্থা বেশ জমে উঠেছে।অভিযোগ উঠেছে, অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে চলছে লুকোচুরি খেলা! ঘোষণা দিয়ে অভিযানে নেমে সফলতা পাচ্ছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘোষণা দিয়ে কয়েকদিনের অভিযানে অবৈধ ও অনিবন্ধিত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম থামানো যাবে না। থানা থেকে বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। বন্ধ করে দেওয়া অবৈধ প্রতিষ্ঠান আবার চালু করা হয়েছে কিনা তা মনিটরিং করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের যোগসাজশে অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলো দেদার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান এবং পরবর্তী অবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না অনিবন্ধিত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। ২০২২ সালের গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ঢাকঢোল পিটিয়ে অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে কয়েক দফা অভিযানে নামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু বিগত বছরগুলোর অভিযানের মতোই এবারো তেমন সফলতা আসেনি। অভিযানে বন্ধ করে দেয়া চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণাঙ্গ তালিকা পর্যন্ত প্রকাশ করতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অবৈধ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে কঠোর নির্দেশনা বহুবার দিয়েছে অধিদপ্তর। কিন্তু তাদের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে হতাশ হয়েছে দেশবাসী। নির্দেশনা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেন সংশ্লিষ্টরা।২০২২ সালের পর কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এভাবে বছরের পর বছর ধরে অনিবন্ধিত অসংখ্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমন নির্দেশনার ওপর দেশবাসী আস্থা রাখতে পারছে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা।২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে মারা যায় শিশু আয়ান আহমেদ। এ ঘটনার পর হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধ হাসপাতালের একটি তালিকা আদালতে জমা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই তালিকায় নাম রয়েছে ১ হাজার ২৭টি প্রতিষ্ঠানের।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্য এক তালিকায় দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে ২০৬টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৬৩টি, বরিশাল বিভাগে ১৬২টি, রাজশাহী বিভাগে ৮৬টি, সিলেট বিভাগে ১৮টি, রংপুর বিভাগে ১২৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯৪টি এবং খুলনা বিভাগে ১১৬টি।২০২৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার জেএস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খতনা করাতে গিয়ে মারা যায় ১০ বছর বয়সী শিশু আহনাফ তাহমিন আয়হাম। ২১ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শন দল গিয়ে দেখতে পায় ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্স নিয়ে হাসপাতাল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি তারা কখনো হাসপাতালের নিবন্ধনের জন্য আবেদনই করেনি। সেদিনই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়ানের মৃত্যু ও মালিবাগের ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিশু আয়হামের মৃত্যুর ঘটনা বেশ নাড়া দিয়েছে।২০২৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা নির্দেশে নিবন্ধনহীন বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে অধিদপ্তরে জানাতে বলা হয়েছিল। বেঁধে দেওয়া সেই সময় শেষ হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি। এই সময়ে কতটি অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে, জানতে চাইলে সন্তোষজনক জবান দিতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে, জানতে অধিদপ্তরের তৈরি করা তালিকা ধরে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা অবৈধ হাসপাতালগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বাস্তবতা দেখা যায়নি। সরেজমিন দেখা যায়, অনেক জায়গায় দিব্যি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠান।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অবৈধ ক্লিনিকের তালিকায় থাকা এমন একটি প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইলের রেহেনা মডার্ন হসপিটাল। টাঙ্গাইল শহরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের সামনেই গড়ে ওঠা ক্লিনিকের নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন। তারপরও দিব্যি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরত্বে থাকা অবৈধ এই হাসপাতাল।রেহেনা মডার্ন হসপিটালের ১০০ গজের মধ্যে রয়েছে মেডিপ্লাস হসপিটাল অ্যান্ড হরমোন সেন্টার। কোনো হরমোন বিশেষজ্ঞ না থাকলেও ক্লিনিকের নাম হরমোন সেন্টার। এই কারণেই ক্লিনিকে রোগীর ভিড় কিছুটা বেশি। এখানকার বেশির ভাগ চিকিৎসকও শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের। কথা হয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে।তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। শুধু এই দুটি প্রতিষ্ঠানই নয়, টাঙ্গাইল শহরের সদর রোডে অবস্থিত আল-মদিনা চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড ফ্যাকো সেন্টার, সাবালিয়ার টাঙ্গাইল মেডিপ্যাথ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হাই কেয়ার ল্যাব, সুপার হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হেলথ এইড নামের ক্লিনিকও কোনো ধরনের আবেদন না করেই হাসপাতালের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।এদিকে ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্টপুর মহল্লায় বহুতল ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে শাওন ডায়াগনস্টিক ল্যাব। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলেও এই ল্যাবে আসা রোগীদের অস্ত্রোপচার করা হয় তৃতীয় তলায় প্রতিষ্ঠিত মনির উদ্দিন প্রাইভেট হাসপাতালে।গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল নিউ মনির উদ্দিন প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। চিকিৎসক ছাড়া অস্ত্রোপচার করায় হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়। এরপর নাম পরিবর্তন করে তিন মাস ধরে আবারও কার্যক্রম চালাচ্ছে অবৈধ এই প্রতিষ্ঠানটি।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাদেশে অলিগলিতে চিকিৎসাসেবার নামে অবাধে অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে অসংখ্য অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক। এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকে না। বিভিন্ন সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও অবৈধ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের যোগসাজশ ও লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোথাও কোথাও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন নিয়ে সাজিয়ে বসেছে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ব্যবসা। ভর্তি করা হয় রোগী। ভাড়া করে আনা হয় চিকিৎসক। মানহীন আইসিইউ সাজিয়ে চালায় রমরমা বাণিজ্য। এমন ফাঁদে পড়ে নানা হয়রানির শিকার হয়ে আসছে অনেক রোগী। সাইনবোর্ডসর্বস্ব এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়মনীতির বালাই নেই।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আরো জানান, জবাবদিহি না থাকায় অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে চলে অরাজকতা। থাকে না মানবতার উপস্থিতি। এসব সেন্টারে হাতুড়ে টেকনিশিয়ান দ্বারাই চালানো হয় রোগ নির্ণয়ের যাবতীয় পরীক্ষা। তারা মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করে ঠকাচ্ছে নিরীহ মানুষকে। একই রোগ পরীক্ষায় একেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে একেক রকম রিপোর্ট পাওয়ার অনেক ঘটনা রয়েছে। রোগী মারার কারখানা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব সেন্টার থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট নিয়ে রোগী ও তাদের স্বজনরা চরম বিভ্রান্তিতে পড়েন। নানা সমালোচনার মধ্যেও সরকারি হাসপাতালের একশ্রেণির ডাক্তারের সহায়তায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকদের যথেচ্ছ টেস্টবাণিজ্য চলছে বছরের পর বছর। ডায়াগনস্টিক প্রতারণার শিকার মানুষজন বারবার অভিযোগ তুলেও প্রতিকার পাচ্ছেন না।ভোরের আকাশ/এসএইচ
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলী থেকে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় থাকা ১২৩ জন বাংলাদেশিকে বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে তারা ত্রিপলীর মিতিগা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।বিশেষ এই ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে জানিয়েছে ত্রিপলিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।এক বিবৃতিতে দূতাবাস জানায়, তাদের ধারাবাহিক ও নিবিড় প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহযোগিতায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের এই প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়েছে। বিশেষ ফ্লাইটটি পরিচালনা করছে বুরাক এয়ার।প্রত্যাবাসিত এসব বাংলাদেশি ত্রিপলী ও আশপাশের শহরগুলোতে অনিয়মিতভাবে বসবাস করছিলেন। তাদের মধ্যে ২৩ জন শারীরিকভাবে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন।দূতাবাস সূত্র জানায়, অধিকাংশ অভিবাসীর পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিল বা বৈধ কাগজপত্র ছিল না। এ কারণে তাদের দেশে ফেরাতে নতুন পাসপোর্ট বা আউটপাস ইস্যু এবং বহির্গমন ভিসা (খুরুজ) সংগ্রহ করা ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ।বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আইওএম যৌথভাবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তাদের নিরাপদে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করেছে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।ভোরের আকাশ//হ.র