সংগৃহীত ছবি
অধিকৃত পশ্চিমতীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতিতে কার্যক্রম চালানো কোম্পানিগুলোর একটি হালনাগাদ ডেটাবেজ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জেনেভা থেকে প্রকাশিত এ তালিকায় এয়ারবিএনবি, বুকিং ডটকম, মটোরোলা সলিউশন্স এবং ট্রিপ অ্যাডভাইজরের মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
তালিকায় মোট ১১টি দেশের ১৫৮টি কোম্পানির নাম রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ইসরায়েলভিত্তিক। বাকিগুলো কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্পেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক এ প্রসঙ্গে বলেন, পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন নীতি ‘যুদ্ধাপরাধের শামিল’।
তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘ জানায়, যেসব কোম্পানি বসতিতে নির্মাণকাজ, নজরদারি, উচ্ছেদ বা কৃষিজমি ধ্বংসের মতো কার্যক্রমে জড়িত- শুধুমাত্র তাদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, এ তালিকা কোনও বিচারিক বা আধা-বিচারিক প্রক্রিয়া নয়, বরং সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ববোধের বিষয়টি সামনে আনার চেষ্টা।
প্রথম তালিকা প্রকাশিত হয় ২০২০ সালে। শুরু থেকেই এ প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তখন ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের এ পদক্ষেপকে কঠোরভাবে সমালোচনা করে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এটিকে ‘একটি লজ্জাজনক আত্মসমর্পণ’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
অধিকৃত পশ্চিমতীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতিতে কার্যক্রম চালানো কোম্পানিগুলোর একটি হালনাগাদ ডেটাবেজ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জেনেভা থেকে প্রকাশিত এ তালিকায় এয়ারবিএনবি, বুকিং ডটকম, মটোরোলা সলিউশন্স এবং ট্রিপ অ্যাডভাইজরের মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।তালিকায় মোট ১১টি দেশের ১৫৮টি কোম্পানির নাম রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ইসরায়েলভিত্তিক। বাকিগুলো কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্পেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক।জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক এ প্রসঙ্গে বলেন, পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন নীতি ‘যুদ্ধাপরাধের শামিল’।তিনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।জাতিসংঘ জানায়, যেসব কোম্পানি বসতিতে নির্মাণকাজ, নজরদারি, উচ্ছেদ বা কৃষিজমি ধ্বংসের মতো কার্যক্রমে জড়িত- শুধুমাত্র তাদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, এ তালিকা কোনও বিচারিক বা আধা-বিচারিক প্রক্রিয়া নয়, বরং সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ববোধের বিষয়টি সামনে আনার চেষ্টা।প্রথম তালিকা প্রকাশিত হয় ২০২০ সালে। শুরু থেকেই এ প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তখন ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের এ পদক্ষেপকে কঠোরভাবে সমালোচনা করে।ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এটিকে ‘একটি লজ্জাজনক আত্মসমর্পণ’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।ভোরের আকাশ/তা.কা
ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬০ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৪২ জন। শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।তবে হামলায় নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের তলায় অনেকের মরদেহ চাপা পড়েছে এবং প্রয়োজনীয় লোকবল ও সরঞ্জামের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যার পর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গত দুই বছরের অভিযানে মোট নিহত সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৪৯ জনে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫১৮ জনে পৌঁছেছে।এছাড়া গত ২৭ মে থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় খাদ্য ও ত্রাণ নিতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। শুক্রবার ত্রাণ নিতে গিয়ে ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে।আন্তর্জাতিক জনমতকে উপেক্ষা করে গাজায় নিষ্ঠুর সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য গত নভেম্বরে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।এছাড়া জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলাও দায়ের করা হয়েছে।তবে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ উচ্ছেদ না করা পর্যন্ত সামরিক অভিযান চলবে গাজায়।ভোরের আকাশ/তা.কা
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বক্তব্য শুরু করার আগেই বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা গণহারে ওয়াকআউট করেছেন। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে এ ঘটনা ঘটে।নেতানিয়াহু মঞ্চে উঠতেই হল থেকে একের পর এক প্রতিনিধি বেরিয়ে যান। একসঙ্গে এতজন বেরিয়ে যাওয়ায় বেরোনোর পথে লম্বা লাইন তৈরি হয়। গত বছরের মতো এবারের অধিবেশনেও একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হলো।তবে ওয়াকআউটের মধ্যেও মার্কিন প্রতিনিধিদল নেতানিয়াহুকে করতালি দেয়। এ সময় তিনি নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হলে উপস্থিত ব্রাজিলীয় প্রতিনিধিদলকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের প্রতীক কেফিয়াহ পরে থাকতে দেখা যায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণ পরিষদের প্রথম দিনেই নেতানিয়াহুর বক্তব্য ঘিরে বিক্ষোভের আশঙ্কায় আগেই প্রতিনিধিদের শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছিল।এর আগে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মিশন বিভিন্ন বিশ্বনেতাকে চিঠি পাঠিয়ে নেতানিয়াহুর ভাষণ বর্জনের আহ্বান জানায় এবং তাকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবে অভিহিত করে। ভোরের আকাশ/হ.র
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গাজায় চলমান বর্বর গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, “আমাদের চোখের সামনেই একটি ভয়াবহ গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে। অথচ মানবজাতি তা বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে না। এ অবস্থায় ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।”ড. ইউনূস বলেন, গাজায় শিশুদের না খেতে পেয়ে অকাল মৃত্যু, বেসামরিক জনগণের নির্বিচার হত্যা এবং হাসপাতাল-স্কুল ধ্বংস মানবিক বিপর্যয়কে তীব্রতর করছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, চরম জাতীয়তাবাদ ও উদাসীন ভূরাজনীতি বহু দশকের অর্জন ধ্বংস করছে।এ সময় তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক ব্যবহারের অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। ভোরের আকাশ/হ.র