কাঁচা নাকি পাকা আম, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী

কাঁচা নাকি পাকা আম, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশ : ১২ ঘন্টা আগে

আপডেট : ১১ ঘন্টা আগে

কাঁচা নাকি পাকা আম, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী

কাঁচা নাকি পাকা আম, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী

চলছে সুস্বাদু রসালো ফল আমের মৌসুম। আম পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। আম শুধু ফল হিসেবে খাওয়াতেই শেষ নয়, আমের ব্যবহার আছে অন্য রান্নায়ও। শুধু মিষ্টি খাবারে অন্তত ২০ ধরনের নাম বলা যাবে এক নিশ্বাসে, যাতে আম ব্যবহার করা হয়। এমনকি পৃথিবীব্যাপী টক-ঝাল-মিষ্টি এমন কোনো ধরনের খাবার নেই, যাতে আম দিয়ে দু-একটি খাবার বানানো সম্ভব হয় না। আম দিয়ে তৈরি মিষ্টি খাবার যেমন কেক, পুডিং কিংবা আমের কুলফি, শরবত তো আছেই; এর সঙ্গে আমের আচার কিংবা চাটনিও ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। এ ছাড়া কাঁচা আম আলাদাভাবেই ব্যবহার করা হয় হরেক রকম রান্নায়। এসবের বাইরেও আমের সালাদ, বিভিন্ন ফলের সালাদ, চিকেন সালাদ এমনকি মাংস রান্নায়ও আম ব্যবহার করা হয়। আমের ব্যবহার  নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। কাঁচা না পাকা,কোন ধরনের আম স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, আম পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। এতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের খনিজ, ভিটামিন এবং বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগ। কাঁচা এবং পাকা দুই ধরনের আমেই রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। কাঁচা হোক বা পাকা, রোজ একটা করে আম খেলে বরং শরীরের অনেক উপকার হয়। তবে আম খাওয়ার ক্ষেত্রেও কয়েকটি বিষয়ে নজর রাখা জরুরি।

কাঁচা আম : কাঁচা আমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। কাঁচা আম যেভাবেই খাওয়া হোক, তা শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে গ্যালিক অ্যাসিড থাকে। যা গরমকালে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে কাঁচা আম খেলে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা দূর হয়। পটাশিয়াম থাকার কারণে কাঁচা আম খেলে ঘাম কম হয়। ক্লান্তিও দূর করতে সাহায্য করে কাঁচা আমের শরবত। কাঁচা আমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এই ফল খেলে রুক্ষ, শুষ্ক ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। তবে অতিরিক্ত না খাওয়াই উচিত। কাঁচা আম বেশি খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পাকা আম: পাকা আমে ক্যালোরি, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, কার্বোহাইড্রেট, ক্যারোটিন ও পটাশিয়াম রয়েছে। ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। বিশেষ করে শিশুদের দাঁত, চুল এবং দৃষ্টিশক্তির জন্য পাকা আম খুব উপকারী। রোজ একটি করে পাকা আম খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাকা আমের মধ্যে প্রচুর ক্যালোরি রয়েছে, যা শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। কিন্তু অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পাকা আম খেতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। রোজ কতটা পরিমাণ পাকা আম খাওয়া উচিত, পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করেই খাওয়া প্রয়োজন।

যারা ওজন কমানোর জন্য নির্দিষ্ট ডায়েট অনুসরণ করনে, তাদেরকেও অতিরিক্ত পাকা আম খেতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রতিবেদনটি কেবল সাধারণ তথ্যের জন্য, বিস্তারিত জানতে হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

ভোরের আকাশ/এসআই

  • শেয়ার করুন-

সংশ্লিষ্ট

চুলের যত্নে কাঠের চিরুনি

চুলের যত্নে কাঠের চিরুনি

কাঁচা নাকি পাকা আম, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী

কাঁচা নাকি পাকা আম, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি বেশি উপকারী

গরমে ‘মেটাল অ্যালার্জি’ থেকে বাঁচার উপায়

গরমে ‘মেটাল অ্যালার্জি’ থেকে বাঁচার উপায়

আতঙ্কের নাম মিষ্টি খাবার!

আতঙ্কের নাম মিষ্টি খাবার!

মন্তব্য করুন