সংগৃহীত ছবি
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ন্যায্য দাবিসমূহ পর্যায়ক্রমে পূরণ করা সম্ভব। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নে কাজ করছে। পরবর্তী সময়ে যে সরকার আসবে তাঁরাও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ন্যায্য দাবি পূরণে সচেষ্ট থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বুধবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে অনুষ্ঠিত শারদীয় দুর্গোৎসবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্য আমাদের ইতিহাসের অংশ। বাংলাদেশের ইতিহাস হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের মাধ্যমে লড়াইয়ের ইতিহাস। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি ও বহু ঐতিহ্যের বাংলাদেশ গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মাহফুজ আলম বলেন, গতবারের তুলনায় এবারের দুর্গাপূজা বর্ণিল ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্যাপিত হচ্ছে। দুর্গাপূজাকে উৎসবমুখর করতে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদ্যাপনে সহায়তা করার জন্য তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের নৃশংস ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওই সময় সরকারপ্রধানের নির্দেশ অনুযায়ী হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, উপদেষ্টা তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বৈষম্যহীন উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।
জগন্নাথ হলের শারদীয় দুর্গোৎসবে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকী-সহ দুর্গোৎসব উদ্যাপন কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা ঢাকেশ্বরী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি হামলা ও ত্রাণ বহর জব্দের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংগঠনটির যুগ্মমহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরায়েল মানবতাবিরোধী এক বর্বর শক্তি, যারা আন্তর্জাতিক কোনো আইনকানুনের তোয়াক্কা করে না এবং মানবিক উদ্যোগকেও সশস্ত্রভাবে প্রতিহত করে।বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দেওয়া ওই বিবৃতিতে তিনি জানান, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ছিল গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এতে ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ প্রতিনিধি অংশ নেন—যাদের মধ্যে ছিলেন মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরাও। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এতে অংশ নেন শহিদুল আলম। অথচ ইসরায়েল এ মানবিক বহরে আক্রমণ চালিয়ে ত্রাণসামগ্রী জব্দ করেছে, যা গোটা বিশ্বের জন্য এক ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা বলেই মন্তব্য করেন তিনি।তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলকে যদি এখনই আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিহত করা না যায়, তবে একদিন তারা ইউরোপকেও চাপে ফেলবে। এখন ইউরোপীয় সরকারগুলোর জন্য পরীক্ষা—তারা কি তাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, নাকি ইসরায়েলের বর্বরতার সামনে নীরব থাকবে।”বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গাজী আতাউর রহমান বলেন, দেশের নাগরিক শহিদুল আলমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। একইসঙ্গে বৈশ্বিক মানবিক উদ্যোগে ইসরায়েলের এই হামলার বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে আরও জোরালো কণ্ঠ তুলতে হবে।ঘোষণায় তিনি জানান, শুক্রবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে। এ কর্মসূচিতে ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে।ভোরের আকাশ//হ.র
ভাষাসংগ্রামী, কবি, প্রাবন্ধিক ও খ্যাতিমান রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।আহমদ রফিকের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন তাঁর বিশেষ সহকারী মো. রাসেল ও গাড়িচালক মো. কালাম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মৃত্যুর কয়েক মিনিট আগে তিনি কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হন।শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার বিকেলেই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল। বারডেম হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডা. কানিজ ফাতেমার তত্ত্বাবধানে চলছিল চিকিৎসা। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি, পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার ‘মাইল্ড স্ট্রোক’-এরও শিকার হন।গত ১১ সেপ্টেম্বর ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাঁকে পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধার অভাবে গত রবিবার তাঁকে বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন আহমদ রফিক। ২০০৬ সালে স্ত্রীকে হারানোর পর তিনি নিউ ইস্কাটনের গাউসনগরের একটি ভাড়া বাসায় একাই বসবাস করতেন। নিঃসন্তান এই ভাষাসৈনিক জীবদ্দশায় শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা করেছেন।বাংলা ভাষা ও রবীন্দ্রচর্চায় তাঁর অবদান অনন্য। পেয়েছেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা। কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি।জানা গেছে, মৃত্যুর আগে নিজের দেহ ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে দান করার অঙ্গীকার করে গেছেন তিনি।ভোরের আকাশ//হ.র
বিদেশি বিনিয়োগকারী ও কর্মীদের জন্য নিরাপত্তা ছাড়পত্রের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল হলো। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) জানিয়েছে, ১ অক্টোবর থেকে এই সেবা চালু হয়েছে। এখন থেকে বিদেশিরা সরাসরি বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।বিধি অনুযায়ী, কর্মানুমতি পাওয়া প্রত্যেক বিদেশি বিনিয়োগকারী ও কর্মীর জন্য নিরাপত্তা ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। আবেদন জমা দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট সংস্থা তা যাচাই করবে। কোনো আপত্তি না থাকলে ২১ কার্যদিবসের মধ্যেই ছাড়পত্র অনুমোদিত হয়েছে বলে ধরা হবে। তবে কর্মানুমতিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন জমা না পড়লে সেই অনুমতি বাতিল হয়ে যাবে।বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, “নিরাপত্তা ছাড়পত্রের ডিজিটাল প্রক্রিয়া বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করবে। এ উদ্যোগের ফলে স্বচ্ছতা ও গতি দুটোই বাড়বে।” এ সময় তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি জানান, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় জোরদার হবে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভিসা ও কর্মসংস্থান সম্পর্কিত সেবা আরও সহজে পাবেন।গত ২ সেপ্টেম্বর বিডা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃসংস্থা বৈঠকে অনলাইনে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। সেই সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিনিয়োগ সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া ভিসা নবায়ন, ফি পরিশোধ, ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’ ফি প্রদানের অনলাইন ব্যবস্থা এবং আন্তঃসংস্থাগত তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজও চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এসব কার্যক্রম শেষ হওয়ার আশা করছে বিডা।ভোরের আকাশ // হ.র
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ইসির জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তারা বিষয়টি জানিয়েছেন।ইসি জানিয়েছে, ওইদিন সকালে ইসির সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংলাপে বসবে। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মোহাম্মদ আবু হেনাসহ সংশ্লিষ্টরা এ বৈঠকে অংশ নেবেন। একইদিন বিকেলে নারী নেত্রীদের সঙ্গে বসবে ইসি। এতে মোট ৪০ জনের মতামত বা পরামর্শ নেওয়ার কথা রয়েছে।আগামী ৬ অক্টোবর গণমাধ্যমসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া জুলাইযোদ্ধা, রাজনৈতিকদলগুলোর সঙ্গেও বসবে ইসি।সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সংলাপে ওঠে আসা মতামত তার কমিশন বাস্তবায়ন করবে।এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভোটের সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। ওইদিন সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপ হয়।ভোরের আকাশ/তা.কা