বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট
রাজীব দাস
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৫৭ পিএম
জবাব দেওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছে টাইগাররা
ঘরের মাঠে হারের পর যেন পুরো দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখে একটাই প্রশ্ন এই বাংলাদেশ দল কি ভুলে গেছে জয়ের পথ? সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন এক পরাজয় এসেছে, যা শুধু পয়েন্ট টেবিল নয়, ভেঙে দিয়েছে আত্মবিশ্বাস, প্রশ্ন তুলেছে প্রস্তুতি ও মানসিকতা নিয়েও। এই তো কিছুদিন আগেই এই দল পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হারিয়ে এসেছিল, আফগানিস্তানকে গুড়িয়ে দিয়েছে। সেই বাংলাদেশই হেরে গেল এমন এক দলের কাছে, যারা দীর্ঘদিন কোনো টেস্ট ম্যাচ জেতেনি, যারা ঘরের মাঠেই হেরেছে নবীন দল আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে এক সময় ছিল ‘চ্যালেঞ্জ’ নামের প্রতীক। তারপর সময় বদলেছে। যারা একসময় আমাদের ভোগাত, তারাই পরিণত হয়েছিল সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবে। কিন্তু সিলেট টেস্ট যেন সেই পুরনো গল্পকে নতুন করে লিখে দিল, উল্টো দিক থেকে। প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখে মনে হয়েছে, টাইগাররা যেন নিজেদের ছায়াও খুঁজে পায়নি। ব্যাটিংয়ে ভঙ্গুর, বোলিংয়ে ধারহীন, ফিল্ডিংয়েও চাপে সব মিলিয়ে প্রতিপক্ষের প্রতি কোনো চাপই তৈরি করতে পারেনি দল। এবার তাই সামনে একটাই রাস্তা ঘুরে দাঁড়ানো। শুধু জয় নয়, বড় জয়। নিজেদের হারানো মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হবে পারফরম্যান্সে। কারণ দ্বিতীয় ম্যাচই এখন সেই পরীক্ষার মঞ্চ, যেখানে শুধু প্রতিপক্ষ নয়, জয় পেতে হবে আত্মবিশ্বাস, ঐতিহ্য আর অতীত শ্রেষ্ঠত্বের বিরুদ্ধে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে শুরুর দিনগুলো ছিল বেদনার। সেই সময়কার ভোগান্তির এক জীবন্ত সাক্ষী সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। খেলোয়াড়ি জীবন থেকে শুরু করে পরে নানা ভূমিকায় থেকেও তিনি দেখেছেন কিভাবে বাংলাদেশ সময়ের সঙ্গে পাল্টে দিয়েছে চিত্র। কিন্তু সিলেট টেস্টে হতাশাজনক পরাজয়ে পুরনো স্মৃতি যেন আবার ফিরে আসছে। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে চট্টগ্রামে ভূমিধস বিজয়ের তাগিদ দিচ্ছেন হাবিবুল বাশার সুমন। টাইগাররাও প্রস্তুত হচ্ছে সেই জবাব দিতে।
ইতিহাসের পাতা থেকে শিক্ষা: ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু হওয়া দ্বিপাক্ষিক লড়াইয়ে প্রথম সাত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। তখন হিথ স্ট্রিক, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্রান্ট ফ্লাওয়ার, টাটেন্ডা টাইবুদের মতো তারকায় ঠাসা ছিল জিম্বাবুয়ে দল। বাংলাদেশের পক্ষে তখন লড়াই করাই ছিল বড় অর্জন। ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে ইতিহাস গড়ে প্রথম টেস্ট জয় আসে হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে। এরপর থেকেই শুরু হয় ধীরে ধীরে উন্নতির পথচলা। রাজনৈতিক সংকট ও বোর্ডের সমস্যা জর্জরিত জিম্বাবুয়ে পেছাতে থাকে, আর বাংলাদেশ এগিয়ে যায় সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে। গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরেই দুই দেশের লড়াইয়ে ফেভারিটের তকমা বাংলাদেশেরই ছিল। ২০০৫ সালের পর ২০১৪ সালেও সিরিজ জেতে টাইগাররা। ২০১৩ ও ২০১৮ সালে সিরিজ ড্র হলেও সামগ্রিক সাফল্যে বাংলাদেশই ছিল এগিয়ে।
সিলেট টেস্টের পরাজয়, কেন এত হতাশা: সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ ছিল পরিষ্কার ফেভারিট। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে সেই ছাপ ছিল অনুপস্থিত। বরং জিম্বাবুয়ে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণে ছিল ম্যাচের। ব্যাটে-বলে শৃঙ্খলার অভাব ছিল বাংলাদেশের মধ্যে। ক্রেইগ আরভাইনের নেতৃত্বে আত্মবিশ্বাসী জিম্বাবুয়ে ২১ বছরের ইতিহাস নতুন করে লিখতে চাইছে। অথচ এই দলই ম্যাচের আগে টানা ১০ টেস্টে জয় পায়নি। আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের মতো টেস্ট নবাগতদের কাছে হেরেছিল। এই প্রেক্ষাপটে সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের হার শুধু একটি পরাজয় নয়, বরং বড় অ্যালার্ম হয়ে দেখা দিয়েছে।
টপ অর্ডারের ধস, বড় চ্যালেঞ্জ: সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা টপ অর্ডার ব্যাটিং। প্রায় তিন বছর ধরে কোনো শতরান আসেনি উদ্বোধনী জুটিতে। সর্বশেষ ১৩ ইনিংসে কোনো ৫০ রানের জুটিও হয়নি ওপেনারদের মধ্যে। টেস্টের শুরুতে দ্রুত উইকেট হারানো যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিলেটেও দেখা গেছে সেই একই ছবি। ভালো শুরু না হওয়ায় পুরো ইনিংসই ভেঙে পড়ে। পেসাররাও দুই ইনিংসে নতুন বলে তেমন কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি প্রতিপক্ষের ওপরে।
কী বলছেন হাবিবুল বাশার: সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার হতাশ হলেও এক ম্যাচের পারফরম্যান্স দিয়ে বড় সিদ্ধান্তে যেতে নারাজ। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, চট্টগ্রামে দাপুটে জয় ছাড়া বিকল্প নেই। তার ভাষায়, একটা ম্যাচ দিয়ে বলতে চাই না, সবকিছু বদলে গেছে। তবে এটা আমাদের স্ট্যান্ডার্ড নয়। আমাদের ভালো খেলার বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, টেস্ট ম্যাচ মানেই চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ আসবেই। যারা সেই চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে যেতে পারে, তারাই সত্যিকারের ভালো দল। এখন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলতে হবে।
ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় কী: শুরুর ছন্দ ফিরে পেতে হবে: টপ অর্ডারকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে হবে। অন্তত প্রথম ২০-২৫ ওভার টিকতে হবে। নতুন বলে উইকেট শিকার, পেসারদের শুরুতেই আঘাত হানতে হবে। প্রতিপক্ষকে চাপের মধ্যে ফেলতে হবে। মানসিক দৃঢ়তা দেখাতে হবে, সিলেটের ব্যর্থতা ভুলে গিয়ে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামতে হবে মাঠে। মাঠের পারফরম্যান্সে প্রমাণ, শক্তির ব্যবধান মাঠে স্পষ্ট করতে হবে। বিশাল ব্যবধানে জয় চাই টাইগারদের।
দ্বিতীয় টেস্টের মহারণ, টাইগারদের সামনে শেষ সুযোগ: সিরিজ জয়ের স্বপ্ন শেষ হলেও এখন সম্মান রক্ষার লড়াই বাংলাদেশের সামনে। বিশাল ব্যবধানে জয় পেলে কিছুটা মানসিক প্রশান্তি মিলবে। আর হারলে পরিস্থিতি হবে আরও ভয়াবহ। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে (আগের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়াম) সোমবার শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। টাইগাররা কি পারবে নিজেদের ফিরে পেতে? এখন সেই উত্তরের অপেক্ষায় পুরো দেশ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট
রাজীব দাস
প্রকাশ : ১২ ঘন্টা আগে
আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
জবাব দেওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছে টাইগাররা
ঘরের মাঠে হারের পর যেন পুরো দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখে একটাই প্রশ্ন এই বাংলাদেশ দল কি ভুলে গেছে জয়ের পথ? সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন এক পরাজয় এসেছে, যা শুধু পয়েন্ট টেবিল নয়, ভেঙে দিয়েছে আত্মবিশ্বাস, প্রশ্ন তুলেছে প্রস্তুতি ও মানসিকতা নিয়েও। এই তো কিছুদিন আগেই এই দল পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হারিয়ে এসেছিল, আফগানিস্তানকে গুড়িয়ে দিয়েছে। সেই বাংলাদেশই হেরে গেল এমন এক দলের কাছে, যারা দীর্ঘদিন কোনো টেস্ট ম্যাচ জেতেনি, যারা ঘরের মাঠেই হেরেছে নবীন দল আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে এক সময় ছিল ‘চ্যালেঞ্জ’ নামের প্রতীক। তারপর সময় বদলেছে। যারা একসময় আমাদের ভোগাত, তারাই পরিণত হয়েছিল সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবে। কিন্তু সিলেট টেস্ট যেন সেই পুরনো গল্পকে নতুন করে লিখে দিল, উল্টো দিক থেকে। প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখে মনে হয়েছে, টাইগাররা যেন নিজেদের ছায়াও খুঁজে পায়নি। ব্যাটিংয়ে ভঙ্গুর, বোলিংয়ে ধারহীন, ফিল্ডিংয়েও চাপে সব মিলিয়ে প্রতিপক্ষের প্রতি কোনো চাপই তৈরি করতে পারেনি দল। এবার তাই সামনে একটাই রাস্তা ঘুরে দাঁড়ানো। শুধু জয় নয়, বড় জয়। নিজেদের হারানো মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হবে পারফরম্যান্সে। কারণ দ্বিতীয় ম্যাচই এখন সেই পরীক্ষার মঞ্চ, যেখানে শুধু প্রতিপক্ষ নয়, জয় পেতে হবে আত্মবিশ্বাস, ঐতিহ্য আর অতীত শ্রেষ্ঠত্বের বিরুদ্ধে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে শুরুর দিনগুলো ছিল বেদনার। সেই সময়কার ভোগান্তির এক জীবন্ত সাক্ষী সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। খেলোয়াড়ি জীবন থেকে শুরু করে পরে নানা ভূমিকায় থেকেও তিনি দেখেছেন কিভাবে বাংলাদেশ সময়ের সঙ্গে পাল্টে দিয়েছে চিত্র। কিন্তু সিলেট টেস্টে হতাশাজনক পরাজয়ে পুরনো স্মৃতি যেন আবার ফিরে আসছে। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে চট্টগ্রামে ভূমিধস বিজয়ের তাগিদ দিচ্ছেন হাবিবুল বাশার সুমন। টাইগাররাও প্রস্তুত হচ্ছে সেই জবাব দিতে।
ইতিহাসের পাতা থেকে শিক্ষা: ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু হওয়া দ্বিপাক্ষিক লড়াইয়ে প্রথম সাত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। তখন হিথ স্ট্রিক, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্রান্ট ফ্লাওয়ার, টাটেন্ডা টাইবুদের মতো তারকায় ঠাসা ছিল জিম্বাবুয়ে দল। বাংলাদেশের পক্ষে তখন লড়াই করাই ছিল বড় অর্জন। ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে ইতিহাস গড়ে প্রথম টেস্ট জয় আসে হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে। এরপর থেকেই শুরু হয় ধীরে ধীরে উন্নতির পথচলা। রাজনৈতিক সংকট ও বোর্ডের সমস্যা জর্জরিত জিম্বাবুয়ে পেছাতে থাকে, আর বাংলাদেশ এগিয়ে যায় সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে। গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরেই দুই দেশের লড়াইয়ে ফেভারিটের তকমা বাংলাদেশেরই ছিল। ২০০৫ সালের পর ২০১৪ সালেও সিরিজ জেতে টাইগাররা। ২০১৩ ও ২০১৮ সালে সিরিজ ড্র হলেও সামগ্রিক সাফল্যে বাংলাদেশই ছিল এগিয়ে।
সিলেট টেস্টের পরাজয়, কেন এত হতাশা: সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ ছিল পরিষ্কার ফেভারিট। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে সেই ছাপ ছিল অনুপস্থিত। বরং জিম্বাবুয়ে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণে ছিল ম্যাচের। ব্যাটে-বলে শৃঙ্খলার অভাব ছিল বাংলাদেশের মধ্যে। ক্রেইগ আরভাইনের নেতৃত্বে আত্মবিশ্বাসী জিম্বাবুয়ে ২১ বছরের ইতিহাস নতুন করে লিখতে চাইছে। অথচ এই দলই ম্যাচের আগে টানা ১০ টেস্টে জয় পায়নি। আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের মতো টেস্ট নবাগতদের কাছে হেরেছিল। এই প্রেক্ষাপটে সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের হার শুধু একটি পরাজয় নয়, বরং বড় অ্যালার্ম হয়ে দেখা দিয়েছে।
টপ অর্ডারের ধস, বড় চ্যালেঞ্জ: সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা টপ অর্ডার ব্যাটিং। প্রায় তিন বছর ধরে কোনো শতরান আসেনি উদ্বোধনী জুটিতে। সর্বশেষ ১৩ ইনিংসে কোনো ৫০ রানের জুটিও হয়নি ওপেনারদের মধ্যে। টেস্টের শুরুতে দ্রুত উইকেট হারানো যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিলেটেও দেখা গেছে সেই একই ছবি। ভালো শুরু না হওয়ায় পুরো ইনিংসই ভেঙে পড়ে। পেসাররাও দুই ইনিংসে নতুন বলে তেমন কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি প্রতিপক্ষের ওপরে।
কী বলছেন হাবিবুল বাশার: সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার হতাশ হলেও এক ম্যাচের পারফরম্যান্স দিয়ে বড় সিদ্ধান্তে যেতে নারাজ। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, চট্টগ্রামে দাপুটে জয় ছাড়া বিকল্প নেই। তার ভাষায়, একটা ম্যাচ দিয়ে বলতে চাই না, সবকিছু বদলে গেছে। তবে এটা আমাদের স্ট্যান্ডার্ড নয়। আমাদের ভালো খেলার বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, টেস্ট ম্যাচ মানেই চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ আসবেই। যারা সেই চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে যেতে পারে, তারাই সত্যিকারের ভালো দল। এখন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলতে হবে।
ঘুরে দাঁড়ানোর উপায় কী: শুরুর ছন্দ ফিরে পেতে হবে: টপ অর্ডারকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে হবে। অন্তত প্রথম ২০-২৫ ওভার টিকতে হবে। নতুন বলে উইকেট শিকার, পেসারদের শুরুতেই আঘাত হানতে হবে। প্রতিপক্ষকে চাপের মধ্যে ফেলতে হবে। মানসিক দৃঢ়তা দেখাতে হবে, সিলেটের ব্যর্থতা ভুলে গিয়ে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামতে হবে মাঠে। মাঠের পারফরম্যান্সে প্রমাণ, শক্তির ব্যবধান মাঠে স্পষ্ট করতে হবে। বিশাল ব্যবধানে জয় চাই টাইগারদের।
দ্বিতীয় টেস্টের মহারণ, টাইগারদের সামনে শেষ সুযোগ: সিরিজ জয়ের স্বপ্ন শেষ হলেও এখন সম্মান রক্ষার লড়াই বাংলাদেশের সামনে। বিশাল ব্যবধানে জয় পেলে কিছুটা মানসিক প্রশান্তি মিলবে। আর হারলে পরিস্থিতি হবে আরও ভয়াবহ। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে (আগের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়াম) সোমবার শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। টাইগাররা কি পারবে নিজেদের ফিরে পেতে? এখন সেই উত্তরের অপেক্ষায় পুরো দেশ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ