পাবনায় ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে মা-ছেলেকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত
পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুরে ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে মা ও ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এসময় ব্যাপক ভাঙচুর- হামলা চালিয়ে নগদ অর্থ ও গোয়ালঘর থেকে একটি গরু লুটপাট করে নেওয়া হয়।শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে আমিনপুর থানায় বাদী হয়ে লিখিত ইজাহার দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মাহফুজুর রহমান। এর আগে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার (২৮-২৯ আগস্ট) আমিনপুর থানার জাতসাখিনী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের গাংপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।অভিযুক্তারা হলেন- সৈয়দপুর গ্রামের গাংপাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ফারুক শেখ ও আব্দুর রশিদের ছেলে ইলিয়াস শেখ। ভুক্তভোগীরা হলেন- ওই এলাকার আব্দুল বারেক শেখের ছেলে মাহফুজুর রহমান (২৩) ও বারেক শেখের স্ত্রী মাবিয়া খাতুন (৪২)।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। কিছুদিন আগে ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।এরই জেরে গত বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট( রাত ৮ টার দিকে ফারুক শেখ ও ইলিয়াসের নেতৃত্বে আমিনপুর বাজারে হাইস্কুলের গেটের সামনে ফোনে কথা বলার সময় মাহফুজুর রহমানকে বেধড়ক মারপিট করে হাত ভেঙে দেওয়া হয়। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় তাকে উদ্ধার করে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকম্প্লেক্সো ভর্তি করে। ঘটনার রেস কাটতে না কাটতেই শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে আবারো মাহফুজুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এসময় বারেক শেখের স্ত্রী মাবিয়া খাতুনকে মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়। এছাড়াও গোয়ালে থাকা একটি গরুও লুটতরাজ করা হয়।পরিবারের দাবি অনুযায়ী কিস্তির নগদ ৬০,০০০/টাকা ও বাড়ির দলিলপত্র জোরপূর্বকভাবে লুটপাট করে। একটি গরু লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৫০,০০০/-টাকা।এ ঘটনার পর থেকে পরিবারটি ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। মামলা না করতে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মামলা করলে দেশ ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়। পরিবারটি এখন বাড়িতে থাকতে পারছে না। সন্ত্রাসীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন পরিবারটি।ভুক্তভোগী মাহফুজুর রহমান বলেন, বাজার থেকে অতর্কিত হামলা করে আমার হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বাড়িতে হামলা করে সবকিছু নিয়ে গেছে। আমার মাকেও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। আমাদের এখন নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রাণে মেরে ফেলানোর কথা বলতেছে। নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। মামলা করার পর বাড়ির উপর এসে গালিগালাজ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন তিনি।এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফারুক শেখ ও ইলিয়াসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি। এজন্য বক্তব্য পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে আমিনপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
৩১ আগস্ট ২০২৫ ০৯:৪২ এএম
গাইবান্ধায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ দলটির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শহরের কাঠপট্টি এলাকায় জাতীয় পার্টির জেলা কার্যালয়ে এ ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ও শাটার ভেঙে ফেলেন।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে শহরে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রতিবাদ মিছিল করেন দলের নেতাকর্মীরা। পরে মিছিল নিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভকারীরা কাঠপট্টি এলাকায় জড়ো হন। এতে যোগ দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা।এসময় বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি শামছুজ্জামান সিদ্দিকী মামুন, সাধারণ সম্পাদক ছামিউল ইসলাম, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি রবিউল ইসলাম তুহিন, সাধারণ সম্পাদক মোনারুল ইসলাম মনা, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফিহাদুর রহমান দিবস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটির সাবেক আহ্বায়ক মাসুদ মিয়া, সদস্য সচিব বায়েজিদ বোস্তামী জিম প্রমুখ।সমাবেশ শেষে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তারা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে যেতে চাইলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান। এ সময় কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ও শাটার ভেঙে ফেলা হয়। পরে মিছিল নিয়ে সেখান থেকে সরে যান বিক্ষোভকারীরা।এ বিষয়ে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সরোয়ার হোসেন শাহীন বলেন, হঠাৎ পার্টি অফিসে হামলা চালানো হলো। গেটের তালা ও শাটার ভাঙচুর করা হয়েছে। যারা হামলা করেছে তাদের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে। এ হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি জানাই।গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভকারীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।এর আগে গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। জাপার কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃখলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।ভোরের আকাশ/জাআ
৩০ আগস্ট ২০২৫ ১০:০৭ পিএম
ভৈরবে মধ্য রাতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে রাত ১টার সময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে একই গ্রামের দুই পাড়ার মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মারামারির সময় অন্তত ১০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। লুটপাট শেষে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে একটি মার্কেট। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মোসাব্বির নামে এক যুবক বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে দক্ষিণপাড়ার এক ব্যক্তির মালিকানাধীন হোটেলের সামনে পৌঁছালে কেউ তার দিকে ইট ছুড়ে মারে। এ ঘটনায় হোটেল কর্মীদের সঙ্গে মোসাব্বিরের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির সৃষ্টি হয়। খবরটি দ্রুত দুই পাড়ায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে।রাত ১টার দিকে দক্ষিণপাড়ার কসাই হাটির লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উত্তরপাড়ার মনমরা এলাকায় হামলা চালায়। উত্তরের বাসিন্দারা প্রতিরোধ গড়তে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে কমপক্ষে ১০টি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।এ সময় দক্ষিণপাড়ার হামলাকারীরা মনমরা এলাকার একটি মার্কেটে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে একটি কাপড়ের দোকান, ডেকোরেটর, মুদি দোকান ও ঔষধের দোকানসহ অন্তত ১০টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিব বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে দুই পাড়ায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেভোরের আকাশ/তা.কা
২৫ আগস্ট ২০২৫ ১১:১৫ এএম
রংপুরে ফেসবুকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে হিন্দুপল্লীতে ভাঙচুর ও লুটপাট
ফেসবুকে মহানবীকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় রংপুরে হিন্দুপল্লীতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১২টি পরিবারের ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।রোববার (২৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নের আলদাতপুর ছয়আনি হিন্দু পল্লীতে এ ঘটনা ঘটে।ভয়ে-আতংঙ্কে সেখানকার প্রায় ৫০ পরিবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন গঙ্গাচড়া থানার ওসি আল এমরান। স্থানীয়রা জানায়, চারআনি গ্রামের সুজন চন্দ্রের ছেলে রঞ্জন রায় ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র তৈরী এবং অশালীন মন্তব্য লিখে ফেসবুকে একাধিকবার পোস্ট করে। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় নিজ বাসা থেকে রঞ্জনকে গ্রেফতার করে।রোববার বিকেল ৩টার দিকে নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের সিঙ্গের গাড়ি এলাকার বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সিঙ্গেরগাড়ি বাজারে এসে জমায়েত হয়। এরপর তারা রঞ্জন রায়ের ফাঁসি দাবীতে মিছিল নিয়ে খিলালগঞ্জ বাজার হয়ে ছয়আনি হিন্দু পল্লীতে আসে এবং ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।ছয়আনি গ্রামের বাসিন্দা অন্তরা রায় বলেন, পাঁচ থেকে ছয়শ মানুষ লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গ্রামে হামলাসহ লুটপাট করে। ভয়ে গ্রামের লোকজন পালিয়ে গেছে। আমাদের জীবনেরও নিরাপত্তা পাচ্ছি না। আমরা হামলা ও লুটপাটকারীদের গ্রেফতারসহ শাস্তি দাবী করছি। গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি আল এমরান বলেন, বিক্ষোভ মিছিল থেকে হুট করে আন্দোলনকারীরা গ্রামে ঢুকে হামলা চালায়। এতে আমাদের একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৮ জুলাই ২০২৫ ১০:১২ এএম
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনায় ৭২ জন গ্রেপ্তার: প্রেস সচিব
গাজায় দখলদার ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭২ জনতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার (০৯ এপ্রিল) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান তিনি।প্রেস সচিব জানান, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে সোমবার অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় সহিংসতা, দোকানে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। ফিলিস্তিনের গাজায় চালানো গণহত্যা ও ইসরায়েল পণ্য বয়কটের দাবিতে রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ চলার সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) সংগঠনটির পক্ষে মহাসচিব ইমরান হাসান এই দাবি জানান।বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সোমবার ফিলিস্তিনের গাজাবাসীদের গণহত্যা ও ইসরায়েল পণ্য বয়কটের দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ প্রদর্শনের নাম করে কতিপয় দুর্বৃত্ত এবং সন্ত্রাসীরা দেশের বহু রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর ও লুটপাটের মতো জঘন্যতম কর্মকাণ্ড ঘটায়। এর ফলে সেসব রেস্তোরাঁ মালিকদের ব্যাপক ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হয়।বিবৃতিতে বলা হয়, বলা বাহুল্য বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও গাজায় ইসরায়েল হামলার প্রতিবাদে গত সোমবার সারা দেশে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, বিক্ষোভের নাম করে কিছু দুর্বৃত্ত ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলার রেস্তোরাঁয় অতর্কিত হামলা চালায় ও ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করে সম্পদের ক্ষতি সাধন করে। এভাবে সন্ত্রাসীরা বিদেশি পণ্যের নাম করে দেশের রেস্তোরাঁগুলোতে যে সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছে তা মোটেও আমাদের কাম্য নয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ