ছবি : ভোরের আকাশ
ফেসবুকে মহানবীকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় রংপুরে হিন্দুপল্লীতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১২টি পরিবারের ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নের আলদাতপুর ছয়আনি হিন্দু পল্লীতে এ ঘটনা ঘটে।
ভয়ে-আতংঙ্কে সেখানকার প্রায় ৫০ পরিবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন গঙ্গাচড়া থানার ওসি আল এমরান।
স্থানীয়রা জানায়, চারআনি গ্রামের সুজন চন্দ্রের ছেলে রঞ্জন রায় ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র তৈরী এবং অশালীন মন্তব্য লিখে ফেসবুকে একাধিকবার পোস্ট করে। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় নিজ বাসা থেকে রঞ্জনকে গ্রেফতার করে।
রোববার বিকেল ৩টার দিকে নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের সিঙ্গের গাড়ি এলাকার বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সিঙ্গেরগাড়ি বাজারে এসে জমায়েত হয়। এরপর তারা রঞ্জন রায়ের ফাঁসি দাবীতে মিছিল নিয়ে খিলালগঞ্জ বাজার হয়ে ছয়আনি হিন্দু পল্লীতে আসে এবং ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ছয়আনি গ্রামের বাসিন্দা অন্তরা রায় বলেন, পাঁচ থেকে ছয়শ মানুষ লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গ্রামে হামলাসহ লুটপাট করে। ভয়ে গ্রামের লোকজন পালিয়ে গেছে। আমাদের জীবনেরও নিরাপত্তা পাচ্ছি না। আমরা হামলা ও লুটপাটকারীদের গ্রেফতারসহ শাস্তি দাবী করছি।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি আল এমরান বলেন, বিক্ষোভ মিছিল থেকে হুট করে আন্দোলনকারীরা গ্রামে ঢুকে হামলা চালায়। এতে আমাদের একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
খাগড়াছড়ি পৌর এলাকা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় জারি থাকা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন। আগামীকাল রোববার (৫ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে এসব এলাকায় আর কোনো বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে না।শনিবার (৪ অক্টোবর) রাত পৌনে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ অনুসারে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর জেলা সদরের সিঙ্গি নালায় এক কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে জুম্ম ছাত্র জনতার ডাকে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ চলাকালে পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কায় খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারায় ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। সহিংসতা ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।ভোরের আকাশ//হর
তারেক রহমানের ৩১দফা বাস্তবায়নের জন্য ধানের শীষে ভোট চেয়ে পিরোজপুরের তৃণমূল মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দীন খান।শনিবার (৪ অক্টোবর) পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ধানের শীষে ভোট চেয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আলাউদ্দিন। এ সময় তিনি নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি সহ একাধিক বাজারে গিয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সাথে সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং জনসাধারণের মাঝে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন । আলাউদ্দিন খান জানান, আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ৩১ দফা কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য শহর-গ্রাম—সকল এলাকায় পৌঁছাবো। বিএনপি যদি আমাকে “ধানের শীষ” প্রতীক নিয়ে পিরোজপুর-১ আসনের মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি জাতীয়তাবাদী আদর্শকে সামনে রেখে পিরোজপুর-১ কে একটি মডেল জেলা রূপে প্রতিষ্ঠা করব।এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো: নাদিম শেখ, সদস্য বেল্লাল ভূঁইয়া, কলাখালি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি চান সরদার প্রমুখ।এ সময় পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ও উপজেলা বিএনপির অনেক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গাজীপুর ও ভালুকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযানে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলিভর্তি একটি ম্যাগাজিন ও একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুরবজেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হাসমত উল্লাহ। ডিবি জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) গাজীপুরের জয়দেবপুর, শ্রীপুর ও ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে একযোগে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।আজ দুপুরে শ্রীপুর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী (মাটির মসজিদ সংলগ্ন) এলাকার মোশারফ হোসেন মনসুরের ছেলে ইমরান হোসেন (২২), গাজীপুর সদর উপজেলার ভাবানীপুর এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে আশিকুল ইসলাম (১৯),গাজীপুর মহানগরের লাগালিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান ইমন (২৩), শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের বজলুর রশিদের ছেলে শাহারিয়ার রহমান সাদাফ (২২) ও কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার মানিক মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হাসান রোমান (২২)।গাজীপুর জেলা ডিবির পরিদর্শক হাসমত উল্লাহ জানান, ২ অক্টোবর রাতে ভবানীপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে প্রথমে ইমরান, আশিকুল ও মেহেদীকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তাদের কাছে থাকা অস্ত্র ও গুলি শাহরিয়ার ও মোজাম্মেল নিয়ে গেছেন বিশেষ কাজে ব্যবহারের জন্য। এরপর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ময়মনসিংহের ভালুকায় অভিযান চালিয়ে ওই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।পরবর্তীতে শাহরিয়ার স্বীকার করে যে, অস্ত্র ও গুলি শ্রীপুরের কাওরাইদ বাজার এলাকার তার খালু আব্দুল খালেকের বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। ৩ অক্টোবর দুপুরে সেখানে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে ডিবি।তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের কাছে অস্ত্র ও গুলির কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে তিনটি এবং ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে।শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়নে দেশের সমুদ্র, নদী ও উপকূলীয় এলাকায় কঠোর নজরদারি শুরু করেছে নৌবাহিনী। ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী চলবে এ অভিযান। এ সময় সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। শনিবার (৪ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজগুলো সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৭টি যুদ্ধ জাহাজ ৯টি জেলায় নিয়োজিত রয়েছে। এ অভিযানের অংশ হিসেবে চাঁদপুর এলাকায় বানৌজা ধানসিঁড়ি বা শহীদ ফরিদ ও বিএনডিবি গাংচিল; কক্সবাজার এলাকায় বানৌজা অতন্দ্র, শহীদ মহিবুল্লাহ, দুর্জয়, সাগর ও শহীদ দৌলত; খুলনা এলাকায় বানৌজা মেঘনা, চিত্রা বা তিতাস; বাগেরহাট এলাকায় বানৌজা করতোয়া, আবু বকর বা দুর্গম; পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায় বানৌজা সালাম ও কুশিয়ারা; বরিশাল এলাকায় বানৌজা পদ্মা, চিত্রা বা তিতাস এবং পটুয়াখালী এলাকায় এলসিভিপি-০১৩ বিশেষভাবে টহল দিচ্ছে।এতে বলা হয়, গভীর সমুদ্রে দেশি-বিদেশি সব প্রকার সৎস্য শিকারীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ এবং অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফটের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ফ্লিটের জাহাজ, ক্রাফট এবং বোটগুলো ইলিশের প্রধান প্রজনন অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, ও মৎস্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে অবৈধ ইলিশ আহরণ ও বিদেশি মাছ ধরার ট্রলারের অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করবে। অভিযানকালে ইলিশ আহরণে নিয়োজিত অসাধু ব্যক্তি ও যান্ত্রিক মৎস্য নৌযানগুলোর ওপর কঠোর আইন প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।এতে আরও জানানো হয়, ইলিশ মাছের প্রজনন ক্ষেত্র সুরক্ষিত রাখা, অবাধ প্রজননের সুযোগ সৃষ্টি এবং জাতীয় অর্থনৈতিক সম্পদ হিসেবে মা ইলিশের সুষ্ঠু সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে নৌ সদস্যরা সর্বদা নিবেদিত। বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সমুদ্রসীমায় ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতীয় মাছ ইলিশের প্রাচুর্য বৃদ্ধি ও মৎস্য সম্পদের সমৃদ্ধিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ