ছবি: সংগৃহীত
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছিন্নদ্বারা জেলায় ‘কোল্ডরিফ’ নামে কফ সিরাপ খেয়ে ১৪ শিশু মারা গেছেন। গতকাল রোববার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, কোল্ডরিফ সিরাপে ডাইইথিলিন গ্লাইকলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত সীমার তুলনায় অনেক বেশি থাকার কারণে শিশুগুলোর মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার (৪ অক্টোবর) করা পরীক্ষার ফল অনুযায়ী, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে উৎপাদিত কোল্ডরিফ কফ সিরাপে ডাইইথিলিন গ্লাইকলের পরিমাণ অনুমোদিত সীমার অনেক বেশি ছিল। এর ফলে শিশুদের শরীরে ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দেয়।
ছিন্নদ্বারা জেলার পুলিশ সুপার অজয় পাণ্ডে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় পারাসিয়া থানা কর্তৃক ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১০৫, ২৭৬ এবং ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্টের ধারা ২৭এ অনুযায়ী তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
এছাড়া প্রভীন সোনি নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি কোল্ডরিফ সিরাপটি শিশুদের পান করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে, তামিলনাড়ুর ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান শ্রিসান ফার্মাসিউটিক্যালসকেও প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
শ্রিসান ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়্যারহাউস সিল করা হয়েছে। শিশুর মৃত্যু প্রকাশের পর রোববার থেকে অনেক ফার্মেসি বন্ধ হয়ে গেছে।
ছিন্নদ্বারা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ধীরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, শিশুদের মৃত্যুর পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারগুলোকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। একই সিরাপ খেয়ে চণ্ডীওয়াড়া জেলায় আরও ৮ শিশু অসুস্থ হয়েছেন। তারা বর্তমানে নাগপুরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের দেখভালের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এই দল প্রশাসন ও ভুক্তভোগীদের পরিবারের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বজায় রাখবে।
এদিকে, রাজনৈতিকভাবে সিরাপ খেয়ে শিশুদের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেস এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলেছে, যে ওষুধটি অন্য রাজ্যে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ, তা কীভাবে মধ্যপ্রদেশের ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে?
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, বাংলাদেশে জনগণের ভোটে যে সরকারই গঠিত হোক না কেন, সেই সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী নয়াদিল্লি।সোমবার (৬ অক্টোবর) নয়াদিল্লিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাবের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে যারাই নির্বাচিত হোক না কেন, তাদের সঙ্গেই কাজ করবে ভারত।বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনের আশা প্রকাশ করে বিক্রম মিশ্রি বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভারত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে সরকারই গঠিত হোক না কেন, আমরা তাকেই সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। সম্পর্ক ঠিক রাখতে উভয় পক্ষেরই প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য এড়িয়ে চলা উচিত। এখনও দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই প্রথম বিশ্বনেতা, যিনি তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এ সময় ভিসা বিধিনিষেধ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বিক্রম মিশ্রি বলেন, যদিও ভিসা কার্যক্রম এখন সীমিত, তবুও ঢাকা বিশ্বব্যাপী ভারতীয় ভিসার সবচেয়ে বড় উৎস। ভারত সবসময় দুই দেশের জনসাধারণের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ককে মূল্য দেয়।আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দেয় ভারত। আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতার উপর অত্যন্ত গুরুত্ব দিই। এই অঞ্চলে চরমপন্থার উত্থান রোধ করতে চাই আমরা। এক পর্যায়ে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ঢাকার অনুরোধের বিষয়েও প্রশ্ন করা হয় ভারতের পররাষ্ট্র সচিবকে। জবাবে বিষয়টিকে একটি আইনি সমস্যা বলে অভিহিত করেন তিনি এবং এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি এবং তিস্তা নদী প্রকল্প সম্পর্কে করা এক প্রশ্নের জবাবে বিক্রম মিশ্রি বলেন, পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে বিষয়গুলো সমাধানের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছিন্নদ্বারা জেলায় ‘কোল্ডরিফ’ নামে কফ সিরাপ খেয়ে ১৪ শিশু মারা গেছেন। গতকাল রোববার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।সোমবার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।খবরে বলা হয়, কোল্ডরিফ সিরাপে ডাইইথিলিন গ্লাইকলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত সীমার তুলনায় অনেক বেশি থাকার কারণে শিশুগুলোর মৃত্যু হয়েছে।ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার (৪ অক্টোবর) করা পরীক্ষার ফল অনুযায়ী, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে উৎপাদিত কোল্ডরিফ কফ সিরাপে ডাইইথিলিন গ্লাইকলের পরিমাণ অনুমোদিত সীমার অনেক বেশি ছিল। এর ফলে শিশুদের শরীরে ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দেয়।ছিন্নদ্বারা জেলার পুলিশ সুপার অজয় পাণ্ডে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় পারাসিয়া থানা কর্তৃক ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১০৫, ২৭৬ এবং ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্টের ধারা ২৭এ অনুযায়ী তদন্ত শুরু করা হয়েছে।এছাড়া প্রভীন সোনি নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি কোল্ডরিফ সিরাপটি শিশুদের পান করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে, তামিলনাড়ুর ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান শ্রিসান ফার্মাসিউটিক্যালসকেও প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।শ্রিসান ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়্যারহাউস সিল করা হয়েছে। শিশুর মৃত্যু প্রকাশের পর রোববার থেকে অনেক ফার্মেসি বন্ধ হয়ে গেছে।ছিন্নদ্বারা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ধীরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, শিশুদের মৃত্যুর পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারগুলোকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। একই সিরাপ খেয়ে চণ্ডীওয়াড়া জেলায় আরও ৮ শিশু অসুস্থ হয়েছেন। তারা বর্তমানে নাগপুরের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের দেখভালের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট ও চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এই দল প্রশাসন ও ভুক্তভোগীদের পরিবারের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বজায় রাখবে।এদিকে, রাজনৈতিকভাবে সিরাপ খেয়ে শিশুদের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কংগ্রেস এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলেছে, যে ওষুধটি অন্য রাজ্যে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ, তা কীভাবে মধ্যপ্রদেশের ফার্মেসিতে বিক্রি হচ্ছে?ভোরের আকাশ/মো.আ.
ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের একটি স্কুলভবন ধসে অন্তত ৫০ জন নিহত এবং শতাধিক আহতের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা ন্যাশনাল সার্চ অ্যানড রেসকিউ এজেন্সি (বাসারনাস)-এর বিবৃতিতে থেকে এ তথ্য জানা গেছে।রোববার (৫ অক্টোবর) বাসারনাসের অপারেশন বিভাগের পরিচালক ইউধি ব্রামান্তিও এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্যরা এ পর্যন্ত ৫০ জনকে মৃত এবং ১০৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছেন। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ আছে ১৮ জন।ব্রিফিংয়ে ব্রামান্তিও আরও জানিয়েছেন, ভবনটির ৬০ শতাংশ ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করে ফেলা হয়েছে। তবে স্কুলভবনের সঙ্গে সংলগ্ন আরেকটি ভবনও ধসে গেছে। ফলে স্কুলচত্বর ও তার সংলগ্ন এলাকায় ধ্বংসস্তূপে একাকার হয়ে গেছে এবং নিখোঁজদের বেশিরভাগই স্কুলভবন সংলগ্ন ভবনটির।ইন্দোনেশিয়ার অপর উদ্ধারকারী সংস্থা ন্যাশনাল এজেন্সি ফর ডিজাস্টার কাউন্টারমেজার্স (বিএনপিবি) এর ডিজাস্টার ডেটা ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন সেন্টারের প্রধান আবদুল মুহারি জানিয়েছেন, স্কুলভবন ধসের পর নিহত অবস্থায় ৪৫ এবং আহত অবস্থায় ১০৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৮৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, বাকি ১৫ জন এখনও চিকিৎসাধীন আছে।রোববার দুপুরের দিকে পূর্ব জাভা প্রদেশের সিদোয়ার্জো শহরের আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের ভবন ও তার সংলগ্ন একটি ভবন ধসে পড়ে। এটি একটি জুনিয়র স্কুল এবং ভবন ধসের সময় সেখানে কয়েক’শ ছেলে শিক্ষার্থী ছিল। এদের সবাই কিশোর বয়সী।স্কুলটির কয়েক জন শিক্ষক বলেছেন, শ্রেণীকক্ষের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য স্কুলটির ছাদে নির্মাণকাজ চলছিল, অর্থাৎ স্কুলটির উপরে নতুন তলা তৈরির কাজ চলছিল। কিন্তু তলা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ভিত্তি বা ফাউন্ডেশন যে স্কুলটির নেই— তা আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ।সূত্র : আনাদোলু এজেন্সিভোরের আকাশ/মো.আ.
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের কাছ থেকে ইউক্রেন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পেয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, খুব শিগগিরই নতুন দুটি প্যাট্রিয়ট সিস্টেমও ইউক্রেনে পৌঁছাবে।এর আগে এই বিষয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত জুনে জানিয়েছিল, ইউক্রেনে কোনো প্যাট্রিয়ট সিস্টেম পাঠানো হয়নি। তবে জেলেনস্কির দাবির ভিত্তিতে বলা হচ্ছে, এই ব্যবস্থা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হবে, বিশেষ করে আকাশ থেকে আক্রমণ প্রতিরোধে।ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।সূত্র: জেরুজালেম পোস্টভোরের আকাশ // হ.র