কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৫ ০৬:৩৩ পিএম
কুড়িগ্রাম হাসপাতালে মহিলা ওয়ার্ডে দূর্বৃত্তের হামলা, আহত ২
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভিতরে ঢুকে চিকিৎসাধীন দম্পতি রুমি বেগম (৩৮) ও আব্দুল করিম (৪২) এর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে । আহত দম্পতি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পাঁচগাছি ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা।
রোববার (১৫ জুন) ভোর রাতে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ৭ নং রুমের মহিলা ওয়ার্ডে দূর্বৃত্তরা হামলা চালায়।
এ ঘটনা কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগীর ভাই মোঃ আব্দুস সালাম। বর্তমানে আহত দম্পতি কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এদের কোন কাজ নেই, এরা তিনজনই ঢাকায় কিশোর গ্যাং এর সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেন।
এদিকে হাসপাতালের ভিতরে হামলার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শী মোছাঃ আকলিমা বেগম জানান, শনিবার ভোর রাতে সবাই যখন ঘুমে আছন্ন। অপরিচিত ৬-৭জন কিশোর, যুবক দলবেধে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রবেশ করেন। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় রুমি বেগমের উপর বেধড়ক মারপিট ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় রুমি বেগমের স্বামী মোঃ আব্দুল করিম বাঁধা দিতে গেলে দূর্বৃত্তরা চড়াও হয়ে লাটি সোটা কিল ঘুষি দিয়ে নগদ টাকা কেড়ে নিয়ে দ্রুত বের হয়ে যায়।
এমন অবস্থায় রুমের ভিতর আতঙ্কিত হওয়া অনান্য রোগীর ও স্বজনরা বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। যা সিসিটিভি ফুটেজে সংরক্ষিত আছে।
এর আগে, শনিবার বিকেলে পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে পাওনা ২ হাজার দুশো টাকা জেরে আঃ করিমের বাড়িতে ঢুকে রুমি বেগমকে শারীরিক নির্যাতনের ও কপালে চাকু দিয়ে আঘাত করেন তিন কিশোর সোহেল, ইব্রাহিম, জামিল। এতে রুমি বেগমের কপালে ৪টি সেলাই পড়ে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা তিনজনকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।
পরে দুপক্ষের সিদ্ধান্তে পুলিশের উপস্থিতিতে কিশোরদের অভিভাবকের জিম্মায় দেন পুলিশ প্রশাসন।ঘন্টা তিনেক পার না হতে ভোর রাতে হাসপাতালে আবারো হামলা চালায়। এ ঘটনায় আহত দম্পতির ছোট ভাই মোঃ আব্দুস সালাম কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
আহত রুমি বেগমের স্বামী মোঃ আব্দুল করিম জানান, আমার মেয়ে জামাইয়ের কাছে ২ হাজার ২ টাকা পান ভেলাকোপা সোহেলরা। গতকাল রবিবার টাকা দেয়ার কথা ছিল। এর দুদিন আগে সন্ধ্যায় ওই ছেলেগুলো বাড়ির ভিতরে ঢুকে অকথ্য গালিগালাজ ও চাকু দিয়ে আমার স্ত্রীর কপালে চাকু মারে। স্ত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে ওরা হাসপাতালের ভিতরে আমার ও আমার স্ত্রীর উপর হামলা করে।আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ড. মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন, এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। আইনগত ব্যবস্থা নিতে সকল প্রকার সহযোগিতা থাকবে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ জানান, এ ঘটনায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে, দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/জাআ