ছবি: সংগৃহীত
বর্ষা এলেই প্রকৃতির পরতে পরতে যে ফুলটি নীরবে জানান দেয় তার আগমন, সেটি হলো কদমফুল। বাংলাদেশের চারিত্রিক প্রকৃতির বর্ষা ঋতুকে স্বাগত জানানোর এক অনন্য প্রতীক হয়ে উঠেছে এই ফুল। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষাকালের প্রতিটি দিনে কদমফুল তার রঙ, ঘ্রাণ ও উপস্থিতিতে মাতিয়ে রাখে প্রকৃতিকে।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে রাস্তার পাশে কিংবা বাড়ির আনাচে-কানাচে উঁকি দিচ্ছে অসংখ্য কদমগাছ। তার শাখা-প্রশাখায় সাদা-হলুদের মিশেলে ফুটে উঠেছে মনকাড়া কদমফুল। সবুজ পাতার আড়ালে লুকানো এই ফুলগুলো দেখে থমকে যাচ্ছেন পথচারীরা। যেন একটুকরো কবিতার মতো প্রস্ফুটিত হয়েছে প্রকৃতির বুকে। শুধু সৌন্দর্যই নয়, গ্রামীণ জীবনে কদমফুল ছিল একসময় খেলার সরঞ্জাম। ছোটরা ফুলের ভেতরের গোল অংশ দিয়ে বল বানিয়ে খেলতো, কানে গুঁজে হাঁটতো মাঠে-ঘাটে। এখনও কিছু এলাকায় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা হাতে কদমফুল নিয়ে বিদ্যালয়ের পথে রওনা দিয়েছে। মেয়েরা খোঁপায় গুঁজছে কদমফুল, তরুণ-তরুণীরা প্রিয়জনকে দিচ্ছে প্রেমের বার্তা হিসেবে।
কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ভাদার্ত্তী দক্ষিণপাড়া গ্রামের প্রকৃতি প্রেমিক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম জানান, ‘ছোটবেলায় কদমফুল ছিল আমাদের খেলার অন্যতম অনুষঙ্গ। এখন সেই কদমগাছ আর দেখা যায় না। কদমফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয় না, এমনকি ব্যক্তিগত উদ্যোগও খুব কম দেখা যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই গাছ দ্রুত বড় হয় এবং কাঠ নরম হওয়ায় এটি জ্বালানি কাঠ হিসেবেও খুব উপযোগী। তাই ব্যক্তি ও সরকারি উদ্যোগে এর রোপণ বাড়ানো উচিত।’
বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের নেতারা জানান, বর্ষা মানেই কদমফুল। এই ফুল শুধু একটি ঋতুকে নয়, আমাদের শৈশব, স্মৃতি, প্রেম, প্রকৃতি এবং সম্ভাবনাকে একসঙ্গে ধারণ করে। কদমগাছের সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে কমে যাওয়ায় এ ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। সময় এসেছে এই গাছকে ভালোবাসার, রোপণের এবং নতুন প্রজন্মের কাছে এর মায়াময় গল্পগুলো পৌঁছে দেওয়ার।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, ‘কদমফুল শুভ্রতার প্রতীক। এটি বর্ষা মৌসুমে বাঙালির মনে ভিন্নধর্মী আবেগ সৃষ্টি করে। কবি-সাহিত্যিকদের লেখায় কদমফুলের উল্লেখ রয়েছে। এটি প্রকৃতির সঙ্গে আত্মিকভাবে যুক্ত।’ তিনি জানান, কদম গাছের কাঠও অনেকভাবে ব্যবহারযোগ্য।
জেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ বলেন, ‘ছোটবেলায় আমাদের খেলার অন্যতম অংশ ছিল কদমফুল। এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। তাই কদম গাছ সংরক্ষণ ও পুনঃরোপণের জন্য স্থানীয় কৃষি বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা আছে।’
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজরিত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।সোমবার দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলার রেশমবাড়িতে অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের স্থান পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন একটি যৌক্তিক দাবি। এ বিষয়ে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়টি ইতিমধ্যে একনেকে প্রস্তাব করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে কারও দ্বিমত নেই। অতিদ্রুতই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের আশা প্রকাশ করেন তিনি।এর আগে সকালে শাহজাদপুর উপজেলার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস-৩ তিনি উপস্থিত হন এবং অস্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শন শেষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করে।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সচিব ড. কাইয়ুম আরা বেগম, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস এম হাসান তালুকদার, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন প্রমুখ।ভোরের আকাশ/জাআ
বর্ষা এলেই প্রকৃতির পরতে পরতে যে ফুলটি নীরবে জানান দেয় তার আগমন, সেটি হলো কদমফুল। বাংলাদেশের চারিত্রিক প্রকৃতির বর্ষা ঋতুকে স্বাগত জানানোর এক অনন্য প্রতীক হয়ে উঠেছে এই ফুল। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষাকালের প্রতিটি দিনে কদমফুল তার রঙ, ঘ্রাণ ও উপস্থিতিতে মাতিয়ে রাখে প্রকৃতিকে।গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে রাস্তার পাশে কিংবা বাড়ির আনাচে-কানাচে উঁকি দিচ্ছে অসংখ্য কদমগাছ। তার শাখা-প্রশাখায় সাদা-হলুদের মিশেলে ফুটে উঠেছে মনকাড়া কদমফুল। সবুজ পাতার আড়ালে লুকানো এই ফুলগুলো দেখে থমকে যাচ্ছেন পথচারীরা। যেন একটুকরো কবিতার মতো প্রস্ফুটিত হয়েছে প্রকৃতির বুকে। শুধু সৌন্দর্যই নয়, গ্রামীণ জীবনে কদমফুল ছিল একসময় খেলার সরঞ্জাম। ছোটরা ফুলের ভেতরের গোল অংশ দিয়ে বল বানিয়ে খেলতো, কানে গুঁজে হাঁটতো মাঠে-ঘাটে। এখনও কিছু এলাকায় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা হাতে কদমফুল নিয়ে বিদ্যালয়ের পথে রওনা দিয়েছে। মেয়েরা খোঁপায় গুঁজছে কদমফুল, তরুণ-তরুণীরা প্রিয়জনকে দিচ্ছে প্রেমের বার্তা হিসেবে।কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ভাদার্ত্তী দক্ষিণপাড়া গ্রামের প্রকৃতি প্রেমিক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম জানান, ‘ছোটবেলায় কদমফুল ছিল আমাদের খেলার অন্যতম অনুষঙ্গ। এখন সেই কদমগাছ আর দেখা যায় না। কদমফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয় না, এমনকি ব্যক্তিগত উদ্যোগও খুব কম দেখা যায়।’তিনি আরো বলেন, ‘এই গাছ দ্রুত বড় হয় এবং কাঠ নরম হওয়ায় এটি জ্বালানি কাঠ হিসেবেও খুব উপযোগী। তাই ব্যক্তি ও সরকারি উদ্যোগে এর রোপণ বাড়ানো উচিত।’বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের নেতারা জানান, বর্ষা মানেই কদমফুল। এই ফুল শুধু একটি ঋতুকে নয়, আমাদের শৈশব, স্মৃতি, প্রেম, প্রকৃতি এবং সম্ভাবনাকে একসঙ্গে ধারণ করে। কদমগাছের সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে কমে যাওয়ায় এ ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। সময় এসেছে এই গাছকে ভালোবাসার, রোপণের এবং নতুন প্রজন্মের কাছে এর মায়াময় গল্পগুলো পৌঁছে দেওয়ার।উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, ‘কদমফুল শুভ্রতার প্রতীক। এটি বর্ষা মৌসুমে বাঙালির মনে ভিন্নধর্মী আবেগ সৃষ্টি করে। কবি-সাহিত্যিকদের লেখায় কদমফুলের উল্লেখ রয়েছে। এটি প্রকৃতির সঙ্গে আত্মিকভাবে যুক্ত।’ তিনি জানান, কদম গাছের কাঠও অনেকভাবে ব্যবহারযোগ্য।জেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ বলেন, ‘ছোটবেলায় আমাদের খেলার অন্যতম অংশ ছিল কদমফুল। এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। তাই কদম গাছ সংরক্ষণ ও পুনঃরোপণের জন্য স্থানীয় কৃষি বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা আছে।’ভোরের আকাশ/এসএইচ
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভিতরে ঢুকে চিকিৎসাধীন দম্পতি রুমি বেগম (৩৮) ও আব্দুল করিম (৪২) এর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে । আহত দম্পতি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পাঁচগাছি ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা।রোববার (১৫ জুন) ভোর রাতে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ৭ নং রুমের মহিলা ওয়ার্ডে দূর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এ ঘটনা কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগীর ভাই মোঃ আব্দুস সালাম। বর্তমানে আহত দম্পতি কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।স্থানীয়রা জানান, এদের কোন কাজ নেই, এরা তিনজনই ঢাকায় কিশোর গ্যাং এর সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেন।এদিকে হাসপাতালের ভিতরে হামলার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।প্রত্যক্ষদর্শী মোছাঃ আকলিমা বেগম জানান, শনিবার ভোর রাতে সবাই যখন ঘুমে আছন্ন। অপরিচিত ৬-৭জন কিশোর, যুবক দলবেধে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে প্রবেশ করেন। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় রুমি বেগমের উপর বেধড়ক মারপিট ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় রুমি বেগমের স্বামী মোঃ আব্দুল করিম বাঁধা দিতে গেলে দূর্বৃত্তরা চড়াও হয়ে লাটি সোটা কিল ঘুষি দিয়ে নগদ টাকা কেড়ে নিয়ে দ্রুত বের হয়ে যায়।এমন অবস্থায় রুমের ভিতর আতঙ্কিত হওয়া অনান্য রোগীর ও স্বজনরা বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। যা সিসিটিভি ফুটেজে সংরক্ষিত আছে।এর আগে, শনিবার বিকেলে পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে পাওনা ২ হাজার দুশো টাকা জেরে আঃ করিমের বাড়িতে ঢুকে রুমি বেগমকে শারীরিক নির্যাতনের ও কপালে চাকু দিয়ে আঘাত করেন তিন কিশোর সোহেল, ইব্রাহিম, জামিল। এতে রুমি বেগমের কপালে ৪টি সেলাই পড়ে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা তিনজনকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।পরে দুপক্ষের সিদ্ধান্তে পুলিশের উপস্থিতিতে কিশোরদের অভিভাবকের জিম্মায় দেন পুলিশ প্রশাসন।ঘন্টা তিনেক পার না হতে ভোর রাতে হাসপাতালে আবারো হামলা চালায়। এ ঘটনায় আহত দম্পতির ছোট ভাই মোঃ আব্দুস সালাম কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।আহত রুমি বেগমের স্বামী মোঃ আব্দুল করিম জানান, আমার মেয়ে জামাইয়ের কাছে ২ হাজার ২ টাকা পান ভেলাকোপা সোহেলরা। গতকাল রবিবার টাকা দেয়ার কথা ছিল। এর দুদিন আগে সন্ধ্যায় ওই ছেলেগুলো বাড়ির ভিতরে ঢুকে অকথ্য গালিগালাজ ও চাকু দিয়ে আমার স্ত্রীর কপালে চাকু মারে। স্ত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে ওরা হাসপাতালের ভিতরে আমার ও আমার স্ত্রীর উপর হামলা করে।আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ড. মোঃ শহিদুল্লাহ বলেন, এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। আইনগত ব্যবস্থা নিতে সকল প্রকার সহযোগিতা থাকবে বলে জানান তিনি।কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ জানান, এ ঘটনায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে, দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ
প্রায় আড়াই ফুট গভীর একটি গর্তে শিশু সন্তান গোপালকে ঢুকিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। শিশুটির মাথা ও হাত দুটি যাতে বাইরে থাকে এমন করে গর্তটি করা হয়েছে। ক্ষুধার সময় প্রচণ্ড কান্নাকাটি করলে মা শিশুটিকে গর্তে ঢুকিয়ে খাওয়ান। দিনের বেশিরভাগ সময় কান্না করলে তাকে ওই গর্তের ভেতরে রেখে বিভিন্ন বিনোদন দেখিয়ে কান্না থামানোর চেষ্টা করেন মা। এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে।জানা গেছে, চা শ্রমিক দম্পতির একমাত্র সন্তান গোপাল সাঁওতাল। শিশুটির বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর। জন্ম থেকে সে শারীরিক প্রতিবন্ধী। শিশুটি স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে বা বসতে পারে না। বসিয়ে রাখলে সে ভাঁজ হয়ে পড়ে থাকে। তাই খাওয়ানো ও অন্যান্য পরিচর্যার জন্য মা সনচড়িয়া সাঁওতাল প্রায় ৬ মাস আগে ঘরের মেঝেতে ছোট একটা গোলাকার গর্ত করেছেন। আর এ কাজে সহযোগিতা করেন গোপালের দাদি কল্পনা সাঁওতাল। মা ঘরের কাজ সামলানোর পাশাপাশি সারাক্ষণ ছেলেকে দেখে রাখেন। বাবা অনিল সাঁওতাল মুরইছড়া চা বাগানে ১৭০ টাকা মজুরিতে কাজ করেন। সম্প্রতি কুলাউড়ার অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিক সঞ্জয় দেবনাথ ব্যক্তিগত ফেসবুকে এই সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দেন। এরই সূত্র ধরে রোববার বিকেলে মুরইছড়া চা বাগানের স্কুল টিলা এলাকায় যান ভোরের আকাশ প্রতিবেদক।সরেজমিনে গিয়ে তিনি দেখেন, রোদ, ঝড় কিংবা বৃষ্টি মাড়িয়ে একটি জীর্ণশীর্ণ ঘরের ভেতর তাদের বসবাস। ঘরের বাহিরে একমাত্র সম্বল কয়েকটি গবাদিপশু রয়েছে। কখনো খেয়ে, কখনো না খেয়ে প্রতিবন্ধী শিশু গোপালকে নিয়ে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।আলাপকালে শিশু সন্তান গোপাল সাঁওতালের মা সনচড়িয়া সাঁওতাল জানান, জন্ম থেকেই তার সন্তান শারীরিক, বুদ্ধি, বাক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। চিকিৎসকরা বলেছেন শিশুটিকে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি দিতে হবে। কিন্তু নিয়মিত নেওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই তাদের। ছেলেটির কান্না আর কষ্ট আমি কী করে সহ্য করি। তাই বাচ্চাকে শান্ত রাখার জন্য আড়াই ফুট গভীর এই গর্তটি করেছি। সেখানে ঢুকালে ছেলেটি একটু দাঁড়াতে পারে।কুলাউড়ার অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিক সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, নুন আনতে পান্তা ফুরানোর পরিবারে প্রতিবন্ধী ছোট্ট শিশুটি বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকবে সেটা কারও কাম্য হতে পারে না। তার চিকিৎসার জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায় ছাড়াও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।স্থানীয় কর্মধা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিলভেস্টার পাটাং বলেন, শিক্ষকের মাধ্যমে জেনে ওই পরিবারের খোঁজ নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত সরকারিভাবে প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়া যাবে।উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রানেশ চন্দ্র বর্মা ভোরের আকাশকে বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি, শিশুর প্রতিবন্ধী ভাতার কাজ প্রক্রিয়াধীন এবং এ মাসেই ভাতার টাকা পাবে। রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সাহায্য করা হবে। প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র মৌলভীবাজার থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও উপকরণ সরবরাহ করা হবে।কুলাউড়ার ইউএনও মো. মহিউদ্দিন ভোরের আকাশকে বলেন, বিষয়টি খুবই মানবিক। প্রতিবন্ধী শিশু গোপাল সাঁওতালের খোঁজ নিয়ে সমাজসেবা অফিসারের সঙ্গে কথা বলে সরকারের পক্ষ থেকে ভাতার ব্যবস্থা করব।ভোরের আকাশ/এসএইচ