বিএনপির কথা না শুনলে ইউএনওগিরি ও ওসিগিরি ছেড়ে চলে যেতে হবে: ইদ্রিস মিয়া
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ হলে প্রশাসন বাধ্য হবে বিএনপির কথা শুনতে। হয় বিএনপির কথা শুনবে, না হয় এখান থেকে ইউএনওগিরি ও ওসিগিরি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে৷ তাদেরকে আর সুযোগ দেওয়া যাবে না। অনেক সুযোগ দিয়েছি, এখন আর সুযোগ দেওয়ার সময় নাই। এখন আমাদের দাবি আদায় করে নিতে হবে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়ার বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়। বক্তব্যটি ভাইরাল হওয়ার পরপরই এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে, বুধবার (১১ জুন) বিকাল ৩ টায় সাতকানিয়া পৌরসভাস্থ এরাবিয়ান কনভেনশন হলে সাতকানিয়া উপজেলা, পৌরসভা ও উত্তর সাতকানিয়ার সাংগঠনিক ইউনিট বিএনপির উদ্যোগে ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জামাল হোসেনের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অপর একটি বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমি আমার উপজেলায় আমার ক্ষমতাবলে যত রকমের সরকারি বরাদ্দ আছে তার ৮০ ভাগ নিয়ে নিছি। আমি বলেছি আমারটা আগে দেন, পরে অন্য ব্যবস্থা করেন। আগামী জুলাই থেকে এ ধরনের উন্নয়নমূলক বরাদ্দগুলো আবার চালু হবে। সেগুলো আপনাদেরকে আদায় করে নিতে হবে। যদি আদায় করে নিতে না পারেন জামায়াত-শিবির যদি এগুলো হস্তক্ষেপ করে নিয়ে নেয়, তাহলে আমরা ভোটের মার্কেটে গিয়ে জনগণের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হব। এটা আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গোলাম রসূল মোস্তাকের সঞ্চালনায় এ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন ও বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির একাধিক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্যবৃন্দ।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হওয়া স্কুলছাত্রী নাফিজা জান্নাত আনজুম (১৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন এই তথ্য জানান।এ ঘটনায় ভিকটিমের প্রতিবেশী মো. জুনেল মিয়াকে (৩৯) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ড সংশ্লিষ্ট আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে।তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ৭টার দিকে পাশের সিংগুর গ্রামে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় আনজুম। পরদিন পরিবারের পক্ষ থেকে কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।এরপর শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে বাড়ির পাশে ছড়ার ধারে দুর্গন্ধ পেয়ে ভিকটিমের ভাই ও মামা খোঁজ করতে গিয়ে ঝোপের মধ্যে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন।’পুলিশ জানায়, তদন্তে নামে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. আজমল হোসেন, ওসি গোলাম আপছারসহ একটি বিশেষ তদন্ত দল।অভিযান চালিয়ে ভিকটিমের স্কুল ব্যাগ, বই, একটি জুতা এবং পরিহিত বোরকা উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ ও আলামতের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে প্রতিবেশী জুনেল মিয়াকে আটক করা হয়।পুলিশ সুপার বলেন, ‘তার মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফি দেখার ইতিহাসসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে তাকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাত ১২টার দিকে সে হত্যার দায় স্বীকার করে।’জিজ্ঞাসাবাদে জুনেল মিয়া জানায়, আনজুম প্রায়ই তার বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে স্কুল ও প্রাইভেট পড়তে যেত। সেই সুবাদে সে মেয়েটির প্রতি কুপ্রবৃত্তি পোষণ করত। ঘটনার দিন সকালে প্রাইভেট শেষে ফেরার পথে আনজুমকে একা পেয়ে কথার ছলে তার পিছু নেয়। একপর্যায়ে জোরপূর্বক ঝাপটে ধরলে আনজুম চিৎকার করে। তখনই ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে সে গলায় চাপ দিয়ে মেয়েটিকে অচেতন করে ফেলে।এরপর মৃতপ্রায় অবস্থায় মেয়েটিকে স্থানীয় কিরিম শাহ মাজার সংলগ্ন ছড়ার পাশের ঝোপে ফেলে দেয়। হত্যার আলামত লুকাতে ব্যাগ, জুতা ও বোরকা ঘটনাস্থলের আশপাশে ফেলে রাখে।পুলিশ জানায়, আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী স্থানীয়দের উপস্থিতিতে রোববার রাতে মেয়েটির বোরকা উদ্ধার করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা, কুলাউড়া থানার ওসি গোলাম আপছার, তদন্ত কর্মকর্তা সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য প্রমুখ।এ ঘটনায় কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শেষে দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
যশোর সীমান্তে বিজিবি অভিযান চালিয়ে বারো লাখ চৌদ্দ হাজার ছয়শ’ টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন প্রকারের পণ্য সামগ্রী আটক হয়েছে।গত রোববার বিজিবির যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এর টহলদল কর্তৃক আন্দুলিয়া, পাঁচপীরতলা, বেনাপোল বিওপি এবং বেনাপোল আইসিপি ও আমড়াখালী চেকপোষ্টের সীমান্ত এলাকায় মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিদেশি মদ, ভারতীয় ফেন্সিডিল, শাড়ি, থ্রি- পিস, পোশাক সামগ্রী এবং কসমেটিক্স সামগ্রী আটক করে।এ ব্যাপারটি ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেলে সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সীমান্তে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম সব সময়ই অব্যাহত থাকবে।ভোরের আকাশ/জাআ
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় সেনাবাহিনী ও র্যাব অফিসার পরিচয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবিকালে দুই প্রতারককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।রোববার বিকালে সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর শরীফপাড়া গ্রামের তোফেল শরীফের ছেলে হাবিবুর রহমান (৪২) ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার জোয়ারিয়া গ্রামের সুভাষ ঢালীর ছেলে শ্রীবাস ঢালী (৩২)।গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহম্মেদ আলী বিশ্বাস ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে জানান, সুকতাইল ইউনিয়নের চরতালা গ্রামের সোনা মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে সেনাবাহিনী ও র্যাব অফিসার পরিচয়ে দিয়ে একটি ইজিবাইকে করে চন্দ্রদিঘলীয়া গ্রামে নিয়ে যায় হাবিবুর রহমান ও শ্রীবাস ঢালী।পরে সোনা মিয়ার ফোন দিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে হুমকি দেয়। বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা ওই প্রতারকদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় স্থানীয়রা একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তাদের গণধোলাই প্রদান করে। পরবর্তীতে পুলিশে খবর দিলে গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির থেকে একটি দল এসে তাদের গ্রেপ্তার করে ফাড়িতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী সোনামিয়া বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্ত্রী কর্তৃক পাঠানো ডিভোর্স লেটার পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আজিজুল হক রবিন (৩২) নামের এক যুবক।রোববার পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। রবিন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের জগমোহনপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।গত রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আট বছর আগে আজিজুল হক রবিন পাশ্ববর্তী সদর দক্ষিণ উপজেলার তালপট্টি গ্রামের নাছিমা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে জান্নাত আক্তার নামে ছয় বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই ‘পরকীয়া’ সন্দেহে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো। এই দ্বন্দ্বের জেরে ছয় মাস আগে নাছিমা আক্তার সন্তানকে স্বামীর ঘরে রেখে বাবার বাড়িতে চলে যান। পরবর্তীতে অনেকবার পারিবারিকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেও তাকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হন রবিন।দুই মাস আগে নাছিমা আক্তার স্বামীর ঠিকানায় একটি ডিভোর্স লেটার পাঠান। তবে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি রবিনের কাছ থেকে গোপন রাখেন। ঈদের ছুটি শেষে চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরিচয়পত্র খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ করে ডিভোর্স লেটারটি দেখতে পান। এরপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি এবং শনিবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন।গত রোববার সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।নিহতের ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম শাওন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ভাই ও ভাবির মধ্যে ঝগড়া চলছিল। এরই মধ্যে ভাবি বাবার বাড়িতে চলে যান এবং পরে ডিভোর্স লেটার পাঠান। আমরা বিষয়টি গোপন রেখেছিলাম। তবে রবিন হঠাৎ চিঠিটি দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। সর্বশেষ রোববার সকালে গাছে তার লাশ ঝুলতে দেখা যায়।’চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক উদ্দিন আকাশ বলেন, ‘আজিজুল হক রবিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’ভোরের আকাশ/জাআ