ফাইল ছবি
গ্রীষ্মকালীন ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো লিচু। তবে এ সময় লিচুর বিচি গলায় আটকে অনেক দুর্ঘটনার শিকার হয় শিশুরা। কিন্তু অনেকেই জানে না গলায় লিচুর বিচি আটকে গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
লিচুর বিচি গলায় আটকে গেলে যা করা দরকার-
যা দেখে বুঝবেন জরুরি অবস্থা
১. মুখ নীলচে হয়ে যাওয়া
২. কাশি দিতে পারেছেন না
৩. কথা বলতে পারছেন না
৪. শ্বাস নিতে পারছেন না
এ ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে হেইমলিচ ম্যানুভার প্রয়োগ করুন (প্রশিক্ষিত কেউ থাকলে), অথবা দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে যান। আংশিকভাবে আটকে গেলে (শ্বাস নিতে পারছেন, কাশি দিতে পারছেন)।
যা করা উচিত নয়—
১. আঙুল ঢুকিয়ে গলা খোঁচাবেন না, এতে বীজ আরও নিচে চলে যেতে পারে।
২. শক্ত কিছু গিলে ফেলবেন না, সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে গলায় কিছু আটকে গেলে তা জীবনঘাতী হতে পারে, তাই দেরি না করে চিকিৎসা সহায়তা নিন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
গরমের দিনে রোদের তীব্রতা যেমন বাড়ে, তেমনি বাড়ে হাত-পায়ের ত্বকে কালচে দাগ পড়ার সম্ভাবনাও। অতিরিক্ত সূর্যের আলো, ধুলাবালি এবং মৃত ত্বকের স্তরের কারণে হাত-পা হয়ে পড়ে বিবর্ণ ও রুক্ষ। সময়মতো যত্ন না নিলে এটি স্থায়ী দাগে পরিণত হতে পারে। তবে চিন্তার কিছু নেই। ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ডি-ট্যান বডি ওয়াশ।উপাদান যা লাগবেএই ঘরোয়া বডি ওয়াশ তৈরি করতে প্রয়োজন হবে—কফিমধুচিনির গুঁড়াভাজা হলুদের গুঁড়ানারকেল তেলরাসায়নিকমুক্ত বডি ওয়াশ (ইচ্ছামতো)কীভাবে তৈরি করবেনপ্রথমে একটি খালি প্যানে অল্প গরম করে তাতে হলুদের গুঁড়া দিন। ভালোভাবে ভাজুন যতক্ষণ না হলুদের রং হালকা বাদামি হয়ে আসে। এরপর তা একটি প্লেটে ঠান্ডা হতে দিন।এবার একটি পরিষ্কার পাত্রে কফি, মধু, চিনির গুঁড়া, ভাজা হলুদের গুঁড়া এবং নারকেল তেল একসঙ্গে নিন। উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। যদি চিনির গুঁড়া আলাদা করে না থাকে, তবে ঘরের চিনি ব্লেন্ড করে গুঁড়া করে নিতে পারেন। এরপর মিশ্রণে যোগ করুন রাসায়নিকমুক্ত বডি ওয়াশ। সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে একটি এয়ারটাইট কন্টেইনারে সংরক্ষণ করুন।ব্যবহারের নিয়মপ্রতিদিন গোসলের সময় এই বডি ওয়াশ ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক থেকে ট্যানিং দূর হবে, ত্বক হবে মসৃণ ও উজ্জ্বল।সতর্কতাএই প্রাকৃতিক বডি ওয়াশ ব্যবহারের আগে অবশ্যই হাত বা পায়ের একটি ছোট অংশে প্যাচ টেস্ট করুন। যদি কোনো অ্যালার্জি বা লালচে ভাব, চুলকানি দেখা দেয়, তাহলে ব্যবহার না করাই ভালো।পরামর্শবাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার এবং হাত-পা ঢেকে রাখা ট্যানিং প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। পাশাপাশি ত্বকের যত্নে নিয়মিত পানিও পান করুন।আপনার হাত-পায়ের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এখন আর পার্লারে যাওয়ার দরকার নেই, ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন কার্যকর বডি ওয়াশ!ভোরের আকাশ//হ.র
বিয়ে মানেই সবকিছু সহজভাবে চলবে— এমনটা ভাবা ভুল। জীবনের অন্যান্য সম্পর্কের মতো বৈবাহিক জীবনেও ওঠানামা, দূরত্ব বা মানসিক চাপ আসতেই পারে। কাজের ব্যস্ততা, সংসারের দায়িত্ব কিংবা সন্তানের দেখভাল— সব মিলিয়ে অনেক সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। তবে এই ব্যবধান অতিক্রম করা অসম্ভব নয়। উভয়ের সচেতন প্রচেষ্টাতেই সম্পর্ক আবার নতুন করে প্রাণ ফিরে পেতে পারে।বিয়ের কয়েক বছর পর অনেকেই মনে করেন, আগের মতো টান কিংবা আবেগ আর নেই। কিন্তু এমনটা একদিনে হয় না— ধীরে ধীরে ভালোবাসার প্রকাশ কমে যায়। একইভাবে আবার নতুন করে ভালোবাসা জাগিয়ে তুলতেও সময় দিতে হবে। ধৈর্য ধরে একসঙ্গে কাজ করলেই সম্পর্কে আবার উষ্ণতা ফিরতে পারে।একসঙ্গে সময় কাটানদাম্পত্যে ভালোবাসা জাগিয়ে তোলার জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো একান্তে সময় কাটানো। সপ্তাহে অন্তত একটি দিন শুধু দু’জনের জন্য বরাদ্দ রাখুন— যেখানে সন্তান, পরিবার বা কাজের চাপের স্থান নেই। এটা হতে পারে একটি নিরিবিলি রাতের খাবার, কাছাকাছি কোথাও হালকা ঘোরাঘুরি বা বাসায় সিনেমা দেখা। এমন সময়গুলোতে পরস্পরের প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং বন্ধনটাকে আরও গভীর করা সম্ভব।খোলামেলা কথা বলুনপরস্পরের সঙ্গে খোলামেলা কথোপকথনের বিকল্প নেই। ভালোবাসার টান কমে আসার অন্যতম কারণ হলো অনুভূতি প্রকাশের অভাব। নিজের আবেগ, চাহিদা বা উদ্বেগগুলো সঙ্গীর সঙ্গে ভাগ করে নিন। তবে খেয়াল রাখুন, কথাগুলো বলার জন্য পরিবেশ এবং সময় যেন উপযুক্ত হয়। পাশাপাশি সঙ্গীর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, তার দৃষ্টিভঙ্গিকেও মূল্য দেওয়া— সম্পর্ককে মজবুত করে।মমতা দেখান প্রতিদিনভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে প্রতিদিন ছোট ছোট ভালোবাসার প্রকাশ খুব জরুরি। একটি হাসি, স্পর্শ, আলিঙ্গন কিংবা প্রশংসার একটি বাক্য— এসবই সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। “ভালোবাসি” কথাটি বারবার বলার মধ্যে এক ধরনের মানসিক সংযোগ তৈরি হয়। এসব ছোট অভ্যাসই একদিন বড় ভালোবাসায় রূপ নেয়।দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসা ধরে রাখতে বয়স বা সময় কোনো বাধা নয়, দরকার শুধু আন্তরিকতা, সম্মান আর প্রতিদিনের যত্ন। ভোরের আকাশ/হ.র
গরুর ভুঁড়ি বা বট ভুনা অনেকের কাছেই অত্যন্ত প্রিয় খাবার, বিশেষ করে মুসলিম সমাজে এর জনপ্রিয়তা আলাদা। শুধুই স্বাদেই নয়, এই খাবারে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টিগুণও। তবে অতিরিক্ত খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক না হলে হতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি।বিশেষজ্ঞদের মতে, গরুর ভুঁড়ি ভিটামিন বি-১২-এ ভরপুর, যা শরীরে রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সহায়ক। এটি লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করে।এছাড়াও এতে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, জিঙ্কসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও ভিটামিন। এসব উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও সামগ্রিক সুস্থতায় ভূমিকা রাখে।তবে পুষ্টির পাশাপাশি এর কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। গরুর ভুঁড়িতে তুলনামূলকভাবে উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকতে পারে। তিন আউন্স পরিবেশনে এতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ হতে পারে প্রায় ১০৮ মিলিগ্রাম পর্যন্ত। ফলে উচ্চ কোলেস্টেরল বা হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিমিত পরিমাণে গরুর ভুঁড়ি খাওয়া দেহের পুষ্টির চাহিদা পূরণে সহায়ক হলেও অতিরিক্ত খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই যাদের উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই খাবার গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।ভোরের আকাশ।।হ.র
গ্রীষ্মকালীন ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো লিচু। তবে এ সময় লিচুর বিচি গলায় আটকে অনেক দুর্ঘটনার শিকার হয় শিশুরা। কিন্তু অনেকেই জানে না গলায় লিচুর বিচি আটকে গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। লিচুর বিচি গলায় আটকে গেলে যা করা দরকার-যা দেখে বুঝবেন জরুরি অবস্থা১. মুখ নীলচে হয়ে যাওয়া২. কাশি দিতে পারেছেন না৩. কথা বলতে পারছেন না৪. শ্বাস নিতে পারছেন নাএ ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে হেইমলিচ ম্যানুভার প্রয়োগ করুন (প্রশিক্ষিত কেউ থাকলে), অথবা দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে যান। আংশিকভাবে আটকে গেলে (শ্বাস নিতে পারছেন, কাশি দিতে পারছেন)।যা করা উচিত নয়—১. আঙুল ঢুকিয়ে গলা খোঁচাবেন না, এতে বীজ আরও নিচে চলে যেতে পারে।২. শক্ত কিছু গিলে ফেলবেন না, সমস্যা আরও বাড়তে পারে।শিশুদের ক্ষেত্রে গলায় কিছু আটকে গেলে তা জীবনঘাতী হতে পারে, তাই দেরি না করে চিকিৎসা সহায়তা নিন।ভোরের আকাশ/এসএইচ