সংগৃহীত ছবি
নতুন লোগো প্রকাশ করে আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে প্রকাশের পরদিনই দলীয় ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে লোগোটি সরিয়ে নেওয়ার পর ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা কার্যালয়ে দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের প্রতিনিধিদলের বৈঠকের ছবি প্রকাশ করে জামায়াত।
সে ছবিতে নতুন লোগো দেখা যায়। সেখানে সবুজ রঙের পটভূমিতে খোলা গ্রন্থের ওপর উদীয়মান সূর্য আর সূর্যের ওপরে একটি কলম ব্যবহার করা হয়েছে, যা দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লার দণ্ড হিসেবে প্রতীকায়িত। গ্রন্থের দুই প্রান্ত থেকে অর্ধবৃত্ত বিস্তৃত হয়ে আছে। এর নিচে সোনালি অক্ষরে লেখা ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’। আর আরবি ও ইংরেজিতেও দলটির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন এই লোগো প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জামায়াত আমিরের বসুন্ধরা কার্যালয়ে ভুটানের রাষ্ট্রদূত মিস দাশো কারমা হামু দর্জির সঙ্গে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের সৌজন্য সাক্ষাতে সেই লোগো আর দেখা যায়নি।ওই বৈঠকেরও একাধিক ছবি দলটির পেজে পোস্ট করা হয়েছে। তবে আজকের ছবিতে জামায়াত ইসলামির নতুন লোগো দেখা যায়নি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ, সহিংসতা ও হতাততের ঘটনায় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।পোস্টে জামায়াত আমির লেখেন, খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছেন এবং একজন মেজরসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও ১৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি লেখেন, এগুলো কীসের লক্ষণ? হঠাৎ করে পাহাড়ে এমন অস্থিরতার নেপথ্যে কারা আছে? অবিলম্বে উপযুক্ত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের পেছনে কোনো ক্রীড়নক থাকলে তাকেও খুঁজে বের করতে হবে।তিনি আরও লেখেন, খাগড়াছড়ি অখণ্ড বাংলাদেশেরই অংশ। জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের অনস্বীকার্য দায়িত্ব। এ বিষয়ে যথাযথ দৃষ্টি দেওয়া এখন অত্যন্ত প্রয়োজন।প্রসঙ্গত, রোববার রাতে গুইমারা উপজেলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পার্বত্য চট্টগ্রামে আবার পুরনো খেলা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সেখানে ভারতীয় পতাকা উঠতো বহু বছর আগে থেকেই। কেবলমাত্র শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেখানে বাঙালিদেরকে পাহাড়ি এলাকায় পুনর্বাসিত করার পরে জনসংখ্যার মধ্যে একটা ব্যালেন্স এসেছে, যার ফলে এখন আর তারা ভারতের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারছে না।সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের উদ্যোগে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিকল্প নাই’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। তিনি বাংলাদেশের অখণ্ডতাকে রক্ষা করেছেন। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সবসময় পতাকাকে উড়িয়ে রেখেছেন।নির্বাচন নিয়ে হাফিজ বলেন, যারা বলছে যে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না, আমরা তাদেরকে বলতে চাই, বিএনপি কোনো দুর্বল দল নয়। কারা নির্বাচন হতে দেবে না, ইনশাল্লাহ আমরা রাজপথে দেখতে চাই। ১৭ বছরের আত্মত্যাগ তো ব্যর্থ হতে পারে না। আজকে আমরা বাংলাদেশের সরকার, অন্যান্য রাজনৈতিক দল, যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, আওয়ামী লীগ—সবাইকে মেসেজ দিতে চাই, জিয়াউর রহমান আজ নেই, কিন্তু তার দল বিএনপি এখনো বেঁচে আছে। ইনশাল্লাহ ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন হবে।হাফিজ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ যে এখনো নির্বাচনী ম্যাপের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারছে না, তার একটি কারণ বর্তমান প্রশাসন। এখানে স্বৈরাচারের দোষীরা এখনো বসে আছে, এদেরকে সরানোর জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং এরা থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি জানিয়েছি, আজকে আবারো জানিয়ে দেবো, নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থেই বর্তমান প্রশাসন ব্যবস্থাকেও নিরপেক্ষ করতে হবে। আমরা স্বৈরাচারের দোসরদের মাঠে রেখে নির্বাচনে যেতে পারি না।পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে পারে না, এ দেশের জনগণ এ সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। যারা পিআর নিয়ে আন্দোলন করছেন, তাদেরকে বলব, জনগণের কাছে যান। আপনারা ম্যানিফেস্টোতে, ইশতেহারে বলুন যে, আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন চাই। যদি জনগণ আপনাদেরকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেয়, তাহলে আপনি এই ব্যবস্থা চালু করবেন। আমরা মাথা পেতে নেব। কিন্তু এইভাবে জনগণের উপর দুই-তিনটি রাজনৈতিক দল, ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে আগত বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে এই ধরনের সিস্টেম চালু করা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। আমরা দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি কখনোই এটিকে সহ্য করব না। জনগণের উপর অত্যাচার করে নিজেদের স্বার্থে বা দলীয় স্বার্থে অদ্ভুত নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু হতে দিতে পারি না।হাফিজ আরও বলেন, এনসিপি তাদেরও আওয়ামী লীগের রোগে ধরেছে। আওয়ামী লীগ যেমন দাবি করে, তারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। এনসিপির সদ্য সাবালক ছাত্ররাও বলতে চায় যে, শেখ হাসিনা সরকারের নাকি তারা পতন ঘটিয়েছে। বিএনপির ৫৮৮ জন সদস্য ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের দেড় মাসের সংগ্রামে জীবন দিয়েছে। এখন তারা মনে করে, তারা হল রাষ্ট্রের কর্ণধার, তাদের এই দায়িত্ব দেশকে ঠিক করার। কিছুদিন আগে ডাকসু নির্বাচন হলো, এনসিপির যারা ছাত্র, তারা একশো ভোটও পায়নি। তারা এখন বলছে, পিআর না হলে নির্বাচনই হবে না।হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস সাহেবকে আমরা সম্মান করি, তিনি দেশের গৌরব। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি সফলতার মুখ দেখাতে পারেননি। সফলতা পান না, ব্যয় সংকোচন তো করতে হবে। ১০৪ জনকে নিয়ে কেন জাতিসংঘে গেলেন? ১০ মিনিটের ভাষণ দেবেন। আমি জাতিসংঘে দুবার গিয়েছি, এই ধরনের মিটিংয়ে। আমি বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছি।তিনি আরও বলেন, এই ধরনের অধিবেশনে ১০৪ জনকে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের জনগণের ট্যাক্সপেয়ারের অর্থের অপচয়। প্রধান উপদেষ্টা প্রেস টিমের পাঁচজন গিয়েছেন, অন্যান্য সাংবাদিকরা তো গিয়েছেন। গত বছর তিনি ৫৪ জন নিয়ে গিয়েছিলেন, এটা গ্রহণযোগ্য ছিল, কিন্তু ১০৪ জন নিয়ে যাত্রা মানানসই নয়। দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, তাই এমন হচ্ছে।তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এর চাইতেও বেশি প্রতিনিধি দল নিয়ে জাতিসংঘে বেড়াতে গিয়েছেন, কখনো দিনের পর দিন বাংলাদেশ বিমানের এয়ারক্রাফটে, কখনো ফিনল্যান্ডে, কখনো ইংল্যান্ডে, কখনো যুক্তরাষ্ট্রে। মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ, সিঙ্গাপুরের লিকওয়ান ইউ তারা সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়ক হলেও এমন করেননি। কিন্তু দরিদ্র দেশে মানুষ বিমান ব্যবহার করে ঘন্টার পর ঘন্টা টাকা ফ্রি দিচ্ছে। বাংলাদেশর মানুষ উদারচেতা হলেও সরকার কি করছে তা জানতেই পারছে না। শেখ হাসিনার পতনের পর কিছুটা প্রেস ফ্রিডম এসেছে, আমরা জানতে পারি, সরকার ও সরকার প্রধানরা কি করছে। আওয়ামী লীগের লুণ্ঠন সীমাহীন, এমন কাহিনী মাঝে মাঝে বের হচ্ছে। একজন প্রতিমন্ত্রীর ৩৬০টি বাড়ি রয়েছে, লন্ডনে ২০০, দুবাই ও আমেরিকায়।জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।ভোরের আকাশ/জাআ
নতুন লোগো প্রকাশ করে আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে প্রকাশের পরদিনই দলীয় ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে লোগোটি সরিয়ে নেওয়ার পর ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা কার্যালয়ে দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের প্রতিনিধিদলের বৈঠকের ছবি প্রকাশ করে জামায়াত।সে ছবিতে নতুন লোগো দেখা যায়। সেখানে সবুজ রঙের পটভূমিতে খোলা গ্রন্থের ওপর উদীয়মান সূর্য আর সূর্যের ওপরে একটি কলম ব্যবহার করা হয়েছে, যা দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লার দণ্ড হিসেবে প্রতীকায়িত। গ্রন্থের দুই প্রান্ত থেকে অর্ধবৃত্ত বিস্তৃত হয়ে আছে। এর নিচে সোনালি অক্ষরে লেখা ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’। আর আরবি ও ইংরেজিতেও দলটির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন এই লোগো প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জামায়াত আমিরের বসুন্ধরা কার্যালয়ে ভুটানের রাষ্ট্রদূত মিস দাশো কারমা হামু দর্জির সঙ্গে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের সৌজন্য সাক্ষাতে সেই লোগো আর দেখা যায়নি।ওই বৈঠকেরও একাধিক ছবি দলটির পেজে পোস্ট করা হয়েছে। তবে আজকের ছবিতে জামায়াত ইসলামির নতুন লোগো দেখা যায়নি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য শামসুজ্জামান দুদু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সাথে শেখ মুজিবুর রহমানের কোন সম্পর্ক ছিল না। তিনি পাকিস্তানে ছিলেন। কেউ কেউ বলেন আত্মসমর্পণ করেছিলেন বা পালিয়েছিলেন। কিন্তু তার দল ও দলের নেতাকর্মীরা দাবি করেন তিনি নাকি মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার ছিলেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডাররা পালিয়ে যায় না, আত্মসমর্পণ করে না। বর্তমান সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশটা নষ্টের প্রথম এবং মূল শেখ মুজিবুর রহমান। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যার কাছে মানুষের প্রত্যাশা ছিল সীমাহীন। তিনি ৭২ সালে ক্ষমতায় এসে ৭৩ সালে যে নির্বাচন করেন সে নির্বাচনটা ছিল সর্বকালের সেরা লুটপাটের নির্বাচন। লুটপাটের নির্বাচন হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। তার একটা কারণ হলো, দাউদকান্দিতে খন্দকার মোস্তাক হারা সত্ত্বেও তার ব্যালট বক্স ঢাকায় এনে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল।সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমন স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন তেমনি রণাঙ্গনে যুদ্ধও করেছিলেন। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা ও যুদ্ধই করেননি, পরবর্তী সময়ে দেশের স্বাধীনতা রক্ষা, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্যে বাংলাদেশের হাল ধরেন এবং আধুনিক বাংলাদেশ গঠন করেন। পরবর্তী সময়ে দেশে যখন আবার স্বৈরাচার এর আবির্ভাব হয় তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৯ বছর আন্দোলন সংগ্রামের পরে দেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। গত ১৫-১৬ বছর শেখ হাসিনা দেশে আবারও স্বৈরাচার কায়েম করলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যৈষ্ঠ পুত্র আমাদের নেতা তারেক রহমান আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন এবং দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।তিনি বলেন, কোন কোন রাজনৈতিক দল বর্তমানে জাতির কাছে ওয়াদা দিচ্ছে তারা ক্ষমতায় আসলে এই করবে সেই করবে। ১৯৭১ সালে তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সাথে অস্ত্র ধরে বাঙালিদের উপর জুলুম নির্যাতন করেছে। তারা এখনো জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। আগে ক্ষমা চান। জাতির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। তারপরে কি করবেন না করবেন দেখা যাবে।ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, জিয়া পরিবার সঙ্গে প্রত্যেক পরিবারের আকাশ-পাতাল তফাৎ রয়েছে। শেখ পরিবার হচ্ছে চোরেদের পরিবার, ব্যাংক লুটের পরিবার। গণতন্ত্র হত্যার পরিবার। আর জিয়া পরিবার হচ্ছে গণতন্ত্রের স্বপক্ষের, লড়াইয়ের, দেশের স্বাধীনতা রক্ষা, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার পরিবার। সেই পরিবারের সাথে আপনারা আছেন। এখনো কাজ শেষ হয়নি। দেশে জনপ্রতিনিধিত্ব পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে। জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করতে হবে। যেটি একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে সম্ভব। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অন্য কোন পথ নাই। বর্তমান সরকার এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন বলে আমরা আশা করি। সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, ওলামা দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ ক্বারী রফিকুল ইসলাম, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনসহ প্রমুখ।ভোরের আকাশ/জাআ