বরিশালের সাতলা গ্রাম: ফুটে থাকা শাপলার রঙিন সমারোহ
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রাম এখন দেশের মানুষের কাছে ‘শাপলার গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত। গ্রামের বিস্তীর্ণ জলাভূমি, স্থানীয়রা যাকে শাপলার বিল নামে ডাকে, পুরো মৌসুমে লাল, সাদা ও বেগুনি শাপলার ফুলে ছেয়ে থাকে। প্রায় ১০ হাজার একরের এই বিল ভোরের প্রথম আলোয় যেন লাল কার্পেটের মতো ছড়িয়ে যায়, যা দেখতে প্রতিটি দর্শক মুগ্ধ হয়।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শাপলা দেখতে সবচেয়ে ভালো সময় আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। ভোরবেলা ফুলগুলো পুরোপুরি ফুটে থাকে, কিন্তু দিনের বেলায় ধীরে ধীরে ফুলগুলো বুজে যায় বা স্থানীয়রা বাজারের জন্য তুলতে শুরু করে। তাই শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভোরে বিলে পৌঁছানোই উত্তম।
পর্যটকরা সাধারণত রাতে গ্রামে এসে ভোরে বিল দেখতে যান। ঢাকা থেকে সাতলা যেতে হলে বরিশাল পর্যন্ত বাস বা লঞ্চে পৌঁছাতে হয়। ঢাকা থেকে বরিশালের বাস যাত্রীদের জন্য শাকুরা, হানিফ ও ঈগল পরিবহন রয়েছে। এছাড়া সদরঘাট থেকে বরিশালগামী লঞ্চে ভ্রমণ করা যায়, যেগুলো পরদিন ভোরে বরিশালে পৌঁছে। বরিশাল শহর থেকে সাতলা পৌঁছাতে হলে শিকারপুর বা নুতনহাট পর্যন্ত বাসে যেতে হয়, এরপর অটো বা মহেন্দ্র গাড়িতে গ্রামে প্রবেশ করা যায়।
সাতলায় বড় কোনো হোটেল না থাকলেও স্থানীয় বাড়ি বা স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা যায়। বরিশাল শহরে থাকলে গ্র্যান্ড পার্ক, হোটেল এথেনাসহ অন্যান্য মানসম্মত হোটেল পাওয়া সম্ভব।
স্থানীয়রা অতিথিপরায়ণ। শাপলার মৌসুমে এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কেউ শুধু ফুল দেখার জন্য, কেউ ছবি তোলার জন্য বিলে আসে। এছাড়া এই গ্রামের শাপলা ফুল দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়।
প্রকৃতি প্রেমী ও ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আগ্রহীদের জন্য সাতলা গ্রাম হতে পারে এক অনন্য গন্তব্য।
সূত্র: কুহুডাক
ভোরের আকাশ // হ.র
সংশ্লিষ্ট
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রাম এখন দেশের মানুষের কাছে ‘শাপলার গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত। গ্রামের বিস্তীর্ণ জলাভূমি, স্থানীয়রা যাকে শাপলার বিল নামে ডাকে, পুরো মৌসুমে লাল, সাদা ও বেগুনি শাপলার ফুলে ছেয়ে থাকে। প্রায় ১০ হাজার একরের এই বিল ভোরের প্রথম আলোয় যেন লাল কার্পেটের মতো ছড়িয়ে যায়, যা দেখতে প্রতিটি দর্শক মুগ্ধ হয়।স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শাপলা দেখতে সবচেয়ে ভালো সময় আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। ভোরবেলা ফুলগুলো পুরোপুরি ফুটে থাকে, কিন্তু দিনের বেলায় ধীরে ধীরে ফুলগুলো বুজে যায় বা স্থানীয়রা বাজারের জন্য তুলতে শুরু করে। তাই শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভোরে বিলে পৌঁছানোই উত্তম।পর্যটকরা সাধারণত রাতে গ্রামে এসে ভোরে বিল দেখতে যান। ঢাকা থেকে সাতলা যেতে হলে বরিশাল পর্যন্ত বাস বা লঞ্চে পৌঁছাতে হয়। ঢাকা থেকে বরিশালের বাস যাত্রীদের জন্য শাকুরা, হানিফ ও ঈগল পরিবহন রয়েছে। এছাড়া সদরঘাট থেকে বরিশালগামী লঞ্চে ভ্রমণ করা যায়, যেগুলো পরদিন ভোরে বরিশালে পৌঁছে। বরিশাল শহর থেকে সাতলা পৌঁছাতে হলে শিকারপুর বা নুতনহাট পর্যন্ত বাসে যেতে হয়, এরপর অটো বা মহেন্দ্র গাড়িতে গ্রামে প্রবেশ করা যায়।সাতলায় বড় কোনো হোটেল না থাকলেও স্থানীয় বাড়ি বা স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা যায়। বরিশাল শহরে থাকলে গ্র্যান্ড পার্ক, হোটেল এথেনাসহ অন্যান্য মানসম্মত হোটেল পাওয়া সম্ভব।স্থানীয়রা অতিথিপরায়ণ। শাপলার মৌসুমে এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কেউ শুধু ফুল দেখার জন্য, কেউ ছবি তোলার জন্য বিলে আসে। এছাড়া এই গ্রামের শাপলা ফুল দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়।প্রকৃতি প্রেমী ও ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আগ্রহীদের জন্য সাতলা গ্রাম হতে পারে এক অনন্য গন্তব্য।সূত্র: কুহুডাকভোরের আকাশ // হ.র
"অপার সৌন্দর্যের রানী শ্রীমঙ্গল" উক্তিটি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে উঁচু-নিচু পাহাড়, ঘন সবুজ অরণ্য, চা বাগান এবং নয়নাভিরাম নৈসর্গিক দৃশ্যাবলী রয়েছে, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। চায়ের রাজধানী খ্যাত পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গল। প্রকৃতির নিজ হাতে গড়া দৃষ্টিনন্দন শহর শ্রীমঙ্গল। প্রায় দেড় শতাধিক বছরের প্রাচীন চা শিল্পের ঐতিহ্যের গৌরব বহনকারী দীর্ঘকালের পথ পরিক্রমায় প্রাকৃতিক আশ্রয়ে গড়ে উঠা পাহাড় ও সমতল ভূমির ওপর ছোট এই শহরের অবস্থান।অপরুপ নৈসর্গিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীমঙ্গলের চা বাগানের মধ্যে বয়ে চলা আঁকাবাঁকা মেঠো পথ, পাহাড়ি ঝর্ণা, পাহাড়, হাইল-হাওরের মত জলাভূমি এবং অতিথি পাখির বিচরণের অভয়ারণ্য বাইক্কাবিল, লেক এবং বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালি ও বন্যপ্রাণী সমৃদ্ধ এই উপজেলা।সংগৃহীত ছবিউঁচু-নিচু পাহাড় ঘেরা বন-বনানী আর নীল আকাশের সাথে যেন সবুজ পাহাড়ের মিতালি। নিজ চোখে না দেখলে অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এই বিচিত্র রূপ আর সৌন্দর্য একনজর দেখার জন্য প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ ছুটে আসেন প্রকৃতির রানী শ্রীমঙ্গলকে দেখতে।প্রকৃতির সুরম্য নিকেতন শ্রীমঙ্গলে আপনি দেখতে পাবেন দৃষ্টিনন্দন চা-কন্যা ভাস্কর্য, মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১ বা স্মৃতিস্তম্ভ বধ্যভূমি ৭১, চা জাদুঘর, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, অথিথি পাখিদের অভারণ্য বাইক্কাবিল, সবুজে ঘেরা চা-বাগান, তার্কিস স্থাপত্য শিল্পের জান্নাতুল ফেরদৌস মসজিদ, লেক, ডিনস্টন সিমেট্রি, লালটিলা শিব মন্দির, হাইল হাওর, লেবু-আনারস আর রাবার বাগান।নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠি খাসিয়া পুঞ্জি-মণিপুরি-গারো সম্প্রদায়ের জীবনাচার, হরিনছড়া গল্ফ মাঠ, বিটিআরআই, বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন ও ত্রিপুরা মহারাজার কাচারি বাড়ি সাড়ে পাঁচ শ’ বছরের পুরোনো নির্মাই শিববাড়ী মন্দিরসহ আরো অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে এখানে। আর দেশের ৯০ শতাংশ চা বাগান ও চায়ের উৎপাদন হয় এ অঞ্চলে।শ্রীমঙ্গলে এসে ভানুগাছ সড়ক ধরে কিছুদূর এগুলেই ফিনলের চা কোম্পানীর ভুরভুরিয়া চা-বাগানের সামনে নির্মিত বধ্যভূমি ৭১, যা মনে করিয়ে দেয় স্বাধীনতা যুদ্ধের এখানকার অনেক চা শ্রমিক ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর আত্মত্যাগের ইতিহাস।সেখান থেকেই দু’পাশে সবুজ চা বাগানের মাঝ দিয়ে রাস্তা। সামনেই চোখে পড়বে পথের দু’পাশে উঁচু-নীচুঁ পাহাড়, লেবু ও আনারসের বাগান। আঁকাবাঁকা পথ ধরে আরেকটু সামনে এগিয়ে দেখা মিলবে জাতীয় উদ্যান লাউয়াছড়ার। প্রবেশ মুখ থেকেই শোনা যাবে নাম না জানা নানা ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক।সংগৃহীত ছবিস্থানীয়ভাবে এটাকে ফরেষ্ট মিউজিক বলা হয়। লাউয়াছড়ার প্রাচীনসব গাছ-গাছালি, গুল্ম লতা উদ্ভিদ এর দেখা মেলে। নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী বানর আর হনুমানের অবাধ বিচরণ রয়েছে এ বনে। এসব বন্য প্রাণীদের এ গাছ থেকে অন্য গাছে লাফালাফি, অদ্ভুদ ডাকাডাকি মুহুর্তেই নজর কাড়ে দর্শনার্থীদের। ভাগ্য সুপশ্রন্ন হলে ভোরের নির্জনতায় রাস্তাতেই দেখা মিলতে পারে হনুমান, বানর, বন মোরগ, সাপ, উড়ন্ত কাঠবিড়ালী, সজারু, হরিণ, মেছো বাঘ, উল্লুকসহ নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণীর।শীতের মৌসুমে মাছের অভায়রণ্য বাইক্কা বিলে ভীর করে হাজারো প্রজাতির পরিযায়ি ও অতিথি পাখি। বাইক্কাবিল পাখিদেরও অভয়ারণ্য। পাখিদের কাছ থেকে দেখার জন্য এখানে রয়েছে সুউচ্চ পরিদর্শন টাওয়ার। পাখি প্রেমীরা দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে নানা প্রজাতির পাখিদের জীবনাচার দেখে মুগ্ধ হয়ে উঠেন। বাইক্কা বিল শুধু পাখি নয় হাজারো জলজ উদ্ভিদের ভান্ডার।শ্রীমঙ্গলে এলে ঘুড়ে আসতে পারেন ভাড়াউড়া চা-বাগানের লেক থেকে। চারিদিকে সারি সাড়ি উঁচু পাহাড়। সবুজ চা বাগান দিয়ে এসব পাহাড় সৃজন করা। এর মাঝখানে ভাড়াউড়া লেক আর উপরে সুনীল আকাশ। এ যেন আকাশের সাথে পাহাড়ের মিতালি।ভাড়াউড়া লেক এর পাশেই রয়েছে জাগছড়া গরমটিলা মাজার। এই টিলা থেকে থেকে দেখতে পারেন প্রকৃতির অপরুপ দৃশ্য।শ্রীমঙ্গলে রয়েছে প্রায় ৯৩টিরও বেশী নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বাস। খাসিয়া, মনিপুরী, সাঁওতাল, টিপরা ও গারো সম্প্রদায়ের স্বতন্ত্র জীবনাচার এবং বৈচিত্র্যময় জীবনধারা ও সংস্কৃতি দেখলে খানিক সময়ের জন্য হলেও প্রকৃতির কোলে মিশে যেতে মন চাইবে।প্রতি বছর চা বাগানগুলোতে ‘ফাগুয়া উৎসব’, টিপরাদের ‘বৈসু উৎসব’ ও গারোদের ‘ওয়ানগালা উৎসব’ মনিপুরীদের ’রাস পূর্ণিমা’ উৎযাপিত হয় খুব জাঁকজমকভাবে। তাদের এই আনন্দ উৎসবে মিশে যেতে পারেন আপনিও।স্বর্গের দেবতা যেন এখানে এসে নিজ হাতে ছুঁয়ে গেছেন প্রকৃতিকে। যার চোখ ধাঁধাঁনো সৌন্দর্য যে কাউকে খুব সহজে প্রকৃতির প্রেমে পড়তে বাধ্য করবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
প্রতিটি দিন সময়ের নদীতে হারিয়ে যায়, কিন্তু কিছু দিন রয়ে যায় স্মৃতির পাতায়, ইতিহাসের পাতায়। এসব দিনেই ঘটে যায় কিছু যুগান্তকারী ঘটনা— মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রা, প্রথম আবিষ্কার, বিপ্লব কিংবা বেদনাবিধুর মুহূর্ত।আজ রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫। ইতিহাসের পাতায় এই দিনটির রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব।শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নানা দেশে, নানা প্রান্তে এই দিনে ঘটেছে নানা উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যা আজও আমাদের ভাবায়, শিক্ষা দেয় এবং ইতিহাসকে বুঝতে সহায়তা করে।চলুন, ফিরে দেখি ২৮ সেপ্টেম্বরের ক্যালেন্ডারে খোদাই হয়ে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার দিকে—১৮৬৫ - এলিজাবেথ গ্যারেট এন্ডারসন প্রথম শল্যাচিকিৎসক হিসেবে ব্রিটেনে নিবন্ধিত হন।১৯০৬ - হংকং এ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে দশ হাজার লোকের মৃত্যু।১৯২৩ - বুলগেরিয়ায় ফ্যাসিস্ট বিরোধী এক অভ্যুত্থান ঘটে।১৯২৮ - স্যার অ্যালেকজান্ডার ফ্লেমিং প্রথমবারের মতো পেনিসিলিন আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন।১৯৭১ - ভারতের ডিমাপুরে গঠিত হয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী।১৯৭৪ - বাংলাদেশের জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘ফুলকুঁড়ি আসর’ প্রতিষ্ঠিত হয়।২০০২ - বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক শিক্ষার জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি চালু করে।ভোরের আকাশ/তা.কা
প্রাচীনকাল থেকেই সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ মানুষের কৌতূহল, বিস্ময় এবং ভয়ের কারণ হয়ে এসেছে। পৃথিবীর নানা দেশে এ দুই ধরনের গ্রহণকে কেন্দ্র করে অসংখ্য কুসংস্কার গড়ে উঠেছে। কোথাও বলা হয়, গ্রহণের সময় খাওয়া-দাওয়া করা উচিত নয়, গর্ভবতী নারী বাইরে বেরোলে সন্তানের ক্ষতি হতে পারে, আবার কোথাও বিশ্বাস করা হয় গ্রহণের সময় দুর্যোগ নেমে আসতে পারে। এসব ধারণা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসলেও আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে এর কোনো ভিত্তি নেই।আসলে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হচ্ছে একেবারেই প্রাকৃতিক জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা। যখন চাঁদ পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে তখন সূর্যের আলো আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ঢাকা পড়ে যায়, একে বলা হয় সূর্যগ্রহণ। আবার পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে অবস্থান করে এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে তখন চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। অর্থাৎ এ দুটি ঘটনা কেবলই সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদের নির্দিষ্ট কক্ষপথে অবস্থানের কারণে ঘটে।বিজ্ঞানীরা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন, স্বাস্থ্য বা ভবিষ্যতের উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না। তবে সূর্যগ্রহণের সময় খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকালে চোখের ক্ষতি হতে পারে, যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। তাই এ সময় সুরক্ষিত বিশেষ চশমা ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।অন্যদিকে, গ্রহণ নিয়ে প্রচলিত কুসংস্কার যেমন গর্ভবতী নারীর উপর প্রভাব, খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত থাকা, বা অশুভ শক্তির প্রভাব—এসবের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বরং এগুলো মানুষের অজ্ঞানতা, ভীতি এবং ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের কারণে ছড়িয়ে পড়েছে।গ্রহণ আসলে মহাজাগতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য নিদর্শন। পৃথিবীর মানুষ হাজার বছর ধরে এ দৃশ্য দেখে আসছে এবং আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে এটি গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। তাই সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকে ভয় বা কুসংস্কারের চোখে না দেখে জ্ঞান ও বিজ্ঞানের আলোকে বোঝাই শ্রেয়।ভোরের আকাশ/তা.কা