ছবি: সংগৃহীত
বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ৯ জন।
সোমবার (১৬ জুন) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাসের রায় দেন।
এদিন শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন- আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ইসহাক সরকার, কাজী আবুল বাশার, নজরুল ইসলাম খান টিপু, এম এ সৈয়দ মন্টু, আব্দুস সাত্তার ও মো. সালাউদ্দিন।
এসময় মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, অভিযোগের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ, তাই তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালে হরতালের সময় সূত্রাপুর থানাধীন লেগুনা গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপে ৫ জন দগ্ধ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় বিএনপির প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ১০জনকে আসামি করা হয়। সাদেক হোসেন খোকা মৃত হওয়ায় এ মামলা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়।
খালাস পেয়ে এ্যানি বলেন, বিএনপির অনেক নেতাকর্মী এখনও আওয়ামী লীগের দেওয়া মিথ্যা মামলায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এজন্য রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের কমিশন গঠন করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য তার।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন— সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক মো. আবুল খায়ের, কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজি ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ুন কবির ও তানভির নিজাম।ভোরের আকাশ/আজাসা
বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ৯ জন।সোমবার (১৬ জুন) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাসের রায় দেন।এদিন শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন- আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ইসহাক সরকার, কাজী আবুল বাশার, নজরুল ইসলাম খান টিপু, এম এ সৈয়দ মন্টু, আব্দুস সাত্তার ও মো. সালাউদ্দিন।এসময় মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, অভিযোগের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ, তাই তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালে হরতালের সময় সূত্রাপুর থানাধীন লেগুনা গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপে ৫ জন দগ্ধ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় বিএনপির প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ১০জনকে আসামি করা হয়। সাদেক হোসেন খোকা মৃত হওয়ায় এ মামলা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়।খালাস পেয়ে এ্যানি বলেন, বিএনপির অনেক নেতাকর্মী এখনও আওয়ামী লীগের দেওয়া মিথ্যা মামলায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এজন্য রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের কমিশন গঠন করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য তার।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই আন্দোলনে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২৪ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।সোমবার (১৬ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।এ সময় মামলার আরেক আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।গত ১ জুন জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী মামুন। একইসঙ্গে এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।সেদিন আদালতে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম। যা সব গণমাধ্যমে সম্প্রচার করা যায়।এর আগে, মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়।গত ১২ মে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। তদন্ত প্রতিবেদনে জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার নাম উঠে এসেছে।এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় গুলিতে সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।শুক্রবার (১৩ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহর আদালতে মামলাটির এজাহার আসে। পরে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২০ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ও অভিনেত্রী শমী কায়সার।মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে মোহাম্মদপুর থানাধীন তিন রাস্তার মোড়ে ময়ূর ভিলার সামনে মিছিলে অংশ নেন সোহেল রানা।এ সময় শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশে হামলা চালান পুলিশ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের ছোড়া গুলিতে আহত হন সোহেল। পরে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন তিনি। তবে দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকায় মামলা করতে দেরি হওয়ার কথা এজাহারে তুলে ধরেন এই ভুক্তভোগী।ভোরের আকাশ/এসএইচ