অধ্যাদেশের কিছু বিধানের অপপ্রয়োগের আশঙ্কা রয়েছে: উপদেষ্টা ফাওজুল
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে গতকাল রোববার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।
এ সময় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের বলেন, এ অধ্যাদেশের কিছু বিধানের অপপ্রয়োগের আশঙ্কা রয়েছে। রোববার সচিবালয়ে জমায়েত হন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। পরে কর্মচারীদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল দুপুরে সচিবালয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমি অধ্যাদেশটি দেখেছি। উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজনের নজরে এই জিনিসটা এনেছি। এখানে কিছু প্রভিশান আছে, যেগুলো অপপ্রয়োগের সম্ভাবনা আছে।’ উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি তুলে ধরার আশ্বাস দেন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
প্রধান উপদেষ্টার কাছেও তিনি বিষয়টি তুলে ধরবেন বরে জানান। তবে তিনি অনুরোধ করেন, এই অধ্যাদেশটি রেখে কি কি সেইফগার্ড করলে, এটি কর্মচারীদের কাছেও গ্রহণযোগ্য হবে তা ভেবে দেখার জন্য। উপস্থিত কর্মচারী নেতারা বলেন, এই অধ্যাদেশ সংবিধানবিরোধী কালো আইন। তারা অবিলম্বে এটা বাতিল চান।
এ সময় বক্তব্য দেন সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম এবং কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম।
গতকাল খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছেও স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন আন্দোলনরত কর্মচারীরা।
অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে আজ সোমবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কাছেও স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে থেকে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।
এর মধ্যে গত ২৫ মে সন্ধ্যায় এ অধ্যাদেশ অনুমোদন করা হয়। পরে এর প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঈদুল আজহা উপলক্ষে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুস্বাস্থ্য এবং কল্যাণ কামনা করেছেন।তার এই বার্তার জবাবে ড. ইউনূসও মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভারতের জনগণের শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।রোববার (৮ জুন) ড. ইউনূসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই শুভেচ্ছা বার্তাদুটি প্রকাশ করা হয়।শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, ‘ঈদ মোবারক! ভারত সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে ঈদুল আজহার শুভক্ষণে আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’তিনি বলেন, ‘এই পবিত্র উৎসব ভারতের বৈচিত্র্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইসলাম ধর্মাবলম্বী নাগরিকরা দেশজুড়ে এটি আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে উদযাপন করে। ঈদ আমাদের ত্যাগ, করুণা এবং ভ্রাতৃত্বের চিরন্তন মূল্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যা একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’মোদি বার্তায় আরও লেখেন, ‘এই সুযোগে আমি আপনার সুস্বাস্থ্য এবং কল্যাণের জন্য শুভকামনা জানাই।’প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছার জবাবে ড. ইউনূস লেখেন, ‘ঈদুল আজহা উপলক্ষে আপনার সদয় শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক বার্তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এটি আমাদের দুই দেশের অভিন্ন মূল্যবোধের প্রতিফলন।’তিনি আরও বলেন, ‘ঈদুল আজহার মূল চেতনা ত্যাগ, উদারতা এবং ঐক্য। এই উৎসব বিভিন্ন সম্প্রদায়কে একত্রিত করে এবং বিশ্বব্যাপী জনগণের কল্যাণে একযোগে কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগায়।’শেষে তিনি মোদির সুস্বাস্থ্য ও সুখ এবং ভারতের জনগণের শান্তি, উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।ভোরের আকাশ।।হ.র
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আজ রাত ১২টা ১৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩৩৯ ফ্লাইটে ব্যাংকক থেকে ঢাকায় ফিরছেন বলে জানা গেছে।গত ৭ মে চুপিসারে দেশ ছাড়েন তিনি। এরপর শুরু হয় বিতর্ক ও নানা গুঞ্জন। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন ও কয়েক কর্মকর্তাকে বরখাস্তও করা হয়।কিশোরগঞ্জে জুলাই অভ্যুত্থান–সংক্রান্ত এক মামলায় তার নামও আসামিদের তালিকায় রয়েছে। তবে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশে যান এবং তার বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না।এ বিষয়ে এখনো কোনো সরকারি বক্তব্য পাওয়া যায়নি।ভোরের আকাশ।।হ.র
গত বছরের তুলনায় এবার কাঁচা চামড়ার দাম বেশি বলে দাবি করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। রোববার (৮ জুন) রাজধানীতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।উপদেষ্টা বলেন, আমরা চামড়ার দাম যা নির্ধারণ করেছিলাম যা লবণসহ। ৭০০-৮০০ টাকায় চামড়া বিক্রি হচ্ছে। কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া নিয়ে আধা পচা করে ফেলছে। এই আধা পচা চামড়া এই দামে বিক্রি হওয়া অনেক বেশি। যেটা ভালো চামড়া সেটা এক হাজার দুইশ থেকে এক হাজার তিনশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।তিনি বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লবণ দেওয়া চামড়া সরকার নির্ধারিত দামেই বিক্রি করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সোশ্যাল ও মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় চামড়ার দাম নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়াদের সঙ্গে মিলে চামড়ার বাজারে ধস নামানোর পরিকল্পনা ছাড়া আর কিছুই না।গত ২৬ মে কোরবানির পশুর চামড়ার দর নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৬০-৬৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫৫-৬০ টাকা। ঢাকার বাইরের গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫০-৫৫ টাকা। এ ছাড়া ঢাকায় সর্বনিম্ন কাঁচা চামড়ার দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর ঢাকার বাইরে সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। এ ছাড়া খাসির লবণযুক্ত চামড়া ২২ থেকে ২৭ টাকা ও বকরির চামড়া ২০-২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার। সেখানে গরু-ছাগলসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত ছিল প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার পশু। চলতি বছর কোরবানির ঈদের মৌসুমে ৮০ থেকে ৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ট্যানারিমালিকেরা।ভোরের আকাশ/আজাসা
সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় ছাড়াও কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড় ও মিন্টু রোড এলাকাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।রোববার (৮ জুন) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা ও প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যানেন্সের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে সোমবার (৯ জুন) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড়, মিন্টু রোড) যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।ভোরের আকাশ/আজাসা