সংগৃহীত ছবি
জয় দিয়েই নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু করল বাংলাদেশ দল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দেয় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। আগে ব্যাট করে ১২৯ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
জবাবে ৩১.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নারী টাইগ্রেসরা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে মারুফার আক্তারের হাতে উঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
শ্রীলঙ্কার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। তবে এই সিদ্ধান্তকে শুরুতেই ভুল প্রমাণ করেন বাংলাদেশি পেসার মারুফা আক্তার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হেনে তিনি পাকিস্তানকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। পঞ্চম বলে উমাইমা সোহেল এবং পরের বলেই ইনফর্ম ব্যাটার সিদরা আমিনকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান মারুফা। দুজনেই রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন।
২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মুনিবা আলি ও রামিন শামিম প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে অভিজ্ঞ স্পিনার নাহিদা আক্তার এই জুটি ভাঙেন। ৩৫ বলে ১৭ রান করা মুনিবাকে ফেরানোর পর ৩৯ বলে ২৩ রান করা শামিমকেও নিজের শিকার বানান নাহিদা।
দলীয় অর্ধশতকের আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানের বিপদ আরও বাড়ান অন্য বোলাররা। রাবেয়া খানের শিকার হয়ে সিদরা নওয়াজ (১৫) এবং নিশিতা আক্তারের বলে আলিয়া রিয়াজ (১৩) আউট হলে পাকিস্তানের বড় সংগ্রহের আশা শেষ হয়ে যায়। অধিনায়ক ফাতিমা সানা সর্বোচ্চ ২২ রান করে ফাহিমা খাতুনের বলে এলবিডব্লিউ হন। শেষদিকে আর কোনো ব্যাটার দাঁড়াতে না পারায় ৩৮.৩ ওভারে মাত্র ১২৯ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে মাত্র ৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন স্বর্ণা আক্তার। দুর্দান্ত শুরু করা মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তার ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া নিশিতা আক্তার, ফাহিমা খাতুন ও রাবেয়া খান একটি করে উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ডায়ানা বেগের বলে এলবিডব্লিয়ের শিকার হন ওপেনার ফারজানা। এরপর শারমিনকে নিয়ে জুটি গড়েন রুবিয়া হায়দার। দলীয় ৩৫ রানে শামিমের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে ১০ রান করে বিদায় নেন শারমিন। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়েন নিগার সুলতানা ও রুবিয়া হায়দার। দলীয় শতকের ৩ রান আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক ২৩ রানে আউট হন। এরপর সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আনেন রুবিয়া। ৫৪ রানে রুবিয়া ও ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন সোবহানা। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ৭ অক্টোবর, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ হওয়ার পর এবার আগামী বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত দেশগুলো। সে ধারাবাহিকতায় অক্টোবর উইন্ডোতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। এর আগে আগস্টেই ম্যাচ দুটির ভেন্যু ও সময় ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার কোচ কার্লো আনচেলত্তি দলও ঘোষণা করেছেন।রিও ডি জেনেইরোতে বুধবার ঘোষিত ২৬ সদস্যের এই দলে ফিরেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো গোয়েস। তবে ইনজুরি কাটিয়ে ওঠা হয়নি নেইমার জুনিয়রের, ফলে তাকে এবারও রাখা হয়নি। ২০২৩ সালের অক্টোবরে জাতীয় দল থেকে চোটের কারণে ছিটকে পড়ার পর থেকে ব্রাজিলের জার্সিতে তাকে আর দেখা যায়নি। সম্প্রতি বাঁ পায়ের উরুর ইনজুরি নতুন করে তাকে মাঠের বাইরে রেখেছে।শুধু নেইমারই নন, বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার, ডিফেন্ডার মার্কিনিয়োস ও ফরোয়ার্ড রাফিনিয়াও। লিভারপুলের হয়ে খেলার সময় চোট পান অ্যালিসন, অন্যদিকে বার্সেলোনার দেওয়া তথ্যে রাফিনিয়া হ্যামস্ট্রিং সমস্যায় ভুগছেন। মার্কিনিয়োসও ইনজুরির কারণে বাইরে। এ ছাড়া আগের স্কোয়াড থেকে আন্দ্রে সান্তোস ও আলেসান্দ্রো রিবেইরোকেও বাদ দিয়েছেন আনচেলত্তি।এদিকে আনচেলত্তির অধীনে এ পর্যন্ত ব্রাজিল চারটি ম্যাচ খেলেছে—যেখানে দুই জয়, একটি ড্র ও একটি হার তাদের ঝুলিতে গেছে। বর্তমানে ২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা বাছাই টেবিলে ব্রাজিল আছে পঞ্চম স্থানে।আগামী ১০ অক্টোবর সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে এবং ১৪ অক্টোবর টোকিওতে জাপানের বিপক্ষে মাঠে নামবে সেলেসাওরা।ব্রাজিলের স্কোয়াড (প্রীতি ম্যাচের জন্য)গোলরক্ষক: বেন্তো, এডারসন, হুগো সোसाডিফেন্ডার: কাইয়ো হেনরিক, কার্লোস আগুস্তো, ডগলাস সান্তোস, এডার মিলিতাও, ফ্যাব্রিসিও ব্রুনো, গাব্রিয়েল মাগালায়েস, বেরালদো, ভ্যান্ডারসন, ওয়েসলিমিডফিল্ডার: আন্দ্রে, ব্রুনো গুইমারেস, ক্যাসেমিরো, জোয়েলিন্টন, জোয়াও গোমেস, লুকাস পাকেতাফরোয়ার্ড: এস্তেভাও উইলিয়ান, গাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি, ইগর জেসুস, লুইস হেনরিক, মাথিউস কুনহা, রিসার্লিসন, রদ্রিগো, ভিনিসিয়ুস জুনিয়রভোরের আকাশ // হ.র
আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও রীতিমতো নাটকীয় অবস্থায় পড়েছিল বাংলাদেশ। শেষদিকে নুরুল হাসান সোহান আর রিশাদ হোসেনের ঠান্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।শারজাহতে ১৫২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্বপ্নের সূচনা পায় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতেই আসে শতরান। দুজনই তুলে নেন অর্ধশতক—তামিম করেন ৫১, ইমন ৫৪ রান। তাদের বিদায়ের পরই ধস নামে টপ অর্ডারে। একে একে সাজঘরে ফেরেন সাইফ হাসান, শামীম পাটোয়ারী, জাকের আলি অনিক ও তানজিম সাকিব।বিশেষ করে রশিদ খানের ঘূর্ণি যেন আতঙ্ক হয়ে নেমে আসে বাংলাদেশ শিবিরে। মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে হারিয়ে যায় ৬ উইকেট। ১০৯ থেকে ১১৮ রানে পৌঁছাতে গিয়ে ম্যাচটি হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। তবে চাপের মুহূর্তে দায়িত্ব নেন সোহান ও রিশাদ। শেষ ১২ বলে দরকার ছিল ১৬ রান। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের করা ১৯তম ওভারে টানা দুই ছক্কা হাঁকিয়ে পরিস্থিতি সহজ করে দেন সোহান। শেষ পর্যন্ত ১৩ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি, রিশাদ করেন ৯ বলে ১৪ রান। ৮ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। ইনিংসের শুরুতেই নাসুম আহমেদের বোলিংয়ে বিপদে পড়ে তারা। প্রথম ৪০ রানেই পড়ে যায় চার উইকেট। এরপর গুরবাজ ও ওমরজাই দলকে কিছুটা স্থিতি দিলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। গুরবাজ করেন ৪০ রান। শেষ দিকে ঝড় তোলেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবি। তাসকিনের এক ওভারেই হাঁকান তিন ছক্কা, খেলেন ২৫ বলে ৩৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস। শরাফুদ্দিন আশরাফ অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে।তবে সবকিছু ছাপিয়ে শেষ হাসি হাসে বাংলাদেশ। শুরুতে সহজ জয়ের মতো মনে হলেও মাঝপথের সেই নাটকীয় ধস ম্যাচটিকে জমিয়ে তোলে। শেষ পর্যন্ত সোহান-রিশাদের ব্যাটে রক্ষা পায় টাইগাররা।ভোরের আকাশ // হ.র
শারজাহতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল আফগানিস্তান। শুরুতে দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ দিকে মোহাম্মদ নবির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করেছে আফগানরা। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ১৫২ রান।ইনিংসের শুরুতেই নাসুম আহমেদ আঘাত হানেন। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান (১০ বলে ১৫)। অন্য ওপেনার সাদিকুল্লাহ অটলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, করেছেন মাত্র ১২ বলে ১০ রান।এরপর দারউইস রাসুলি ও মোহাম্মদ ইশাক দ্রুত বিদায় নিলে ৪০ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে আফগানিস্তান। সেখান থেকে দলকে সামলে তোলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। গুরবাজ করেন দলের সর্বোচ্চ ৪০ রান।শেষের দিকে আসে মোহাম্মদ নবির ঝড়। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদের এক ওভারে তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি। যদিও সেই ওভারেই বিদায় নিতে হয় তাকে। নবির ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ৩৮ রান। এছাড়া শরাফুদ্দিন আশরাফ অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ১৭ রানে।বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে নাসুম আহমেদ ও তাসকিন আহমেদই ছিলেন সবচেয়ে সফল। এখন জয়ের জন্য ব্যাট হাতে নামতে হবে টাইগারদের। ভোরের আকাশ//হ.র
জয় দিয়েই নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু করল বাংলাদেশ দল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দেয় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। আগে ব্যাট করে ১২৯ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।জবাবে ৩১.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নারী টাইগ্রেসরা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে মারুফার আক্তারের হাতে উঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।শ্রীলঙ্কার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। তবে এই সিদ্ধান্তকে শুরুতেই ভুল প্রমাণ করেন বাংলাদেশি পেসার মারুফা আক্তার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হেনে তিনি পাকিস্তানকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। পঞ্চম বলে উমাইমা সোহেল এবং পরের বলেই ইনফর্ম ব্যাটার সিদরা আমিনকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান মারুফা। দুজনেই রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন।২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মুনিবা আলি ও রামিন শামিম প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে অভিজ্ঞ স্পিনার নাহিদা আক্তার এই জুটি ভাঙেন। ৩৫ বলে ১৭ রান করা মুনিবাকে ফেরানোর পর ৩৯ বলে ২৩ রান করা শামিমকেও নিজের শিকার বানান নাহিদা।দলীয় অর্ধশতকের আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানের বিপদ আরও বাড়ান অন্য বোলাররা। রাবেয়া খানের শিকার হয়ে সিদরা নওয়াজ (১৫) এবং নিশিতা আক্তারের বলে আলিয়া রিয়াজ (১৩) আউট হলে পাকিস্তানের বড় সংগ্রহের আশা শেষ হয়ে যায়। অধিনায়ক ফাতিমা সানা সর্বোচ্চ ২২ রান করে ফাহিমা খাতুনের বলে এলবিডব্লিউ হন। শেষদিকে আর কোনো ব্যাটার দাঁড়াতে না পারায় ৩৮.৩ ওভারে মাত্র ১২৯ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।বাংলাদেশের পক্ষে মাত্র ৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন স্বর্ণা আক্তার। দুর্দান্ত শুরু করা মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তার ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া নিশিতা আক্তার, ফাহিমা খাতুন ও রাবেয়া খান একটি করে উইকেট শিকার করেন।জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ডায়ানা বেগের বলে এলবিডব্লিয়ের শিকার হন ওপেনার ফারজানা। এরপর শারমিনকে নিয়ে জুটি গড়েন রুবিয়া হায়দার। দলীয় ৩৫ রানে শামিমের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে ১০ রান করে বিদায় নেন শারমিন। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়েন নিগার সুলতানা ও রুবিয়া হায়দার। দলীয় শতকের ৩ রান আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক ২৩ রানে আউট হন। এরপর সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আনেন রুবিয়া। ৫৪ রানে রুবিয়া ও ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন সোবহানা। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ৭ অক্টোবর, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।ভোরের আকাশ/জাআ