ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই প্রত্যাহারের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তাঁর ভাষায়, সংগঠন হিসেবে দলটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার পাওয়ার পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) বরিশাল নগরের শঙ্কর মঠের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপন করছেন। সরকারের সতর্ক অবস্থানের কারণেই অপশক্তির নানা ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা শুধুমাত্র একটি তাত্ত্বিক আলোচনা ছিল। আগামী নির্বাচনের আগে তো নয়ই, এমনকি অদূর ভবিষ্যতেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সম্ভাবনা নেই।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অসুস্থ গরু জবাইয়ের পর অন্তত ১১ জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জনকে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক।এর আগে গেল শনিবার উপজেলার বেলকার কিশামত সদর গ্রামে মাহাবুর রহমানের একটি অসুস্থ গরু জবাই করা হয়।স্থানীয়রা জানান, গরুটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সেটি জবাই করে গ্রামবাসীর মধ্যে ভাগাভাগি করা হয়। এ কাজে অংশ নেওয়া ১১ জনের শরীরে কয়েকদিন পর ফোসকা, ঘা ও পচনের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। আক্রান্তদের হাত, মুখ, চোখ ও নাকে ক্ষতচিহ্ন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পরে চিকিৎসকের মাধ্যমে তারা অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন।আক্রান্তদের মধ্যে মোজা মিয়া, মোজাফফর মিয়া, শফিকুল ইসলাম ও মাহাবুর রহমানসহ পাঁচজন বর্তমানে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক জানান, অ্যানথ্রাক্সে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। অসুস্থ গবাদিপশু জবাই বা মাংস ব্যবহারের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। তিনি বলেন, “নিয়মিত চিকিৎসা নিলে কয়েকদিনেই রোগীরা সুস্থ হয়ে ওঠেন।পাশাপাশি সবাইকে অসুস্থ পশু জবাই থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজার রহমান জানান, গরুটি অসুস্থ থাকার পরও কয়েকজন গ্রামবাসী সেটি জবাই করেন। যারা সরাসরি কাটাকাটির কাজে যুক্ত ছিলেন তারাই বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।উল্লেখ্য, এ রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি করতে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতেই সিভিল ‘সার্জন কার্যালয়-গাইবান্ধা’ নামে অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে এই সতর্কবার্তা পোস্ট দেওয়া হয়।ওই বার্তায় বলা হয়- আক্রান্ত বা মৃত গবাদি পশুর (গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি) মাংস, রক্ত, চামড়া বা লোমের মাধ্যমে অ্যানথ্রাক্স রোগ ছাড়ায়। এছাড়া পশুর মাংস কাঁচা বা সঠিকভাবে রান্না না করে খেলে অ্যানথ্রাক্স রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। চামড়া বা পশুর শরীর কাটাছেঁড়া করার সময় ক্ষতস্থান দিয়ে জীবাণু প্রবেশ করলে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।মানুষের শরীরে অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রধান লক্ষণ: ত্বকে কালো দাগ বা ঘা (Cutaneous anthrax), জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট (Inhalation anthrax), তীব্র পেটব্যথা, বমি ও রক্তাক্ত ডায়রিয়া (Gastro-intestinal anthrax)।এ বিষয়ে গাইবান্ধা সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুজ্জামান বলেন, অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধযোগ্য ও চিকিৎসাযোগ্য রোগ। সচেতনতা এবং সঠিক পদক্ষেপই পারে আমাদের সকলকে সুরক্ষিত রাখতে।ভোরের আকাশ//হর
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক কালেরকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক সাঈদ খান বলেছেন, “আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণে ক্রীড়ার কোনো বিকল্প নেই। ক্রীড়া মানুষকে সামাজিক করে তোলে, ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তোলে। মতপার্থক্য বা মতভেদ থাকলেও দিনের শেষে সমাজের সবাই যেন একসঙ্গে খেলতে পারে, একসঙ্গে আড্ডা দিতে পারে—আমরা এমনই একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই।”শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেল চারটায় পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাংগা ডিগ্রী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত চারদলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।সাঈদ খান আরও বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের সংস্কৃতি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা নিজেদের প্রচেষ্টায় এই সমাজকে বদলে ফেলব। আমরা এমন একটি সমাজ গড়ে তুলব, যেখানে একজনের দুঃখে অপরজন ব্যথিত হবে। তরুণ প্রজন্মকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “আপনারা ইউটিউব-ফেসবুকের আসক্তি ছেড়ে মাঠমুখী হন। খেলার মাঠ আপনাদের বিশ্ব দরবারে পরিচিত করে তুলবে। খেলাধুলা মানুষকে আন্তর্জাতিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।”তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে সম্প্রীতির, সমৃদ্ধ ও উন্নত এক বাংলাদেশ।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা আরাফাত রহমান ক্রীড়া সংসদ ও উদয়ন ক্লাবের সভাপতি রেজাউল করিম মিঠু, বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।ভোরের আকাশ//হ.র
বাগেরহাট-০১ আসন (মোল্লাহাট, ফকিরহাট ও চিতলমারী) এলাকায় শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ায় স্থানীয় জনগণসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এ্যাডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় মুক্তিযোদ্ধা ভবনে অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ধর্মীয় উৎসব আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। দুর্গাপূজা সফলভাবে শেষ হওয়ায় আমি পূজা উদযাপন কমিটি, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীসহ এলাকার সর্বস্তরের জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”তিনি আরও বলেন, এবারের পূজা মণ্ডপগুলোতে ভক্তদের উল্লেখযোগ্য সমাগম ছিল। বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণ উৎসবকে আরও আনন্দঘন করে তুলেছে। এ ধরনের সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।সংবাদ সম্মেলনে মোল্লাহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শিকদার জামাল উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহেদ আলী, সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শেখ শহীদ, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান শিমুল, উদয়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার শিমুল, যুবদল নেতা রেজা সিকদার, মঈনুল ইসলাম, রাসেল খান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বিএম হাসিব, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব রিপন শেখ ফুরকান, যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান পলাশসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ//হ.র
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ভোলার চরফ্যাশনের মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীসহ সাগরে শুরু হয়েছে টানা ২২ দিনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ সময়ে কোনোভাবেই নদী ও সাগরে মাছ ধরা, সংরক্ষণ, পরিবহন, বাজারজাত বা মজুত করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং, পোস্টারিংসহ ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর চরফ্যাশনের সামরাজ, নতুন সুইজ, মাইনউদ্দিন, ৫ কপাট, ঢালচর, নুরাবাদ ও বকসী ঘাটে শত শত ফিশিংবোট ও ট্রলার নোঙর করেছে। জেলেরা মাছ ধরা সরঞ্জাম গুটিয়ে ঘাটে ফিরেছেন।জেলে বাবুলের ভাষায়, “প্রতিদিন নদীতে গিয়ে মাছ ধরে সংসার চালাই। এখন টানা ২২ দিন নদীতে নামা যাবে না। সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। সরকার যদি খাদ্য সহায়তা দেয়, কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে।”মাঝি জামাল উদ্দিন বলেন, “সাগরে মাছও নেই। শূন্য হাতে ফিরেছি। তবে মা ইলিশ বাঁচানো ছাড়া উপায় নেই। কষ্ট হলেও আইন মানতে হবে। কিন্তু সহায়তা ছাড়া টিকে থাকা দুঃসাধ্য।”নতুন স্লুইসগেট মাছঘাটের আড়ৎদার মোস্তফা বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার লেনদেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শুধু জেলেরা নয়, আড়ৎদার, শ্রমিক, বরফকল মালিক সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। বাজার পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে পরবে।সামরাজ মৎস্য ঘাটের সভাপতি তারেক আজিজ বলেন, জেলেদের সহায়তা দেওয়া হলেও আড়ৎদার ও পরিবহন শ্রমিকদেরও নজর দেওয়া জরুরি। কারণ মাছ ধরা বন্ধ মানেই পুরো ব্যবসা চেইন থেমে যাওয়া।চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রাখতে প্রতিদিন নদী ও সাগরে অভিযান চালানো হবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত প্রতিজন জেলেকে সরকারিভাবে ২৫ কেজি করে চাল সহায়তা দেওয়া হবে, যাতে জেলেরা কিছুটা স্বস্তি পান।ভোরের আকাশ//হর