ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপি এককভাবে সরকার গঠন করবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এই আত্মবিশ্বাসের কথা জানান।
তারেক রহমান বলেন, “বাংলাদেশে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতন সম্পূর্ণ হবে না। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা জয়ী হবো। আমরা বিশ্বাস করি, এককভাবে সরকার গঠনের অবস্থায় এখন আমরা রয়েছি।”
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, সাম্প্রতিক জনমত জরিপে বিএনপি এগিয়ে রয়েছে। ফলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ী হলে তারেক রহমানই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন—এমন ধারণা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে। পত্রিকাটি আরও জানায়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছেন।
সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেন, “বিএনপি অন্যান্য দলকে নিয়েও সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুত। গত বছরের ছাত্রনেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের সময় সামনের সারিতে থাকা নতুন একটি দলও এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারে। আমরা তাদের রাজনীতিতে স্বাগত জানাব—তারা তরুণ, তাদের ভবিষ্যৎ আছে।”
দেশের অর্থনীতিকে নতুন দিক দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন বিএনপির এই নেতা। তিনি জানান, তার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে বাংলাদেশকে আমাজন, ইবে ও আলিবাবার মতো বৈশ্বিক ই-কমার্স কোম্পানির সরবরাহ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে তৈরি পোশাকনির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে অর্থনীতিকে আরও বৈচিত্র্যময় করা হবে।
পররাষ্ট্রনীতির প্রসঙ্গেও স্পষ্ট অবস্থান জানান তিনি। তারেক রহমান বলেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অবশ্যই থাকবে, তবে সবকিছুর আগে থাকবে বাংলাদেশের নিজস্ব স্বার্থ। শেখ হাসিনার আমলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল একপাক্ষিক—আমরা সেটি নতুনভাবে, সমতার ভিত্তিতে শুরু করতে চাই।”
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে বিএনপির ভোট ও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার নেতৃত্ব দেবেন দলটির চেয়ারপাসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ৮১ বছর বয়সি বেগম খালেদা জিয়া। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্যে দেশব্যাপী তার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে চায় বিএনপি- এমনটাই ধারণা করছেন দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।বিশ্লেষকরা ভাবছেন, চার দশক ধরে বিএনপির নেতৃত্ব দেওয়া মানুষটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত বা পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রতিবারই অদ্বিতীয় অবদান রেখে চলছেন। যতবার গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করা হয়েছে, প্রতিবার ‘আপোষহীননেত্রী’ খ্যাত বেগম খালেদা জিয়া অবদান রেখেছেন। দেশপ্রেমিক খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে এগোতে চায় দলটি- এমনটাই ভাবছেন দেশের রাজনীতিবিদরা।১৯৮১ সালের ৩০ মে স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর রাজনীতির অঙ্গনে পা রাখেন গৃহবধূ খালেদা জিয়া। প্রথমে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৪ সালে দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ এবং ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ মেয়াদে তিন দফা বিএনপি সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া ছিলেন মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী। তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি তিনবার গণতান্ত্রিকভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।বিশ্লেষকরা বলেন, এতেই বোঝা যায়, দেশপ্রেমিক খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদতের পরে তিনি জনগণ ও দলের স্বার্থে রাজনীতিতে আসেন। অথচ রাজনীতির প্রতি তার কোনো আগ্রহ ছিল না। কিন্তু দেশ তার কাছে ছিল পরিবারের চেয়েও বড় কিছু।এ প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি তার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে।নির্বাচনে খালেদা জিয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত বা পুনরুদ্ধার করার জন্য খালেদা জিয়া প্রতিবার অবদান রেখেছেন। স্বৈরাচারের অত্যাচারেও উনি আপোষ করেননি। এরকম একজন ব্যক্তি আজ অসুস্থ। কেন কীভাবে উনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেন, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাকে জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হলো।তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছিলাম একজন সুস্থ মানুষ জেলখানায় গিয়েছেন। কিন্তু যখন বেরিয়ে এসেছেন অসুস্থ হয়ে। তাকে চিকিৎসার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। সব ঘটনা দেশবাসী জানেন। তারপরেও যে মানুষটির এত বড় অবদান রয়েছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার। আমি সেই দলের একজন কর্মী হিসেবে বিশ্বাস করি বা বিশ্বাস করতে চাই গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে যেই প্রত্যাশিত, জনপ্রত্যাশিত যে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, উনার শারীরিক সক্ষমতা যদি এলাও করে নিশ্চয়ই উনি কিছু না কিছু ভূমিকা রাখবেন।রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী মো. মাহবুবুর রহমান ভোরের আকাশকে বলেছেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে। যদি বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক সুস্থতা থাকে আর দল তার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে পারে, তাহলে সেটা নিশ্চয়ই দলের জন্য মঙ্গলজনক। বেগম খালেদা জিয়া বিশ্বের ইতিহাসে একজন ক্যারিসম্যাটিক লিডার। তার ব্যক্তিগত আকর্ষণ, আত্মবিশ্বাস এবং দক্ষতার মাধ্যমে দেশবাসীকে গভীরভাবে আকৃষ্ট, অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে মানুষের হৃদয়ে যে স্থান করে নিয়েছে এখনো তার স্থান সবার হৃদয়ে রয়েছে। কাজেই, বেগম খালেদা জিয়ার ইমেজ ও দেশত্বাবোধকে ভোটের মাঠে বিএনপির অনেক কাজে দিবে বলে মনে করছেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক।মাহবুবুর রহমান বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্ব ও চারিত্রিক গুণাবলীর কারণেই তিনি আপোসহীন। তিনি তার প্রবল আত্মবিশ্বাসের মধ্যদিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অবিচল সংগ্রাম করেছেন। দেশ যখনই স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্টদের কবলে পড়েছে, তখনই তিনি কঠোর পদক্ষেপ ও জনগণের মাঝে প্রেরণা সৃষ্টি করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছেন।তিনি বলেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে তিনি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সংগ্রাম করেছেন। ৯০ সালের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও গত ১৬ বছর স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দেশ ও জনবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় তাকে দীর্ঘ ৬ বছর কারাবরণ করতে হয়েছে। একইসঙ্গে ২০২৪ সালে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালে প্রতিনিয়ত দলে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের পরামর্শ দিতেন এই সাহসী নেত্রী। তিনি একজন মাঠের মানুষ, রাজনৈতিক অঙ্গনের সবার প্রিয় মানুষ, তাকে নির্বাচনী কাজে লাগাতে পারলে বিএনপি ভোটে এগিয়ে থাকিবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক। বিএনপি মনে করছে, সংসদ নির্বাচনের ভোটের নেতৃত্বে রাখছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। দীর্ঘ ১০ বছর পর তিনি সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে যাচ্ছেন।বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার নির্বাচনী সফরের জন্য বিশেষভাবে তৈরি একটি বুলেটপ্রুফ মিনিবাস জাপান থেকে আনা হচ্ছে। তার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিবেচনায় যানবাহনটি কাস্টম ডিজাইনে প্রস্তুত করা হয়েছে।বিএনপির জেষ্ঠ্যে নেতারা জানান, এই মিনিবাসেই খালেদা জিয়া দেশজুড়ে নির্বাচনী সফরে অংশ নেবেন। তার সঙ্গে থাকবেন নিরাপত্তা কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও সহকারী দল। সফরে বিভিন্ন জেলায় যাত্রাবিরতি ও জনসভায় যোগ দেওয়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চলছে প্রচারণার সূচি, ভ্রমণপথ ও জনসভাস্থল নির্ধারণের কাজ। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই খালেদা জিয়ার নির্বাচনী যাত্রার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়া প্রার্থী হতে পারেন বলে দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন।দলীয় সূত্র আরও জানায়, সশরীরে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে; তবে শারীরিক অসুবিধার কারণে যদি তা সম্ভব না হয়, প্রযুক্তির সহায়তায় খালেদা জিয়া প্রচারণায় অংশ নেবেন।বিএনপির এক জেষ্ঠ্যে নেতা বলেন, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেই মাঠে থাকতে চান। তার মাঠে নামা মানেই কর্মীদের মধ্যে নতুন প্রাণ ফিরে আসবে। ২০১৫ সালে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারে অংশ নেওয়ার পর এবারই প্রথম খালেদা জিয়াকে পূর্ণমাত্রায় প্রচারণায় দেখা যাবে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ও নিরাপত্তা বিবেচনায় প্রতিটি পদক্ষেপে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।এদিকে, ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চলছে প্রচারণার সূচি, ভ্রমণপথ ও জনসভাস্থল নির্ধারণের কাজ। দলীয় প্রচার কমিটি জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই খালেদা জিয়ার নির্বাচনী যাত্রার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।গত ৩০ জুলাই ফেনী জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া ফেনী থেকে প্রার্থী হবেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপি এককভাবে সরকার গঠন করবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রভাবশালী দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এই আত্মবিশ্বাসের কথা জানান।তারেক রহমান বলেন, “বাংলাদেশে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতন সম্পূর্ণ হবে না। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা জয়ী হবো। আমরা বিশ্বাস করি, এককভাবে সরকার গঠনের অবস্থায় এখন আমরা রয়েছি।”ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, সাম্প্রতিক জনমত জরিপে বিএনপি এগিয়ে রয়েছে। ফলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ী হলে তারেক রহমানই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন—এমন ধারণা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে। পত্রিকাটি আরও জানায়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছেন।সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেন, “বিএনপি অন্যান্য দলকে নিয়েও সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুত। গত বছরের ছাত্রনেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের সময় সামনের সারিতে থাকা নতুন একটি দলও এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারে। আমরা তাদের রাজনীতিতে স্বাগত জানাব—তারা তরুণ, তাদের ভবিষ্যৎ আছে।”দেশের অর্থনীতিকে নতুন দিক দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন বিএনপির এই নেতা। তিনি জানান, তার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে বাংলাদেশকে আমাজন, ইবে ও আলিবাবার মতো বৈশ্বিক ই-কমার্স কোম্পানির সরবরাহ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে তৈরি পোশাকনির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে অর্থনীতিকে আরও বৈচিত্র্যময় করা হবে।পররাষ্ট্রনীতির প্রসঙ্গেও স্পষ্ট অবস্থান জানান তিনি। তারেক রহমান বলেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অবশ্যই থাকবে, তবে সবকিছুর আগে থাকবে বাংলাদেশের নিজস্ব স্বার্থ। শেখ হাসিনার আমলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল একপাক্ষিক—আমরা সেটি নতুনভাবে, সমতার ভিত্তিতে শুরু করতে চাই।”ভোরের আকাশ//হ.র
তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদারের আশাবাদ ব্যক্ত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও গণতন্ত্রের ভিতকে শক্তিশালী করার জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকায় সফররত তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. বেরিস একিনচির সঙ্গে বৈঠকে মির্জা ফখরুল এ সহায়তা চান। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জাতীয় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রয়েছেন।তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সফররত প্রতিনিধি দলের আরও দুই সদস্যও বৈঠকে যোগ দেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অনেক দেশের মতো অপেক্ষায় তুরস্ক। নতুন সরকারের সঙ্গে দেশটি কাজ করতে উদগ্রীব।সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকায় সফররত তুরস্কের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. বেরিস একিনচি ও ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রয়েছেন। তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সফররত প্রতিনিধি দলের আরও দুই সদস্যও বৈঠকে যোগ দেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অনেক দেশের মতো অপেক্ষায় তুরস্ক। নতুন সরকারের সঙ্গে দেশটি কাজ করতে উদগ্রীব। ব্যবসা বাণিজ্যে সহযোগিতা, ওআইসিকে শক্তিশালী করাসহ বাংলাদেশে অধিকতর বিনিয়োগ বাড়াতে চায় দেশটি।তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক আগেও ছিল, এখনও আছে, আগামীতেও থাকবে। দুই দেশের বন্ধুত্ব দীর্ঘস্থায়ী করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ওআইসিকে আরও শক্তিশালী করতে আলোচনা হয়েছে। তুরস্ক-বাংলাদেশে বন্ধুত্ব আরও বাড়ানোর জন্য সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুপক্ষের আলোচনা হয়েছে।বাংলাদেশে তার্কিশ বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, সম্পর্কের উন্নয়ন আরও বাড়ানোর বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে। ট্রেড, ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতেও আলোচনা হয়েছে। মেডিকেল, টেক্সটাইল, এনার্জি, হেলথ, ফার্মাসিউটিকালে বিনিয়োগ নিয়ে কথা হয়েছে। স্কিল্ড টেকনোলজি নিয়ে বিএনপি তার্কিশ প্রতিনিধিকে বলেছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, এছাড়া নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তারাও অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচন পরবর্তী সরকার ও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহী তারা। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে নতুন সরকার গঠন হবে তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ দেখিয়েছে।এ সময় বাংলাদেশে তুরস্কের জয়েন্ট ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনের বিষয়ে চলমান আলোচনার বিষয় তুলে ধরে দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ